CATEGORIES
فئات
প্রশান্ত পাটিল: ছায়া-বাস্তবের কথামালা
প্রশান্তর প্রদর্শনীতে নবতর সৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পারফর্মিং আর্টের এক সফল প্রয়ােগ। এই প্রদর্শনী সাম্প্রতিক অতিমারীর অদৃশ্য শৃঙ্খল অগ্রাহ্য করে এক নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে। নিঃসন্দেহে।
বিধি বাম
আরও একবার প্রমাণিত হল যে, বামপন্থী নেতৃত্ব মানুষের মন বুঝতে ব্যর্থ। তবু হারের কারণ হিসেবে নিজেদের দুর্বলতা দেখতে তাঁরা নারাজ।
প্রগাঢ় চিন্তা-গবেষণার নির্যাস
এই বইটি অমর্ত্য সেনের খুচরাে লেখার সংকলন। ঠিক ‘লেখাও নয়: আছে দুটি বক্তৃতা, সেমিনারের ধাঁচে একটি দীর্ঘ আলােচনা, আর অনেকগুলি সাক্ষাৎকারের প্রতিলিপি।
নিজমুখে সত্যজিৎ রায়
আ: মার প্রশ্নটা যথেষ্ট দুঃসাহসী ছিল।
ক্ষণজন্মা
সু নীল একবার সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে একটা কবিতা লিখেছিল। তাতে পথের পাঁচালী দেখার অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে একটা লাইন ছিল ‘আমার অশ্রুর অর্ঘ্য নিন।
একই সঙ্গে বাঙালি এবং আন্তর্জাতিক
অ পুর সংসার ছবিতে অভিনয় করার ঠিক তিরিশ বছর পর অপুর সেই বিখ্যাত চিলেকোঠার ছাদটিতে ফিরে গিয়েছিলাম একবার।
আবার কবে তােমার সঙ্গে কাজ করব
কোনও-কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু বলতে রীতিমতাে ভয় হয়, কারণ | সব সময়ই মনে হতে থাকে এঁদের বিচার করার বা সমালােচনা করার আমি কে?
অবলুপ্তির পথে স্বল্প পুঁজির ব্যবসা
কোভিড-১৯ অতিমারীর আগুন বারবার নেভা ও জ্বলার পর একদিন নিশ্চয়ই মানুষের আস্তানা থেকে সেই ভাইরাস বিদায় নেবে।
শুধু বিমা দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা অসম্ভব
অতিমারীর কারণেই হােক বা আলাপ আলােচনার। পরিবেশ স্তিমিত হয়ে যাওয়ার জন্য, আজকাল যে-খবরে চট করে কান খাড়া হয়, তা চিকিৎসা ও হাসপাতাল সংক্রান্ত।
ক্ষোভের ভিসুভিয়াস থেকে লাভা উদগিরণ
আইনের শাসন। কথাটি শুনতেও ভাল লাগে। কারণ, সেটিই হল রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার
তথ্যনিষ্ঠা, সত্যনিষ্ঠা ও উত্তর-সত্য যুগ
সময়টি ১৯৭৬ সাল। প্রখ্যাত আর্জেন্টিনীয় সাংবাদিক তেররাগনাে। ভেনিজুয়েলায় প্রবাসকালে ল্যাটিন আমেরিকায় বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক উক্তি করেন।
হিন্দির মাধ্যমে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ
হিন্দি ভাষা ও ভারতীয়ত্বকে এক করে দেখানাের একটি নিরন্তর চেষ্টা চলেছে। একে সর্বশক্তি দিয়ে খেতেই হবে।
বিবিধতা এবং মননের গভীরতা
খন কলকাতার রক্ত ছিল চঞ্চল। ছিল রাজনীতি, সাহিত্য আর সিনেমার উন্মাদনা।
আমি ও সে
এ নাটকের মাধ্যমে উঠে এল এমন কিছু মুহূর্ত, যা সমগ্র নাট্যজগতের সামনে আজও মেলে ধরে কঠিন জিজ্ঞাসা।
করােনা-তিমির ও নক্ষত্রমণ্ডলী
ইমামি আর্ট সংস্থার উদ্যোগে তাঁদেরই সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি গ্যালারিতে সম্প্রতি কিছু শিল্পীর যৌথ প্রদর্শনী দেখা গেল।
অথ গৌড় কথা
