कोशिश गोल्ड - मुक्त
আশ্চর্য লাঠি
ANANDAMELA
|5 Sep, 2024
মস্তানদের পিটিয়ে সিধে করে পচা বাজারে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে। সে আমাদের গর্ব। আমরা তাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব।”
পচা, মানে পঞ্চাননের চেহারার কোনও ছিরিছাঁদ নেই। দেখতে ঢ্যাঙা, সিড়িঙ্গেপানা। গা-গতরে একদম গত্তি নেই। রং কালো, মুখে বসন্তের দাগ। তার ভাবভঙ্গি গোবেচারা ধরনের হলেও মনের দিক থেকে সে খুব মারকুটে। মানুষের উপর জুলুম হতে দেখলেই তার রক্ত গরম হয়ে যায়। নাকের পাটা ফুলে ওঠে। মাথার মধ্যে দপদপ করতে থাকে। হাত নিশপিশ করে। কিন্তু গায়ের জোরে পেরে উঠবে না ভেবে, শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে সে।
গঞ্জের বাসস্ট্যান্ডের কাছে পচার একটা ঝুপড়ি চায়ের দোকান। গোটা কয়েক তেল-চিটচিটে কাপ-প্লেট, একটা কয়লার উনুন, লেড়ো বিস্কুটের দু'-তিনটে বয়াম, সসপ্যান আর খানদুয়েক সস্তা কাঠের বেঞ্চ নিয়ে তার কাজ-কারবার। দোকান থেকে যা আয় হয়, তাতে তার মোটামুটি চলে যায়। কিন্তু তাতে ছাই দিতেই যেন উঠেপড়ে লেগেছে কালু আর তার দলবল। চার দিকে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দোকানে দোকানে এসে টাকা তুলছে। না দিলে মারধর করছে। ভাঙচুর চালাচ্ছে। একটুও ট্যাঁ ফোঁ করার উপায় নেই। নিয়মমাফিক পুলিশের ভ্যান দু'-এক বার টহল দিয়ে গেলেও আসল সময়ে তাদের নো-পাত্তা।
রোজকার মতো সাতসকালে দোকান খুলে বসলেও পচার কিছুই ভাল্লাগছে না। আজ। খদ্দের একদম নেই। তাই চুপ করে বসে মাছি তাড়ানো ছাড়া তার আর কী-ই বা করার আছে!
পচা বসে বসে সাত-পাঁচ ভাবছে। ভাবছে আর রাগছে। বেলা যত বাড়ছে, রাগও তত বাড়ছে। রাগের চোটে পচা মনে মনে কালু মস্তানকে আচ্ছা করে পেটাচ্ছে। পিটিয়ে একেবারে নাক-মুখ ফাটিয়ে দিচ্ছে। এমন সময় রংবাজ টাইপের দু'জন লোক এসে বসল পচার দোকানে। তাদের এক জন হুকুম করল, “পচা, জলদি দুটো আদা চা দে তো। সঙ্গে ভাল বিস্কুট দিস।”
অনেক ক্ষণ দোকান আগলে বসে থাকার পর দুটো চায়ের অর্ডার পেয়ে পচা বেশ চনমনে হয়ে উঠল। আগডুম-বাগডুম ভাবনা ফেলে সে খদ্দেরদের দিকে নজর দিল। হাত কচলাতে কচলাতে সে বলল, “এজ্ঞে, দিচ্ছি বাবু। তবে আদা তো নেই।” “নেই? আচ্ছা ঠিক আছে। যা আছে তা-ই দে।”
পচা চটপট দুটো চা তৈরি করে ফেলল। তার পর কাপ দুটো ঠকাস করে বেঞ্চের উপর নামিয়ে রেখে বলল, “এই নিন বাবুরা, এক্কেবারে ইস্পিশাল চা করে দিচি।” শীতের সকালে আয়েশ করে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে দ্বিতীয় জন প্রথম জনকে বলল “ এই পল্টন, পচাকে এ বার গুরুর কথাটা বল না।” বার দুয়েক চায়ে চুমুক দিয়ে পল্টন বলল, “পচা, তোকে একটা কথা বলব বলে আমরা এসেছি।” “কী কথা?”
