সাফল্যের মন্ত্র লোককথায়

দুর্গম পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা অঞ্চলে ২৫০ দিনের শুট! সেটে একের পর এক দুর্ঘটনা। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন ঋষভ শেট্টি স্বয়ং। তবুও থামেনি ‘কান্তারা দ্য লেজেন্ড: চ্যাপ্টার ওয়ান'। ছবির অপার সাফল্য ফের প্রমাণ করল দক্ষিণী ছবির জনপ্রিয়তা। লিখেছেন আসিফ সালাম

- আসিফ সালাম

বছর চারেক আগের কথা। ১৫ কোটি টাকার বাজেটে একটি কন্নড় ছবি প্যান ইন্ডিয়া বক্স অফিস কাঁপিয়ে আয় করে ৪০০ কোটি টাকারও বেশি! বাণিজ্যিক কন্নড় ছবি বলতে তার আগে অবধি 'কেজিএফ' গোত্রের ছবিকেই বুঝতেন বাকি ভারতের দর্শক। সেখানে ছক ভাঙল ‘কান্তারা’। মজার বিষয় হল, ছবিটি প্রথমে প্যান ইন্ডিয়া রিলিজ়ের কথা ভাবাই হয়নি! এমনকি, নানা ভাষায় ডাবিংও করানো হয়নি। শুধুমাত্র কন্নড় ও পরে উপকূলীয় তুলু ভাষায় (কারণ সেখানকার 'ভূত কোলা' ট্র্যাডিশন নিয়ে গল্প) মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি।

কিন্তু তার ‘ওয়র্ড অফ মাউথ' এতটাই সদর্থক ছিল যে অন্য ভাষায় রিলিজ় করানোর অনুরোধ আসে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। বাকিটা ইতিহাস... প্যান ইন্ডিয়া দর্শকের কাছে ঋষভ শেট্টি তখন অপরিচিত নাম, ‘ভূত কোলা' বা 'গুলিগা দৈব'র ট্র্যাডিশন চেনা নয়। তাও সারা দেশের মানুষ, ভৌগোলিক ভাষাগত ভেদের নিরিখেই আপন করে নিয়েছিলেন ছবিটিকে। এক সাক্ষাৎকারে ঋষভ বলেন, “আপনারা ছবিটিকে ছোট বাজেটের বলছেন। কিন্তু আমার কাছে এটিই সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি। এর আগে আমি দু'কোটির ছবিও বানিয়েছি। এই প্রথম এত বড় বাজেটের ছবি করলাম। আর সে অর্থে দেখতে গেলে 'কান্তারা: দ্য লেজেন্ড' আমার প্রথম প্যান ইন্ডিয়া ছবি।” যে কোনও ছবির সাফল্য যে 'কান্তারা'র সিকোয়েলের জন্ম দেবে তা আশা করেছিলেন অনেকেই। কারণ, এমনিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি ফর্মুলা এখন হিট। কিন্তু ঋষভ ঘোষণা করলেন, ছবির প্রিকোয়েল আনবেন। তারই ফলস্বরূপ ‘কান্তারা দ্য লেজেন্ড: চ্যাপ্টার ওয়ান।' বাজেট, পরিসর, প্রস্তুতি সবই বড়। কেমন ভাবে তৈরি হল। ‘কান্তারা’ পার্ট ওয়ান? প্রায় কোনও প্রচার ছাড়াই ছবির সাফল্য কি প্রমাণ করে কনটেন্ট ভাল হলে দর্শক তা গ্রহণ করবেন? কন্নড় ছবির চেনা ঘরানাকেই বা কতটা ভাঙলেন ঋষভ শেট্টি?