ফুলাে ফুলাে বেলুন শােভিত যন্ত্রযানে আরােহণ করে কল্পলােকের দরজা খুলে তাঁরা আসছেন। ইতিউতি তাকাচ্ছেন, নানা রকমের মুদ্রা বিভঙ্গে কিছু একটা বােঝাতে চাইছেন।
বেটোফেন এবং বিশ্বসংগীত
অন্য যে-কোনও সংগীতকারের তুলনায় বেটোফেন (১৭৭০-১৮২৭)-এর জীবন এবং সংগীত ইউরােপের কিছু অভীষ্ট সযত্নলালিত আদর্শের সঙ্গে অধিক অঙ্গাঙ্গীভাবে দেখা হয়। ফরাসি বিপ্লব অনুপ্রাণিত তাঁর নবম সিম্ফনি এবং তাঁর একমাত্র অপেরা ফিডেলিও ‘স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব’র ধারণাটির সাংগীতিক প্রতীক হয়ে গিয়েছে।
শেষ কথা কে বলবে
শােভনলাল দত্তগুপ্ত সম্পাদিত মাকর্স ২০০; একুশের ভাবনা পড়তে পড়তে ফ্রান্সিস ফুকুয়ামার কথা মনে এল। তিন দশক পার হয়ে গেছে, ভদ্রলােকের জন্য এখনও মাঝে মাঝে দুঃখ হয়।
শালীনতা কারে কয়?
রামচন্দ্র তাে সর্বজনপূজিত। তাহলে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার সময়ে কেন রামনাম করতে হল? বাহুবলী রামভক্তরা কী বলেন!
রামচরিতমানস ও মেটামরফসিস
করােনার এগারাে মাস আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়, সবচেয়ে ভাল সময়। জীবনের কোনও এগারাে মাসে আমি এত লিখিনি। প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার কবিতা লিখেছি। আমি এত পড়িনি। জীবনের কোনও এগারাে মাস আমি চৌকাঠের বাইরে পা দিইনি, এমন আগে হয়নি। জীবনের কোনও এগারাে মাসে আমি এত শােক গ্রহণ করিনি। জীবনের কোনও এগারাে মাসে আমি এত ভালবাসাও পাইনি। সুখ ছাই হতে দেখেছি ছােটবেলা থেকে। কিন্তু দুই হাত ভরতি ছাই হয়ে উঠতে পারে। সুখ— আমি আগে দেখিনি।
বুদ্ধদেব বসুর আত্মসন্দেহ
৬৫ বছর ৩ মাস ১ দিন বয়সে বুদ্ধদেব বসু প্রয়াত হন। তারিখটি ছিল ৩ মার্চ ১৯৭৪| সেই ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কবিতার শত্রু ও মিত্র নামে। বুদ্ধদেব বসুর একটি শীর্ণকায় গদ্যগ্রন্থ প্রকাশ পায়। সেই গ্রন্থে তিনটি রচনা সন্নিবেশিত হয়েছিল। তাদের নাম যথাক্রমে ‘কবিতার শত্রু ও মিত্র: একটি খােলা চিঠি, কবিতা ও আমার জীবন আত্মজীবনীর ভগ্নাংশ’ এবং ‘চরম চিকিৎসা। প্রথম লেখাটি এক পত্রপ্রবন্ধ, শেষােক্ত রচনাটি নাটিকার আঙ্গিকে লিখিত একটি বিতর্ক।।
বিষন্ন বিদ্রোহের থ্রেনডি ব্র ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
পায়ের নীচ থেকে সরে যাচ্ছে মুছেও যাচ্ছে একেবারে কখনও-কখনও প্রিয় অক্ষর। আমাদের বিষগ্ন হেঁটে চলা কেবলই গিলে নিতে চাইছে রাস্তার দুপাশের ভাইনিল সাইনবাের্ড, যাদের অলজ্জ আলাের চিৎকার শীতসন্ধেকে করে তুলছে আরও ক্লান্ত, আরও আশ্রয়হীন। দুজন বন্ধুর মুখে-মুখে তখন পাক খেতে থাকে একটি থ্রেনডি। ল্যামেন্ট।
গতিপ্রবাহ
যেহেতু আমি বয়সে প্রবীণ, সে কারণে স্বাধীনতা-উত্তর কাল থেকে শুরু করে বিগত তিয়াত্তর বছরের জাতীয় তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি প্রত্যক্ষ করার সুযােগ আমার হয়েছে। পাশাপাশি যে-সংসদীয় গণতন্ত্র আমাদের দেশ গ্রহণ করেছে, তার মাতৃভূমি ব্রিটেনের রাজনীতি সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভের সুযােগও আমার হয়েছিল ছাত্রাবস্থায়।
বিয়েই জীবনধারণের মাপকাঠি?
