Prøve GULL - Gratis
তারা এসেছিল
ANANDAMELA
|October 20, 2025
সে দিন রাতে আবার আওয়াজ শোনা গেল কাঠের বারান্দায়। কোনও ডাক নয়। বুক ঘষটে থপ থপ শব্দে কিছু উঠে আসার শব্দ যেন। কেন জানি না, টমির মনে হল, দরজা খোলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। জানলার পর্দাটা সরিয়ে উঁকি দিল বারান্দায়
নভেম্বর মাসের প্রায় শেষ। ফ্লোরিডায় বিশাল লেকটার প্রায় লাগোয়া ছবির মতো কটেজটার । জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল তমোজিৎ। স্কুলে ফিফ্থ স্ট্যান্ডার্ডের তমোজিৎ মিত্র। বাবা, মা, স্কুলের বন্ধুরা...সকলের কাছে সে টমি। বাবা তীর্থব্রত মিত্র একজন নামী আবহাওয়াবিজ্ঞানী। মা মার্গারেট মিত্রও তাই। একই অফিসে কাজ করে দু'জনেই। ওদের এখানে মানে ফ্লোরিডায় ভীষণ ঝড়বৃষ্টি আর বন্যা হয় বলতে গেলে প্রায় ফি বছর। আগাম সে সবের জানান দেওয়াই নাকি মা আর বাবার কাজ। সেই সব গবেষণার কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত দু'জনেই। স্কুল, হোমওয়ার্ক এ সব নিয়ে টমির জীবনও রুটিনে বাঁধা। সকালবেলা সামনে বড় রাস্তার উপর স্কুলের হলুদ বাসটা এসে দাঁড়ানো মাত্র “বাই, হানি!” বলে ওকে তুলে দিয়ে গাড়ি ড্রাইভ করে অফিস ছুটবে বাবা-মা। তার আগে রোজ ব্রেকফাস্টে ভীষণ একঘেয়ে সেই অরেঞ্জ জুস, ব্রেড বাটার, বেকন আর স্ক্র্যাম্বল্ড এগ । ভাল লাগে না টমির। এখানে কিছুই ভাল লাগে না ওর! অথচ ক্যালকাটায় ওদের ওই সেই লাল ইটের পুরনো বাড়িটা! ওখান থেকেই তো বাবা এসেছিল এদেশে। দু'-তিন বছর বাদে বাদে ক্যালকাটায় যায় ওরা। ইট'স জাস্ট হেন!
গ্র্যানপা, গ্র্যাম্মা, কাকু, কাকিমা, পিসি, আর ওর সব ভাইবোনেরা...গত বছর ঠিক এই সময়েই তো গিয়েছিল ওরা। মা যদিও ও বাড়িতে থাকত না। ফলে তিন জনকেই হোটেলে থাকতে হয়েছিল। তবুও সারাটা দিন তো কাটত ওখানে। ওফ! ভাইবোনদের সঙ্গে কত খেলাধুলো, গল্প আর মজা! সাম বেস্ট মোমেন্ট'স ইন হিজ লাইফ! ফরসা মুখটা চকচক করে উঠল টমির! আজ স্যাটারডে। উইকএন্ড হলিডে সকলের। বাবার জরুরি কাজ থাকায় অফিস যেতে হয়েছে। ঘাড় ঘুরিয়ে ওয়ালক্লকটার দিকে তাকাল টমি। এগারোটা বাজতে দশ। মা বাড়িতে। একটু বাদেই দুপুরের খাবার বানিয়ে ডাকবে, “ডিনার ইজ্ রেডি, হানি! কাম ফার্স্ট।”
Denne historien er fra October 20, 2025-utgaven av ANANDAMELA.
