
তখন আমি ১৯৬৬-তে প্রতিষ্ঠিত থিয়েটার ওয়র্কশপের পরিচালক। পরপর দু'বছর, ১৯৭১-এ মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের 'রাজরক্ত' এবং ১৯৭২-এ মনোজ মিত্রের ‘চাকভাঙা মধু' করে আমাদের নতুন দলটির বেশ একটু নাম-টাম হয়েছে। এর পর বের্টোল্ট ব্রেখটের ছোট দু'টি নাটক অবলম্বনে 'পাঁচু ও মাসী' (Lux in Tennebris) এবং 'নাজীর বিচার' (In search of Justice) করে ১৯৭৪-এ আবার ফিরে গেলাম মনোজ মিত্রে। এবারের নাটক ‘অশ্বত্থামা’।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষে অদম্য প্রতিশোধস্পৃহা থেকে অশ্বত্থামা রাতের অন্ধকারে পাণ্ডব-শিবিরে প্রবেশ করে পাঁচটি ছিন্ন মাথা নিয়ে ফিরে আসে অপেক্ষমান কৃতবর্মা-কৃপাচার্যের কাছে। সাতের দশকে আমাদের রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আবহের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই অনেক প্রবীণের। নবীনরা জানেন ইতিহাস পাঠে। একদিকে বাম দলগুলি এবং নকশালরা কংগ্রেস শাসনের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন করে যাচ্ছে, অন্যদিকে বামেদের সঙ্গে নকশালদের দ্বন্দ্ব- সংঘাত এক মর্মান্তিক আত্মজন হননের রাজনীতিতে গিয়ে পৌঁছেছে। ‘অশ্বত্থামা’তে কি তারই সাদৃশ্য সন্ধান করবেন কেউ কেউ? প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য যাই হোক না কেন, সময়টাকে যে ধরা যাবে, সেই কারণেই আমাদের পক্ষপাতিত্ব এরকম নাটকের পক্ষে। এরকম এর আগের দু'টি নাটকের ক্ষেত্রেও ছিল। মনোজ যখন নাটকটা আমাদের রিহার্সাল কক্ষে পড়ে শোনাচ্ছিলেন, তখন আমার শুনতে খুবই ভাল লাগছিল। কিন্তু কপালে চিন্তার ভাঁজও পড়ছিল অবশ্যই, কারণ পরিচালনার দায়িত্ব তো আমার ওপরই ন্যস্ত হবে। 'টিনের তলোয়ার' নাটকে উৎপলদার লেখা সেই বিখ্যাত সংলাপ ‘মড়া এ পালা আমি কেন যে ধরতে গিয়েছিলাম' প্রথমদিকে মনে মনে, পরে খোলাখুলিই বলতে শুরু করে দিয়েছি। বিশেষ করে নাটকের ধরনটা আমাকে চমকে দিয়েছিল। এটাকে কী বলব? বিষয়ে, ভাষায় ও ছন্দে একটা পৌরাণিক নাট্যকাব্য? এর পটভূমি থেকে শুরু করে তিনটি পৌরাণিক চরিত্র, সংলাপ, এক-একটা নাটকীয় পরিস্থিতি কিংবা ঘটনা, দ্বন্দ্ব, শোক, বীররস, শান্তরস...
সবকিছুই যে অন্য মাপের, অন্য স্তরের। শুধু সংলাপের ভাষা কেন, মঞ্চ-নির্দেশও যে ভাষায় লিখেছেন মনোজ, সেটাও তো ব্যতিক্রমী। মঞ্চ-নির্দেশ সাধারণত কেজো ভাষায় লেখা হয়, কিন্তু এখানে শব্দের চয়ন, বাঁধন সবকিছুই যেন একেবারে আলাদা।
This story is from the November 27, 2024 edition of ANANDALOK.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the November 27, 2024 edition of ANANDALOK.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

