Prøve GULL - Gratis
ফড়িং-বিশু
ANANDAMELA
|20 Sep, 2024
মানিক খুব চটপটে। স্কুলে যোগ দিয়েই কাজ শুরু করে দিলেন। মূলত ক্লাস এইট থেকে ইলেভেন, এই চারটে ক্লাস থেকে কিছু ছেলেকে বেছে নিলেন। তার পর শুরু হল প্রশিক্ষণ। প্ৰথমে শুধু দৌড় আর নানা রকম শারীরিক কসরত। প্ৰথম এক-দেড় মাস ফুটবল নিয়ে মাথা ঘামালেন না ৷
ফড়িং-বিশু এ বছর পাশ করেছে। গত বার ক্লাস এইটে আটকে গিয়েছিল। এ বার সে কত নম্বর ফ পেয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। বিশু পাশ করেছে, এটাই বড় কথা। স্কুলে সকলে খুশি। বিশেষ করে রমাপদ স্যর। বিশু জানে, রমাপদ স্যরের তিরস্কার অনেকটা জলভরা সন্দেশের মতো। উপরে একটু শক্ত, ভিতরে স্নেহরসে টইটম্বুর। বন্ধুরা মজা করলেও, বিশুকে খুব ভালবাসে। নানা ভাবে সাহায্য করে। ফার্স্ট বয় সুজয় সামন্ত তো ওর সব প্রোজেক্টের কাজ করে দেয়। কারণ, ফড়িং-বিশু স্কুলের সেরা খেলোয়াড়। আন্তঃস্কুল সাঁতার আর দৌড়ে পটাশপুর বয়েজ স্কুলকে অনেক ট্রফি এনে দিয়েছে। ফড়িং-বিশু যখন সাঁতার কাটে, মনে হয় একটা স্পিডবোট জল কেটে এগিয়ে চলেছে। আর যখন রেসে দৌড়য়, মনে হয় যেন চিতাবাঘ। দুই হাত শূন্যে দু'দিকে ছড়িয়ে দিয়ে ভিক্ট্রি ল্যাপে যখন ওর গতিবেগে মন্দন আসে, ওর সহপাঠী বন্ধুরা উল্লাসে চিৎকার করে ওঠে, “ফড়িং-বিশু! আমাদের ফড়িং-বিশু!”
বিশুর ব্যবহারও চকলেটের মতো। ফড়িং-বিশু তাই অজাতশত্রু। ফড়িংবিশুর আসল নাম বিশ্বদেব মাইতি। নামটাই যা ভারী। ছিপছিপে চেহারায় সারা ক্ষণ ফড়িংয়ের মতো তিড়িংবিড়িং করছে। পঁয়তাল্লিশ মিনিটের ক্লাসে চুপচাপ বসে থাকা ওর কাছে কষ্টকর। বসে থেকেও সারা ক্ষণ নড়াচড়া করতে থাকে। তাই বিশু ক্লাসে শেষ বেঞ্চে বসে। তবে ওই জন্য ওর নাম ফড়িং-বিশু হয়নি। রমাপদ স্যর এক বার বিশুকে এ প্লাস বি হোল কিউবের ফরমুলা জিজ্ঞেস করেছিলেন। বিশু বি কিউবকে বি স্কোয়্যার বলেছিল।
স্যরও নিখুঁত নিশানায় একটা চকের টুকরো ছুড়ে বলেছিলেন, “সারা ক্ষণ ফড়িংয়ের মতো ছটফট করলে কিউব স্কোয়ার হয়ে যায়, হতচ্ছাড়া।” সেই থেকে বিশ্বদেব মাইতি ওরফে বিশু হয়ে গেল ফড়িং-বিশু।
পটাশপুর ছোট্ট মফস্সল শহর। সকলে সকলকে চেনে। বিশুর বাবা হরিদেব মাইতির মুদি ও স্টেশনারি দোকান। রমাপদ স্যর ওই দোকান থেকে মাসকাবারি জিনিস কেনেন। হরিদেববাবু স্যরকে বলেন, “ছেলেটার জন্য চিন্তা। পড়ে কম। হয় ব্যাট ঘোরাচ্ছে, নয় তো ঘরের মধ্যেই বল নিয়ে খেলছে। আর না হলে পুকুরে সাঁতার কাটছে ঘণ্টার পরঘণ্টা। ওর দিদি নজর রাখে। মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেলে তখন কে যে দেখবে ওকে! মা মরা ছেলে। বেশি শাসন করতে পারি না।” রমাপদ স্যর হেসে বলেন, “কার জীবনের অঙ্ক কোন খাতে বইবে, কেউ বলতে পারে না। সকলে কি সায়েন্টিস্টডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়? স্যরেরা ওর উপর নজর রাখেন। চিন্তা করবেন না।”
Denne historien er fra 20 Sep, 2024-utgaven av ANANDAMELA.