यह कहानी ANANDAMELA के 5 Sep, 2024 संस्करण से ली गई है।
हजारों चुनिंदा प्रीमियम कहानियों और 10,000 से अधिक पत्रिकाओं और समाचार पत्रों तक पहुंचने के लिए मैगज़्टर गोल्ड की सदस्यता लें।
क्या आप पहले से ही ग्राहक हैं? साइन इन करें
ANANDAMELA से और कहानियाँ
ANANDAMELA
বকুলতলার বেদি
অন্য ঘরগুলোয় তুলনায় এই তুলনায় এই ঘরের দরজাটা বেশ বড়, শক্তপোক্ত। ধীরে ধীরে দরজা খুলছে। খুলছে ভিতর দিকে। কেমন একটা ভ্যাপসা, ভিজে ভিজে গন্ধ৷ দেওয়ালে কোনও জানলা নেই। তার পরেই আঁতকে ওঠার মতো একটা দৃশ্য । ঘরটার কোনও মেঝে নেই। বিরাট এক গহ্বর। অন্ধকার।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
অপয়া
প্রলয় ওরফে পলুকে নিয়ে এক মানুষের জীবনের রহস্যময় মুহূর্তগুলোর গল্প—যার প্রতিটি দেখা যেন নতুন ঘটনার ইঙ্গিত। ভাগ্য, কাকতাল, আর মানুষের মনে জন্মানো অদ্ভুত বিশ্বাস—সব মিলিয়ে এক টানটান আবহের কাহিনি।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
আশ্চর্য ইঙ্গিত
রাতের অমাবস্যায় দেবুর দুঃসাহসিক যাত্রা তাকে নিয়ে যায় জমিদারবাড়ির রহস্যের সামনে। ভূতের ইঙ্গিতেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয় হারানো রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি, ফিরতে থাকে গ্রামের মেলা।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তারা এসেছিল
সে দিন রাতে আবার আওয়াজ শোনা গেল কাঠের বারান্দায়। কোনও ডাক নয়। বুক ঘষটে থপ থপ শব্দে কিছু উঠে আসার শব্দ যেন। কেন জানি না, টমির মনে হল, দরজা খোলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। জানলার পর্দাটা সরিয়ে উঁকি দিল বারান্দায়
8 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
চন্দনস্যর
১. বৃষ্টিভেজা সকালে বাসুদেববাবুর চোখে হঠাৎ ভেসে ওঠে পুরনো অঙ্কস্যর চন্দনস্যরের অবিকল চেহারা। ২. চল্লিশ বছর আগের মানুষটি যেন আজও অপরিবর্তিত—এ কোন রহস্য, নাকি তাঁর মনের ভুল?
12 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তাতারের বন্ধু
অলৌকিক বলে কিছু হয় না। অন্তত তাতার তো মানে না। ওর বাবা কলেজে ফিজিক্স পড়ান ৷ মা-ও কলেজে পড়ান। তবে সাইকোলজি। ঠাকুরদা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বড় পদে চাকরি করতেন। সকলের আশা তাতারও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
ভবানীবাবুর ভূত
হারু একটু ভীরু প্রকৃতির ছেলে। রীতিমতো ভয় পেয়ে সে বলল, “তা হলে কী হবে দাদা?” হরিদাস বলল, “হবে আর কী, কোনও দিন সকালে তোর দোকানে চা খেতে এসে দেখব, তুই ঘাড় লটকে মরে পড়ে আছিস।”
9 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
যেখানে ভূতের ভয়,
বিজ্ঞান নাকি বিশ্বাস? অতিপ্রাকৃত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললেন পৃথা বসু
3 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
পাহাড়ের সেই রাত
চিরকুট খুলতেই অতীতের লুকোনো সত্য চোখের সামনে ভেসে উঠল। অভয়জির অলৌকিক ক্ষমতার আড়ালে যে ভয়াবহ অন্ধকার লুকিয়ে আছে, তা বুঝতে দেরি হল না।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
বশীকান্ত
নন্দুর উপস্থিতি টের পেয়ে বশীকান্ত একশো আশি ডিগ্রি মাথাটা ঘুরিয়ে বলল, “আরে নন্দুদা যে! আজ তোমার ছুটি, আমিই বাবুর পছন্দের রান্না করছি।” ভূতে তার নাম নিচ্ছে, নন্দু আর দাঁড়াল না। পাঁই পাঁই করে ছুটে পালিয়ে এল সেখান থেকে।
10 mins
October 05, 2025
Listen
Translate
Change font size

