कोशिश गोल्ड - मुक्त
এক বল তিন ছক্কা
ANANDAMELA
|5 Sep, 2024
গোবিন্দবাবু যে ঘরে খুন হয়েছেন, ঘনশ্যাম সেখানে তাদের নিয়ে গেল। বিছানার চাদরে তখনও চাপ চাপ জমাট বাধা রক্ত। কর্নেল বলল, “গোবিন্দবাবুর দেহ যখন পাওয়া যায়নি, তখন তিনি খুন না-ও হতে পারেন।” সত্যরঞ্জন বলল, “কিন্তু বিছানায় যে জমাট বাধা রক্ত!”
সকালে প্রাতভ্রমণ সেরে এসে কর্নেল রামপাল সিংহ বারান্দায় বসে চা খাচ্ছে। খবরের কাগজটা টেবিলে রাখা। মোটামুটি শিরোনামে চোখ বোলানো হয়ে গেছে। একঘেয়ে সব খবর। সবাই যেন আদর্শের পথ থেকে একটু একটু করে দূরে সরে যাচ্ছে। এত অন্ধকারে আলো কোথায়!
নীচে কর্নেলের সহকারী সত্যরঞ্জন লনের সামনে ফুলগাছগুলোয় জল দিচ্ছে। সঙ্গে আছে রঘু। সে এ বাড়ির দেখাশোনা করে। সত্যরঞ্জন মিত্র কর্নেলের পুরনো সহকর্মী। সে এই বাড়ির এক তলাতেই থাকে।
হঠাৎ এক জন এসে বাইরের গেটে বেল বাজাল। রঘু এগিয়ে গিয়ে গেট খুলল। লোকটার চুল উস্কোখুস্কো। মুখে অনেক দিনের না-কামানো দাড়ি। পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি। লোকটা হাঁপাচ্ছে। দেখে মনে হয়, দূর থেকে আসছে। রঘু গেট খুলে তাকে জিজ্ঞেস করল, “কী দরকার? কাকে চাই?”
লোকটা বলল, “এটা কি গোয়েন্দা কর্নেল রামপাল সিংহের বাড়ি? আমি অনেক দূর থেকে আসছি। তাঁর সঙ্গে দেখা করা আমার ভীষণ দরকার।”
উপরের বারান্দা থেকে কর্নেল ব্যাপারটা দেখে আন্দাজ করতে পেরেছিল। সে ইশারা করে সত্যরঞ্জনকে বলল, লোকটাকে উপরে পাঠিয়ে দিতে। লোকটা পাশের কাঠের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে এল। কর্নেল তাকে সামনের চেয়ারটায় বসতে বলল। লোকটা হাত জোড় করে কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তার পর ইতস্তত করে চেয়ারটায় বসল।
বসে সে বলতে শুরু করল, “হুজুর, আমি ঘনশ্যাম। মেদিনীপুরের শতদল রাজবাড়ি থেকে আসছি। আমার মনিব, জমিদার গোবিন্দবাবু খুন হয়েছেন। বিছানায় রক্তের দাগ। সকাল থেকে তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। বাবু বোধ হয় আর বেঁচে নেই।”
এই বলে ঘনশ্যাম হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিল। কিছু ক্ষণ বাদে থেমে সে পকেট থেকে একটা খাম বের করে কর্নেলের হাতে দিয়ে বলল, “বাবু আগে থেকেই বোধ হয় এটা টের পাচ্ছিলেন। ক'দিন আগে আমাকে ডেকে বললেন, ‘দ্যাখ ঘনশ্যাম, আমার যদি কিছু হয়, তা হলে ড্রয়ারে একটা খাম রাখা আছে। তার ভিতরে একটা চিঠি আছে। উপরে কর্নেলসাহেবের ঠিকানা লেখা আছে। তুই সোজা চিঠিটা নিয়ে গিয়ে কলকাতায় কর্নেল সাহেবের হাতে পৌঁছে দিবি।” কর্নেল ঘনশ্যামের হাত থেকে মুখবন্ধ খামটা নিয়ে খুলে ফেলল। ভিতরে একটা চিঠি। নীচে গোবিন্দ রায়চৌধুরীর সই। চিঠিতে লেখা,
यह कहानी ANANDAMELA के 5 Sep, 2024 संस्करण से ली गई है।
हजारों चुनिंदा प्रीमियम कहानियों और 10,000 से अधिक पत्रिकाओं और समाचार पत्रों तक पहुंचने के लिए मैगज़्टर गोल्ड की सदस्यता लें।
क्या आप पहले से ही ग्राहक हैं? साइन इन करें
ANANDAMELA से और कहानियाँ
ANANDAMELA
বকুলতলার বেদি