Abonner på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av kuraterte premiumhistorier og over 9000 magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på
FLERE HISTORIER FRA ANANDAMELA
ANANDAMELA
বকুলতলার বেদি
অন্য ঘরগুলোয় তুলনায় এই তুলনায় এই ঘরের দরজাটা বেশ বড়, শক্তপোক্ত। ধীরে ধীরে দরজা খুলছে। খুলছে ভিতর দিকে। কেমন একটা ভ্যাপসা, ভিজে ভিজে গন্ধ৷ দেওয়ালে কোনও জানলা নেই। তার পরেই আঁতকে ওঠার মতো একটা দৃশ্য । ঘরটার কোনও মেঝে নেই। বিরাট এক গহ্বর। অন্ধকার।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
অপয়া
প্রলয় ওরফে পলুকে নিয়ে এক মানুষের জীবনের রহস্যময় মুহূর্তগুলোর গল্প—যার প্রতিটি দেখা যেন নতুন ঘটনার ইঙ্গিত। ভাগ্য, কাকতাল, আর মানুষের মনে জন্মানো অদ্ভুত বিশ্বাস—সব মিলিয়ে এক টানটান আবহের কাহিনি।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
আশ্চর্য ইঙ্গিত
রাতের অমাবস্যায় দেবুর দুঃসাহসিক যাত্রা তাকে নিয়ে যায় জমিদারবাড়ির রহস্যের সামনে। ভূতের ইঙ্গিতেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয় হারানো রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি, ফিরতে থাকে গ্রামের মেলা।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তারা এসেছিল
সে দিন রাতে আবার আওয়াজ শোনা গেল কাঠের বারান্দায়। কোনও ডাক নয়। বুক ঘষটে থপ থপ শব্দে কিছু উঠে আসার শব্দ যেন। কেন জানি না, টমির মনে হল, দরজা খোলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। জানলার পর্দাটা সরিয়ে উঁকি দিল বারান্দায়
8 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
চন্দনস্যর
১. বৃষ্টিভেজা সকালে বাসুদেববাবুর চোখে হঠাৎ ভেসে ওঠে পুরনো অঙ্কস্যর চন্দনস্যরের অবিকল চেহারা। ২. চল্লিশ বছর আগের মানুষটি যেন আজও অপরিবর্তিত—এ কোন রহস্য, নাকি তাঁর মনের ভুল?
12 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তাতারের বন্ধু
অলৌকিক বলে কিছু হয় না। অন্তত তাতার তো মানে না। ওর বাবা কলেজে ফিজিক্স পড়ান ৷ মা-ও কলেজে পড়ান। তবে সাইকোলজি। ঠাকুরদা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বড় পদে চাকরি করতেন। সকলের আশা তাতারও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
ভবানীবাবুর ভূত
হারু একটু ভীরু প্রকৃতির ছেলে। রীতিমতো ভয় পেয়ে সে বলল, “তা হলে কী হবে দাদা?” হরিদাস বলল, “হবে আর কী, কোনও দিন সকালে তোর দোকানে চা খেতে এসে দেখব, তুই ঘাড় লটকে মরে পড়ে আছিস।”
9 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
যেখানে ভূতের ভয়,
বিজ্ঞান নাকি বিশ্বাস? অতিপ্রাকৃত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললেন পৃথা বসু
3 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
পাহাড়ের সেই রাত
চিরকুট খুলতেই অতীতের লুকোনো সত্য চোখের সামনে ভেসে উঠল। অভয়জির অলৌকিক ক্ষমতার আড়ালে যে ভয়াবহ অন্ধকার লুকিয়ে আছে, তা বুঝতে দেরি হল না।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
বশীকান্ত
নন্দুর উপস্থিতি টের পেয়ে বশীকান্ত একশো আশি ডিগ্রি মাথাটা ঘুরিয়ে বলল, “আরে নন্দুদা যে! আজ তোমার ছুটি, আমিই বাবুর পছন্দের রান্না করছি।” ভূতে তার নাম নিচ্ছে, নন্দু আর দাঁড়াল না। পাঁই পাঁই করে ছুটে পালিয়ে এল সেখান থেকে।
10 mins
October 05, 2025
Listen
Translate
Change font size

