তুক্কার মা
ANANDAMELA
|August 05, 2025
স্নিগ্ধা এই সেন্টারের খবরটা প্রথম যে দিন দিতে এসেছিল, সে দিনই অর্পিতার চুল নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। প্রীতমের মাথায় অবশ্য বাজ পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিল, “কোথায় পাব চুল, এ কি কোনও জমানোর জিনিস নাকি?”
জায়গাটাতে এসে নিজের চোখে সব দেখেও প্রীতমের কিছুই বিশ্বাস হচ্ছিল না। এটা কী ভাবে সম্ভব! তাও শয়ে শয়ে মানুষ বাইরেটায় বসে আছে। স্নিগ্ধা অবশ্য আগেই বলে দিয়েছিল, “সময় নিয়ে যাবি ভাই। ভিড় হয় খুব, গোটা একটা দিন বসে থাকতে হতে পারে।”
মুখে সে দিন কোনও উত্তর না দিলেও বিশ্বাস করেনি। কিন্তু এখানে এসে মনে হল স্নিগ্ধা যা বলেছিল, এ সব তার থেকে বেশি না হলেও কম কিছু নয়। নিজের উপর খুব রাগ হল। বেচারা ভাল খবর নিয়ে এসেছিল। যদিও ঘটনাটা শুনে তার পরের দিন প্রীতমদের ফ্ল্যাটে দেখা করতে এসে কিছু বলেনি। তখন অবশ্য ফ্ল্যাটে লোকজনের আনাগোনা লেগেই ছিল। দফায় দফায় এক বার আত্মীয়রা, তা না হলে প্রীতম ও অর্পিতার অফিস থেকে অনেকে দেখা করতে আসছিল। প্রায় সকলে তুক্কার জন্যে চকলেট এনেছিল। কোলে তুলে আদর করার পাশাপাশি প্রীতম অনেকের চোখেই একটা প্রশ্ন দেখতে পেয়েছিল, “এই তিন বছরের বাচ্চাটার কী হবে, কে দেখবে একে?” সেই মুহূর্তে সোজাসুজি কেউ হয়তো প্রীতমকে জিজ্ঞেস করেনি। কিন্তু এক মাস হয়ে যেতেই সকলে এই প্রশ্নটা বার বার করতে থাকে।
অর্পিতার মা এসে তিন সপ্তাহ প্রীতমদের ফ্ল্যাটে থাকলেন। এমনিতে অর্পিতা বেঁচে থাকার সময় ঘরের কাজকর্ম ও রান্না করার জন্য এক জন ছিল। অর্পিতা অফিস জয়েন করার পর তুক্কাকে সারা দিন দেখাশোনা করার জন্যও আর-এক জনকে রাখা হয়। সে দিক থেকে কোনও ঝামেলা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ঝামেলা আরম্ভ হল উল্টো দিকে। বাড়িতে যত দিন দিদিমা, তুক্কার পিসি ও এক মাসির কেউ না কেউ ছিল, তত দিন কোনও কিছু হয়নি। ওঁরা চলে যেতেই তুক্কা ‘মা-মা' বলে এমন কান্নাকাটি আরম্ভ করল যে, তাকে বাড়িতে রাখা একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠল।
প্রীতমের অফিস বন্ধ হল । তুক্কাকে নিয়ে এক বার নিজের দেশের বাড়ি, এক বার শ্বশুরবাড়ি ও অন্যান্য আত্মীয়দের বাড়িতেও ঘুরে বেড়াতে হল। সকলে বলল, “ঠিক আছে এখন মায়ের জন্য মন খারাপ করছে। ওকে কিছু দিন আমাদের কাছে রেখে যাও।”
このストーリーは、ANANDAMELA の August 05, 2025 版からのものです。
Magzter GOLD を購読すると、厳選された何千ものプレミアム記事や、10,000 以上の雑誌や新聞にアクセスできます。
すでに購読者ですか? サインイン
ANANDAMELA からのその他のストーリー
ANANDAMELA
বকুলতলার বেদি
অন্য ঘরগুলোয় তুলনায় এই তুলনায় এই ঘরের দরজাটা বেশ বড়, শক্তপোক্ত। ধীরে ধীরে দরজা খুলছে। খুলছে ভিতর দিকে। কেমন একটা ভ্যাপসা, ভিজে ভিজে গন্ধ৷ দেওয়ালে কোনও জানলা নেই। তার পরেই আঁতকে ওঠার মতো একটা দৃশ্য । ঘরটার কোনও মেঝে নেই। বিরাট এক গহ্বর। অন্ধকার।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