Abonner på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av kuraterte premiumhistorier og over 9000 magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
FLERE HISTORIER FRA ANANDAMELA
ANANDAMELA
নদীর নামের গল্প
বাংলা জুড়ে নদীর নাম নিয়ে রয়েছে নানা গল্প, নানা উপকথা। লিখেছেন সুপ্রতিম কর্মকার
7 mins
August 05, 2025
ANANDAMELA
নদীদের রূপকথা
নীল, সিন্ধু নদ আর রাইন নদীর স্রোতে ভাসতে থাকা অপরূপ গল্পগুলো শুনিয়েছেন চঞ্চলকুমার ঘোষ
8 mins
August 05, 2025
ANANDAMELA
আলড্যাবরার নিরীহ দৈত্য
কলকাতার বুকেই আড়াইশো বছর ধরে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বেঁচে ছিল অদ্বৈত নামের বিশালাকৃতি কিন্তু নিরীহ এই কচ্ছপ। তার বর্ণময় জীবনের কথা লিখেছেন শ্রেয়সী বসু
4 mins
August 05, 2025
ANANDAMELA
মা সারদা শিক্ষা নিকেতন
প্রাথমিক পর্যায়ের সার্বিক শিক্ষা দানে এই স্কুলটি ছাত্রছাত্রীদের বুনিয়াদ তৈরি করতে খুবই সাহায্য করে ।
3 mins
August 05, 2025
ANANDAMELA
অন্য স্বাধীনতা
অন্যায়, অসহায়তা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশ্ব জুড়ে গর্জে উঠেছেন যে সব মহীয়সীরা, স্বাধীনতা দিয়েছেন উত্তর-প্রজন্মকে, তাঁদের নিয়ে লিখেছেন সেবন্তী ঘোষ
5 mins
August 20, 2025
ANANDAMELA
ছোট ছোট খেলা
আমাদের রাজ্য থেকে শুরু করে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটছে খেলাধুলোর নানা ঘটনা। তার ঝলক থাকল এখানে।
4 mins
August 05, 2025
ANANDAMELA
দাবায় দিব্যার বিশ্ব জয়
প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে দাবা বিশ্বকাপ জিতলেন মরাঠি কন্যা দিব্যা দেশমুখ। লিখেছেন পৌলমী ঘোষ
1 mins
August 05, 2025
ANANDAMELA
স্বাধীনতার আর ভালবাসার জয়
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারী অপশাসনের অবসান করেছেন যে-সব রণনায়করা, গড়েছেন স্মরণীয় ইতিহাস, তাঁদের নিয়ে লিখেছেন আশিস পাঠক
7 mins
August 20, 2025
ANANDAMELA
তুক্কার মা
স্নিগ্ধা এই সেন্টারের খবরটা প্রথম যে দিন দিতে এসেছিল, সে দিনই অর্পিতার চুল নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। প্রীতমের মাথায় অবশ্য বাজ পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিল, “কোথায় পাব চুল, এ কি কোনও জমানোর জিনিস নাকি?”
7 mins
August 05, 2025
ANANDAMELA
চিরস্মরণীয় শিক্ষক যাঁরা
প্রকৃত গুরুই পারেন যোগ্য ছাত্র তৈরি করতে। মহান কয়েক জন শিক্ষক, যাঁরা ছাত্রদের মধ্যে অনির্বাণ আলো জ্বেলেছিলেন, তাঁদের নিয়ে লিখেছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়
4 mins
September 05, 2025
Listen
Translate
Change font size
