প্রকৃতির স্থপতি
ANANDAMELA
|September 05, 2025
শ্রম, সৌন্দর্য ও বুদ্ধি দিয়ে তৈরি পাখির বাসায় মেলে আশ্চর্য শিল্পের ছোঁয়া। লিখেছেন পৌলমী ঘোষ
প্রকৃতি আমাদের প্রতি নিয়ত বিস্মিত করে। তার নানা রূপ, রং, ধ্বনি ও গন্ধের মাঝে এক অসাধারণ অংশ হল পাখি ৷ কিন্তু শুধু তাদের গানের জন্য বা রঙিন পালকের জন্য নয়, পাখিদের আরও একটি বিস্ময়কর দিক আছে, যা অনেকেই জানেন না। তারা আশ্চর্য দক্ষতায় বাসা তৈরি করে। পাখিরা প্রকৃতির স্থপতি। তাদের বাসা শুধু একটি নিরাপদ আশ্রয় নয়, এটি তাদের নির্মাণশৈলীর প্রতিফলনও। মানুষের মতো স্থপতি ও প্রযুক্তিবিদরা যখন নতুন ডিজ়াইন তৈরি করেন, তখন প্রকৃতি থেকে অনুপ্রেরণা নেন। পাখিদের বাসা তৈরি করার কৌশল তাই আধুনিক স্থাপত্যের জন্য এক অনন্য রেফারেন্স!
বুননের চমৎকার শিল্প: বাবুই পাখি বুনন পাখিরা তাদের বাসা এমন দক্ষতার সঙ্গে বোনে, যে আপনি ভাবতে বাধ্য হবেন, এই ছোট্ট পাখিটা কি সত্যিই নিজের ঠোঁট দিয়ে এটি তৈরি করেছে? পাতার ফাইবার তৃণ, ছোট ছোট গাছের ডাল ব্যবহার করে তারা তৈরি করে দোলনার মতো ঝুলন্ত বাসা। যা দেখে মনে হয় কারিগররা হাতে বুনে তৈরি করেছে। পুরুষ বুনন পাখি একাধিক বাসা বানায় আর স্ত্রী পাখিরা সেই বাসা বেছে নেয়, যেটি সবচেয়ে বেশি শক্তপোক্ত ও সুন্দর।
আর্ট গ্যালারি: বাওয়ার বার্ড অস্ট্রেলিয়া ও নিউ গিনির বাসিন্দা বাওয়ার বার্ড একটি সম্পূর্ণ অন্যরকম উদাহরণ। তারা বাসা তৈরি না করে, বানায় বাওয়ার—একটি প্রদর্শনী এলাকা। পুরুষ পাখিটি রঙিন ফুল, পাতা, পাথর, এমনকি মানুষের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের টুকরো পর্যন্ত দিয়ে সাজিয়ে তোলে একটি চমৎকার জায়গা। সেখানে সে স্ত্রী পাখিকে ডেকে আনার চেষ্টা করে। যেন একটা প্রকৃত আর্ট গ্যালারি!
খাওয়ার যোগ্য বাসা: বাতাসি বা বাঁশপাতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেখা মেলে এই বিশেষ পাখির, যাদের বাসা মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সুইফ্টলেট পাখিরা নিজেদের মুখের লালার সাহায্যে গুহার দেওয়ালে আটকে দেয় সাদা রঙের, অর্ধেক-তৈরি বাসা। চিনে এটা একটা দামি উপাদান, যা ‘বার্ড নেস্ট সুপ’-এর মূল উপকরণ। কখনও বাসা তৈরির জন্য বিপজ্জনক গুহাতেও প্রবেশ করে এরা।
Esta historia es de la edición September 05, 2025 de ANANDAMELA.
Suscríbete a Magzter GOLD para acceder a miles de historias premium seleccionadas y a más de 9000 revistas y periódicos.