মেয়েদের মাথায় ‘বিয়ে’ নামক ম্যাজিকের গল্প এমনভাবে গেঁথে দেওয়া হয় যে, অনেক শিক্ষিত মেয়েও তাকে অস্বীকার করতে ভরসা পায় না।
দ্য হােয়াইট টাইগার
মনে আছে, অরবিন্দ আদিগা নামের একজন নবীন লেখকের দ্য হােয়াইট টাইগার শীর্ষক প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস যখন চ ল চ্চিত্র পড়েছিলাম, প্রায় বারাে বছর।
বিস্মৃতপ্রায় এক ভারতীয় বিজ্ঞানী
আলাে চলে সরলরেখায়। একথা আমরা জেনেছি নিচু ক্লাসে, যখন প্রতিসরণ নামক শব্দটির সঙ্গে আমাদের পরিচয়। ছিল না। পরে জানলাম, রশ্মি যখন এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে অতিক্রান্ত হয়, যেমন জলে, তখন তা আর আগের পথে না চলে রাস্তা পালটে ভিন্ন দিকে চলতে শুরু করে।
প্রলয়-জলে বই-তরণী
প্রায় একবছর হয়ে গেল দেখতে দেখতে। এমন সময়েই তাে কলকাতা থেকে মুম্বই এসেছিলাম। গত বছর শীত এবারের মতাে প্রখর ছিল না। আরব সাগরের তীরে আবার শীত! পাঁচ মাসের ঘন বর্ষা শেষ হয়ে গেলে পাখিরা ফিরে আসে। সকাল, দুপুর অপরানু জুড়ে তাদের আনন্দিত ডাকাডাকি। রৌদ্র মৃদু।
প্রমােদ প্রধান এবং বাঙালির রাজনীতি
জার্মান তাত্ত্বিক ম্যাক্স ওয়েবার তাঁর ‘Politics as a Vocation' শীর্ষক প্রবন্ধে দুই ভাবে রাজনীতিতে অংশ নেবার কথা বলেছেন— কেউ রাজনীতি করার জন্য বাঁচে, কেউ রাজনীতি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে (Either one lives for” politics or one lives “off” it)।
জনগণের ভালমন্দ জনগণই বুঝবেন
অযােধ্যার বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল হামলাকারীরা। বিচারপতিরা আদেশ দিয়েছেন, ঠিক ওখানেই হােক রামমন্দির। মন্দির। ইয়াহি বনায়েঙ্গে! ওখানে। সত্যিই কি শ্রীরামচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল? কোনও প্রমাণ নেই, বলেছেন মহামান্য বিচারপতিরাই।
ছিন্নমস্তার অভিশাপ
C ফেলু মিত্তিরের এবিসিডি তাে সকলেরই জানা— অর্থাৎ তার সম্পর্কে একেবারে গােড়ার কিছু তথ্যও বটে আবার লালমােহনবাবুর চ ল চ্চিত্র দেওয়া সার্থক খেতাবও বটে, ‘এশিয়াজ ব্রাইটেস্ট ক্রাইম ডিটেক্টর।