সুস্থ রাখবে 'অ্যাক্রোযোগা'

শরীর, মন ও সম্পর্কের সুস্থতা বজায় রাখতে আধুনিক সমাজ ভরসা রাখছে অ্যাক্রোযোগায়। জানালেন সার্টিফায়েড অ্যাক্রোযোগা ট্রেনার প্রদীপ মেহতা। শুনলেন শরীর, মন ও সম্পর্কের সুস্থতা বজায় রাখতে আধুনিক সমাজ ভরসা রাখছে অ্যাক্রোযোগায়। জানালেন সার্টিফায়েড অ্যাক্রোযোগা ট্রেনার প্রদীপ মেহতা। শুনলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।

- উপমা মুখোপাধ্যায়।

নি জের বাড়ন্ত মেদ রোজ মন খারাপ করিয়ে দেয় বছর তিরিশের সোহমের। ভাবে, এবার থেকে ভোরবেলা উঠে জম্পেশ একটা ওয়র্কআউট সেশন করতে হবে। কিন্তু শেষমেশ আর হয়ে ওঠে কই? প্রতিদিন সকালে উঠে ঘাম ঝরানো, ক্যালরি কাউন্ট করা— সবই যে ভীষণ কষ্টকর! একঘেয়েও বটে। সোহমের মতো অনেকের মনেই ফিট হওয়ার বাসনা থাকলেও মোটিভেশনের অভাব থাকে পুরোদস্তুর। আচ্ছা ভাবুন তো, যদি এমন কোনও ওয়র্কআউট সেশন থাকত, যাতে ফিট থাকার সঙ্গে সঙ্গে গোটা সেশনটাই হত নির্মল আনন্দের। পাশাপাশি এর মাধ্যমে মনেরও খেয়াল রাখা হবে। উন্নত হবে নিজের সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কও। এই কারণেই স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে ইদানিং অনেকেই ভরসা রাখছেন সর্বফলসম্পন্ন 'হোলসাম ফিটনেস রেজিম' ‘অ্যাক্রোযোগা’য়। অ্যাক্রোযোগা: কী ও কেন? অ্যাক্রোযোগা একটি 'পার্টনার অ্যাক্টিভিটি', অর্থাৎ এটি পারফর্ম করা হয় এক বা ততোধিক সঙ্গীর সঙ্গে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থতা বজায় রাখার পাশাপাশি সঙ্গীর সঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাস ও কমিউনিকেশন বাড়িয়ে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য। যোগচর্চার জ্ঞান ও অ্যাক্রোব্যাটিক্সের ডায়নামিকস, সেই সঙ্গে হিলিং আর্টের ক্লান্তিহর ক্ষমতা একজায়গায় এনে এই ‘অ্যাক্রোযোগা’র উৎপত্তি। অ্যাক্রোব্যাটিক অলিম্পিয়াড প্রতিযোগী জেসন নেমারের হাত ধরে এই মেলবন্ধনের সূত্রপাত। ভারতে এসে তিনি যোগচর্চার সংস্পর্শে আসেন। পরে তাইল্যান্ডে গিয়ে তাই ম্যাসাজেরও সন্ধান পান। তখনই এই তিনের সমন্বয় ঘটানোর কথা তাঁর মাথায় আসে। ২০০৩ সালে জেনি সয়ার ক্লেনের সঙ্গে মিলে শেখানো শুরু করেন অ্যাক্রোযোগা।