শ্যারন কেট

শ্যারন ভারতগামী ‘ফিশিং ফ্লিট’ জাহাজে উঠে নতুন জীবনের অনিশ্চয়তা ও আশাকে বুকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ইংল্যান্ডে বিয়ের সংকটের চাপ থেকে মুক্তি পেতে Kolkata-র অচেনা ভবিষ্যতের দিকেই সে এগিয়ে যায় সাহস নিয়ে।

- সুজিত বসাক

শ্যারন উঠে পড়েছে ভারতগামী জাহাজে। এই বিশেষ জাহাজের নাম ‘ফিশিং ফ্লিট'। পুরো নাম শ্যারন কেট, বাবা উইলিয়াম কেট, মা এমা কেট। বাবা একজন ব্যবসায়ী, মা গৃহবধূ। আর্থিক অনটন খুব না থাকলেও উইলিয়াম ও এমার মনে শান্তি ছিল না। তার কারণ শ্যারন। উনিশ বছর হয়ে গেলেও শ্যারনের বিয়ের পাত্র জুটছিল না কিছুতেই। শ্যারন দেখতে শুনতে খুব যে ফেলনা তাও নয়। আসলে এই সময় সমগ্র ইংল্যান্ড জুড়ে চলছিল মারাত্মক পাত্রের আকাল। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেটা আঠারো শতকের শেষের দিক। ইংল্যান্ডে তখন মেয়েদের বিয়ের সমস্যা মারাত্মক। ঘরে ঘরে বিবাহযোগ্যা মেয়ে, অথচ বিবাহযোগ্য পুরুষের সংখ্যা নগণ্য। এই যখন ইংল্যান্ডের অবস্থা, ঠিক তখন ভারত তথা কলকাতার চিত্র সম্পূর্ণ অন্য। কলকাতার অবিবাহিত ইংরেজ সাহেবরা শ্বেতাঙ্গীর অভাবে বাধ্য হচ্ছে পর্তুগিজ বা ভারতীয় মেয়ে নিয়ে সংসার করতে। এর জন্য দায়ী ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পরিচালন সমিতির একটি অর্ডার। তাতে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলেছিল, ইংল্যান্ড থেকে মেয়েদের ভারতে আনা যাবে না। যদিও পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতির চাপে পড়ে তারা সেই অর্ডার ক্যানসেল করতে বাধ্য হয়। ফিশিং ফ্লিট-এ ব্রিটিশ মেয়েদের ভারতে আনার ছাড়পত্র মেলে। তার কিছুদিন পর এক রাতে উইলিয়াম এমাকে বলেছিলেন, “আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি গিন্নি। শ্যারনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেব। যতটুকু শুনেছি, ওখানে গেলে ওর বিয়ে নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। সাজেশনটা দিয়েছে আমার বন্ধু পিটার।