¿Ya eres suscriptor? Iniciar sesión
MÁS HISTORIAS DE ANANDAMELA
ANANDAMELA
বকুলতলার বেদি
অন্য ঘরগুলোয় তুলনায় এই তুলনায় এই ঘরের দরজাটা বেশ বড়, শক্তপোক্ত। ধীরে ধীরে দরজা খুলছে। খুলছে ভিতর দিকে। কেমন একটা ভ্যাপসা, ভিজে ভিজে গন্ধ৷ দেওয়ালে কোনও জানলা নেই। তার পরেই আঁতকে ওঠার মতো একটা দৃশ্য । ঘরটার কোনও মেঝে নেই। বিরাট এক গহ্বর। অন্ধকার।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
অপয়া
প্রলয় ওরফে পলুকে নিয়ে এক মানুষের জীবনের রহস্যময় মুহূর্তগুলোর গল্প—যার প্রতিটি দেখা যেন নতুন ঘটনার ইঙ্গিত। ভাগ্য, কাকতাল, আর মানুষের মনে জন্মানো অদ্ভুত বিশ্বাস—সব মিলিয়ে এক টানটান আবহের কাহিনি।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
আশ্চর্য ইঙ্গিত
রাতের অমাবস্যায় দেবুর দুঃসাহসিক যাত্রা তাকে নিয়ে যায় জমিদারবাড়ির রহস্যের সামনে। ভূতের ইঙ্গিতেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয় হারানো রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি, ফিরতে থাকে গ্রামের মেলা।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তারা এসেছিল
সে দিন রাতে আবার আওয়াজ শোনা গেল কাঠের বারান্দায়। কোনও ডাক নয়। বুক ঘষটে থপ থপ শব্দে কিছু উঠে আসার শব্দ যেন। কেন জানি না, টমির মনে হল, দরজা খোলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। জানলার পর্দাটা সরিয়ে উঁকি দিল বারান্দায়
8 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
চন্দনস্যর
১. বৃষ্টিভেজা সকালে বাসুদেববাবুর চোখে হঠাৎ ভেসে ওঠে পুরনো অঙ্কস্যর চন্দনস্যরের অবিকল চেহারা। ২. চল্লিশ বছর আগের মানুষটি যেন আজও অপরিবর্তিত—এ কোন রহস্য, নাকি তাঁর মনের ভুল?
12 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তাতারের বন্ধু
অলৌকিক বলে কিছু হয় না। অন্তত তাতার তো মানে না। ওর বাবা কলেজে ফিজিক্স পড়ান ৷ মা-ও কলেজে পড়ান। তবে সাইকোলজি। ঠাকুরদা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বড় পদে চাকরি করতেন। সকলের আশা তাতারও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
ভবানীবাবুর ভূত
হারু একটু ভীরু প্রকৃতির ছেলে। রীতিমতো ভয় পেয়ে সে বলল, “তা হলে কী হবে দাদা?” হরিদাস বলল, “হবে আর কী, কোনও দিন সকালে তোর দোকানে চা খেতে এসে দেখব, তুই ঘাড় লটকে মরে পড়ে আছিস।”
9 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
যেখানে ভূতের ভয়,
বিজ্ঞান নাকি বিশ্বাস? অতিপ্রাকৃত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললেন পৃথা বসু
3 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
পাহাড়ের সেই রাত
চিরকুট খুলতেই অতীতের লুকোনো সত্য চোখের সামনে ভেসে উঠল। অভয়জির অলৌকিক ক্ষমতার আড়ালে যে ভয়াবহ অন্ধকার লুকিয়ে আছে, তা বুঝতে দেরি হল না।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
বশীকান্ত
নন্দুর উপস্থিতি টের পেয়ে বশীকান্ত একশো আশি ডিগ্রি মাথাটা ঘুরিয়ে বলল, “আরে নন্দুদা যে! আজ তোমার ছুটি, আমিই বাবুর পছন্দের রান্না করছি।” ভূতে তার নাম নিচ্ছে, নন্দু আর দাঁড়াল না। পাঁই পাঁই করে ছুটে পালিয়ে এল সেখান থেকে।
10 mins
October 05, 2025
Listen
Translate
Change font size