অন্য ঘরগুলোয় তুলনায় এই তুলনায় এই ঘরের দরজাটা বেশ বড়, শক্তপোক্ত। ধীরে ধীরে দরজা খুলছে। খুলছে ভিতর দিকে। কেমন একটা ভ্যাপসা, ভিজে ভিজে গন্ধ৷ দেওয়ালে কোনও জানলা নেই। তার পরেই আঁতকে ওঠার মতো একটা দৃশ্য । ঘরটার কোনও মেঝে নেই। বিরাট এক গহ্বর। অন্ধকার।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
অপয়া
প্রলয় ওরফে পলুকে নিয়ে এক মানুষের জীবনের রহস্যময় মুহূর্তগুলোর গল্প—যার প্রতিটি দেখা যেন নতুন ঘটনার ইঙ্গিত। ভাগ্য, কাকতাল, আর মানুষের মনে জন্মানো অদ্ভুত বিশ্বাস—সব মিলিয়ে এক টানটান আবহের কাহিনি।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
আশ্চর্য ইঙ্গিত
রাতের অমাবস্যায় দেবুর দুঃসাহসিক যাত্রা তাকে নিয়ে যায় জমিদারবাড়ির রহস্যের সামনে। ভূতের ইঙ্গিতেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয় হারানো রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি, ফিরতে থাকে গ্রামের মেলা।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তারা এসেছিল
সে দিন রাতে আবার আওয়াজ শোনা গেল কাঠের বারান্দায়। কোনও ডাক নয়। বুক ঘষটে থপ থপ শব্দে কিছু উঠে আসার শব্দ যেন। কেন জানি না, টমির মনে হল, দরজা খোলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। জানলার পর্দাটা সরিয়ে উঁকি দিল বারান্দায়
8 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
চন্দনস্যর
১. বৃষ্টিভেজা সকালে বাসুদেববাবুর চোখে হঠাৎ ভেসে ওঠে পুরনো অঙ্কস্যর চন্দনস্যরের অবিকল চেহারা। ২. চল্লিশ বছর আগের মানুষটি যেন আজও অপরিবর্তিত—এ কোন রহস্য, নাকি তাঁর মনের ভুল?
12 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তাতারের বন্ধু
অলৌকিক বলে কিছু হয় না। অন্তত তাতার তো মানে না। ওর বাবা কলেজে ফিজিক্স পড়ান ৷ মা-ও কলেজে পড়ান। তবে সাইকোলজি। ঠাকুরদা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বড় পদে চাকরি করতেন। সকলের আশা তাতারও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
ভবানীবাবুর ভূত
হারু একটু ভীরু প্রকৃতির ছেলে। রীতিমতো ভয় পেয়ে সে বলল, “তা হলে কী হবে দাদা?” হরিদাস বলল, “হবে আর কী, কোনও দিন সকালে তোর দোকানে চা খেতে এসে দেখব, তুই ঘাড় লটকে মরে পড়ে আছিস।”
9 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
যেখানে ভূতের ভয়,
বিজ্ঞান নাকি বিশ্বাস? অতিপ্রাকৃত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললেন পৃথা বসু
3 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
পাহাড়ের সেই রাত
চিরকুট খুলতেই অতীতের লুকোনো সত্য চোখের সামনে ভেসে উঠল। অভয়জির অলৌকিক ক্ষমতার আড়ালে যে ভয়াবহ অন্ধকার লুকিয়ে আছে, তা বুঝতে দেরি হল না।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
বশীকান্ত
নন্দুর উপস্থিতি টের পেয়ে বশীকান্ত একশো আশি ডিগ্রি মাথাটা ঘুরিয়ে বলল, “আরে নন্দুদা যে! আজ তোমার ছুটি, আমিই বাবুর পছন্দের রান্না করছি।” ভূতে তার নাম নিচ্ছে, নন্দু আর দাঁড়াল না। পাঁই পাঁই করে ছুটে পালিয়ে এল সেখান থেকে।
10 mins
October 05, 2025
Listen
Translate
Change font size

