আমার গানে মেলোডির প্রাধান্য সব সময় বেশি :নীল দত্ত

কীভাবে সঙ্গীতকে পেশা হিসেবে নিলেন তিনি? অঞ্জন দত্তর ছেলে বলে? নীল দত্ত বললেন মনের কথা। শুনলেন সায়ক বসু

- সায়ক বসু

পিতা অঞ্জন দত্ত গীতিকার-সুরকার-গায়ক ছিলেন বলেই কি গানকে পেশা করার বিষয়টা আপনার মধ্যে স্বাভাবিকভাবে এসেছে? সত্যি বলতে কী, কোনওদিনও ভাবিনি গান নিয়ে এগোব এবং সেটা প্রফেশনালি। গোটা বিষয়টাই একটা ফ্যাসিনেশনের জায়গা থেকে শুরু হয়েছিল। বাবা-মা, দু'জনেই গিটার বাজাত। বাবা তখনও গান গাওয়া শুরু করেনি। নাটক করছে। তো আমি একদিন গিটারটা নিয়ে একটা কর্ড বাজাতে চেষ্টা করছিলাম। তখন কী হত, আমি গান শুনলে গান গাইতে পারতাম। কিন্তু তেমন কোনও শখ ছিল না। শুধু স্ট্যাম্প কালেক্ট করতাম। মা এবং মাসির কাছে প্রচুর রেকর্ড ছিল। দেশি-বিদেশি। সেসব শুনতাম। ওই গিটার বাজিয়ে একটু ভাল লাগল বলতে পারেন। এবং স্কুলের বড় দাদাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গেল, ওই করে। তখন ক্লাস সিক্স। ১৩ বছর বয়স। স্কুলের বন্ধুরা মিলে 'আলি জিন' বলে একটা নাটক করছি। বাবার নাটকে লিড রোলে অভিনয় করেছি। তখন গিটার বাজানোয় কনফিডেন্স আসছে। কিন্তু গান নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবা যাকে বলে, সেটা হয়ে ওঠেনি। আমার যখন ক্লাস এইট, বাবা গান গাইতে আরম্ভ করল। আমি আমার স্কুলের এক সিনিয়র ছেলেকে বলেছিলাম বাবার সঙ্গে বাজাতে। কিন্তু তার এতই অ্যাটিটিউড যে এলই না রিহার্সালে। বাবার সঙ্গে সেই আমার গিটারে টুংটাং করা শুরু। ছেলেটির অনুপস্থিতিতে আমি বাজাতে শুরু করি। তখন কিন্তু আমার ‘শিক্ষক' আমার বন্ধুরাই। ওদের সঙ্গে কথা বলে গিটারের কর্ড জানতাম। কিন্তু বাবার সঙ্গে বাজানো শুরু করার পরে আমাদের পাড়ায় কার্লটন কিটোর কাছে শিখতে শুরু করলাম। কিন্তু উনি এতটাই অ্যাডভান্সড যে, তাল মেলাতে না পেরে শেষে অমিত দত্তর কাছে গেলাম। ওঁকে ছোটবেলা থেকে দেখতাম বা