প্রধানমন্ত্রী গানের পারমিশন দিতেন না : বাবুল সুপ্রিয়
নতুন সিঙ্গল, রাজনৈতিক কেরিয়ার, গানের জগতে সেকেন্ড ইনিংস... সব নিয়ে মুখ খুললেন বাবুল সুপ্রিয়। শুনলেন আসিফ সালাম

গাল গপ্পো
জাস্টিন বিবারের ড্রাগ নেশা আবারও আলোচনায়, ছবিগুলো যেন তারই প্রমাণ। অন্যদিকে, মেরিল স্ট্রিপ ও মার্টিন শর্টের রসায়ন নিয়ে চাঞ্চল্য, নতুন প্রেম নাকি গভীর বন্ধুত্ব? সময়ই বলবে!

আমি রুক্মিণী
‘দেবের গার্লফ্রেন্ড’, এই ট্যাগটা যতটা ভাল লাগার ঠিক ততটাই বিরক্তিকর তাঁর কাছে। অন্য কারও পরিচয় নিয়ে নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের সোলো আইডেন্টিটি গড়তে বদ্ধপরিকর তিনি। সেই উদ্দেশ্যেই তাঁর অভিনীত প্রথম নারীকেন্দ্রিক ছবি 'বিনোদিনী'। কেরিয়ার ও ব্যক্তিগতজীবন নিয়ে মনের দরজা খুললেন রুক্মিণী মৈত্র।

চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত?
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রোফির যাত্রা শুরু করল ভারত। ফর্মে ফিরলেন বিরাট-রোহিত-শুভমন। ট্রোফি জয় হবে কি?

TOLLY TALE
নতুন সদস্যের অপেক্ষায় পরম-পিয়ার সংসার! ❤️ শীঘ্রই আসছে তৃতীয় সন্তান, সঙ্গে নিনা-বাঘার আদর।

চ্যানেল টু চ্যানেল
নতুন ধারাবাহিক ‘দুগ্গামণি ও বাঘমামা’তে ফিরছেন রাহুল দেব বসু! 🎥✨ সাহানা দত্তের এই প্রজেক্টে জুটি বাঁধছেন মানালির সঙ্গে। এদিকে, সমুদ্রতটে মন ভরানো মুহূর্ত কাটিয়ে ফিরলেন দেবচন্দ্রিমা।

ভিন্ন অবতারে কপিল দেব
ক্রিকেট মাঠেই তাঁকে দেখে অভ্যস্ত সকলে। কিন্তু এখন তাঁর মনপ্রাণ পড়ে রয়েছে গল্ফে। কলকাতায় একটি গল্ফ টুরে এলেন কপিল দেব। সাক্ষী আসিফ সালাম

ছবিঘর
শীত চলে গিয়ে গরম পড়তে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সেলেব্রিটিদের ব্যস্ততার অন্ত নেই। পার্টি থেকে প্রিমিয়ার... সর্বত্র তাঁরা উপস্থিত। আর তাঁদের সঙ্গী

নিজেকে নিয়ে খুব বেশি হইচই আমার কোনওদিনই পছন্দ নয়: প্রভাত রায়
৮১ বছর বয়সে আবার পরিচালকের চেয়ারে বসছেন তিনি। এই বয়সে, ডায়ালিসিসের কষ্ট সামলে জীবনকে উপভোগ করছেন পুরোদমে। প্রভাত রায় তাও বললেন, তাঁকে নিয়ে খুব বেশি হইচই তিনি পছন্দ করেন না । তাঁর কথা শুনলেন সায়ক বসু

কড়ি চাওয়াল : তমন্না ভাটিয়া
দক্ষিণ ভারতীয় যে কোনও খাবারই মন জয় করে নেয় তমন্নার। সকালের শুরুটা হয় কফি দিয়ে। কারণ তিনি কফিপ্রেমীও। তারপর ডায়েট মেনেই পাতে তুলে নেন পছন্দের খাবার। তবে ঘরে রান্না হওয়া যে কোনও খাবারই বড় পছন্দ তাঁর। সবচেয়ে পছন্দের কড়ি চাওয়াল।