অপয়া
প্রলয় ওরফে পলুকে নিয়ে এক মানুষের জীবনের রহস্যময় মুহূর্তগুলোর গল্প—যার প্রতিটি দেখা যেন নতুন ঘটনার ইঙ্গিত। ভাগ্য, কাকতাল, আর মানুষের মনে জন্মানো অদ্ভুত বিশ্বাস—সব মিলিয়ে এক টানটান আবহের কাহিনি।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
আশ্চর্য ইঙ্গিত
রাতের অমাবস্যায় দেবুর দুঃসাহসিক যাত্রা তাকে নিয়ে যায় জমিদারবাড়ির রহস্যের সামনে। ভূতের ইঙ্গিতেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয় হারানো রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি, ফিরতে থাকে গ্রামের মেলা।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তারা এসেছিল
সে দিন রাতে আবার আওয়াজ শোনা গেল কাঠের বারান্দায়। কোনও ডাক নয়। বুক ঘষটে থপ থপ শব্দে কিছু উঠে আসার শব্দ যেন। কেন জানি না, টমির মনে হল, দরজা খোলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। জানলার পর্দাটা সরিয়ে উঁকি দিল বারান্দায়
8 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
চন্দনস্যর
১. বৃষ্টিভেজা সকালে বাসুদেববাবুর চোখে হঠাৎ ভেসে ওঠে পুরনো অঙ্কস্যর চন্দনস্যরের অবিকল চেহারা। ২. চল্লিশ বছর আগের মানুষটি যেন আজও অপরিবর্তিত—এ কোন রহস্য, নাকি তাঁর মনের ভুল?
12 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তাতারের বন্ধু
অলৌকিক বলে কিছু হয় না। অন্তত তাতার তো মানে না। ওর বাবা কলেজে ফিজিক্স পড়ান ৷ মা-ও কলেজে পড়ান। তবে সাইকোলজি। ঠাকুরদা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বড় পদে চাকরি করতেন। সকলের আশা তাতারও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
ভবানীবাবুর ভূত
হারু একটু ভীরু প্রকৃতির ছেলে। রীতিমতো ভয় পেয়ে সে বলল, “তা হলে কী হবে দাদা?” হরিদাস বলল, “হবে আর কী, কোনও দিন সকালে তোর দোকানে চা খেতে এসে দেখব, তুই ঘাড় লটকে মরে পড়ে আছিস।”
9 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
যেখানে ভূতের ভয়,
বিজ্ঞান নাকি বিশ্বাস? অতিপ্রাকৃত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললেন পৃথা বসু
3 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
পাহাড়ের সেই রাত
চিরকুট খুলতেই অতীতের লুকোনো সত্য চোখের সামনে ভেসে উঠল। অভয়জির অলৌকিক ক্ষমতার আড়ালে যে ভয়াবহ অন্ধকার লুকিয়ে আছে, তা বুঝতে দেরি হল না।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
বশীকান্ত
নন্দুর উপস্থিতি টের পেয়ে বশীকান্ত একশো আশি ডিগ্রি মাথাটা ঘুরিয়ে বলল, “আরে নন্দুদা যে! আজ তোমার ছুটি, আমিই বাবুর পছন্দের রান্না করছি।” ভূতে তার নাম নিচ্ছে, নন্দু আর দাঁড়াল না। পাঁই পাঁই করে ছুটে পালিয়ে এল সেখান থেকে।
10 mins
October 05, 2025
Listen
Translate
Change font size

