ওয়াইন এবং খাবারের পেয়ারিং হল দু'জন মানুষের প্রেমের সম্পর্কের মতো

এমনটাই মনে করেন ওয়াইন সোমেলিয় জিয়ুলিয়া বিসকন্টিন। ওয়াইন নিয়ে তাঁর তীব্র প্যাশনের সাক্ষী রইলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।

- সংবেত্তা চক্রবর্তী।

চায়ের সঙ্গে টা, কফির সঙ্গে স্ন্যাক্সের ঠিকঠাক জুটি মেলা যে কতটা চা জরুরি, আমরা ভাল মতোই জানি। ততটাই জরুরি হল ‘ওয়াইন অ্যান্ড ফুড পেয়ারিং'। ইটালিয়ান ওয়াইন সোমেলিয়র জিয়ুলিয়া বিসকন্টিনের 'স্পেশ্যালাইজেশন’এর জায়গা এটাই। ওয়াইন পেয়ারিং, ওয়াইন ইভেন্ট কনসাল্টেশন, ওয়াইন আমদানি ও রফতানি মিলিয়ে রীতিমতো চিত্তাকর্ষক পোর্টফোলিয়ো তাঁর, তবে সবচেয়ে মজা পান রকমারি ওয়াইনের সঙ্গে নানা স্বাদের খাবারের জুটি মিলিয়েই। উত্তর-পূর্ব ইটালির ভেনেতো নামে যে জায়গায় জিয়ুলিয়ার বেড়ে ওঠা, তা ওয়াইন উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। “ছোট বয়স থেকেই বাড়ির খাবার টেবিলে বিভিন্ন ধরনের ওয়াইন দেখেছি। দেখেছি, সকলে ওয়াইন কতটা পছন্দ করেন। ওয়াইন সম্পর্কে কৌতূহলের শুরুও তখন থেকেই। নিজে যখন চেখে দেখার বয়সে পৌঁছলাম, তখন দেখলাম ওয়াইনের দুনিয়ায় স্বাদের কী বিপুল বৈচিত্র। অথচ প্রতিটা ভ্যারিয়্যান্টই তৈরি হচ্ছে আঙুর থেকে! আরও জানার আগ্রহ বাড়ল, পড়াশোনা করতে শুরু করলাম,” বলছিলেন জিয়ুলিয়া। ইতালির সোমেলিয়র অ্যাসোসিয়েশনে কোর্স করে, আরও বিশদে জানলেন ইটালিয়ান ওয়াইন এবং পাশাপাশি ওয়াইন ও খাবারের পেয়ারিং নিয়ে। ভাল ওয়াইন বানানোর পদ্ধতি, টেকনিক্যাল খুঁটিনাটি, ইটালিয়ান ওয়াইনের বিপুল বৈচিত্র সম্পর্কে জানা, ওয়াইনের রং, অ্যারোমা ও প্যালেট যাচাই করে তার সম্পর্কে সার্বিক ধারণা তৈরি করা, এবং খাবারের সঙ্গে তার জুটি মেলানো— সবটাই ছিল কোর্সে। ওয়াইনের বৈচিত্র সম্পর্কে জানতে গিয়ে যেমন আঙুরের ধরন নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়েছে, তেমন খাবারের সঙ্গে পেয়ারিং বোঝার জন্য আহরণ করতে হয়েছে ভূগোলের জ্ঞান। তবে জিয়ুলিয়ার মতে, ফুড পেয়ারিংয়ের বিষয়টাই ওয়াইনের প্রতি তাঁর প্যাশনকে ধরে রেখেছিল। “ওয়াইন এবং খাবারের পেয়ারিং হল, দু'জন মানুষের প্রেমের সম্পর্কের