পরকীয়ার ফাঁদ পাতা মনে

পরকীয়ার নেপথ্যে কাজ করে কোন মনস্তত্ত্ব? শুধু কি নতুন প্রেমের উত্তেজনা, না দাম্পত্যে অপ্রাপ্তি এর কারণ? মহিলারাই বা কতটা খোলাখুলি আলোচনা করছেন তাঁদের ইচ্ছে-অনিচ্ছে নিয়ে? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।

- 

একদা আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে মনিকা লিউয়িনস্কির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে গণমাধ্যমগুলি। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হোয়াইট হাউস ইন্টার্নের প্রেমের জেরে টলতে থাকে ক্লিন্টনের পদ! দেশ-বিদেশের এমন অসংখ্য পরকীয়া বিভিন্ন সময়ে মুচমুচে গসিপের জন্ম দিয়েছে। আবার তথাকথিত সেলেবদের বাইরে সাধারণ জীবনেও এমন পরকীয়ার ঢেউ লাগে বইকি। সেই ঢেউ কারও কারও নিস্তরঙ্গ জীবনে যেমন এক দমকা বাতাসের মতো, তেমনই সেই ঢেউয়ের ধাক্কায় টালমাটাল হয় দাম্পত্য। কিন্তু পরকীয়া মানেই মুচমুচে নয়। অনেক সময়ে অসুখী দাম্পত্য জোর করে টিকিয়ে রাখতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়া মানুষ পরকীয়াতে খানিক স্বস্তি খোঁজে। ভাবতে পারেন, একটি গোটা অ্যাপ রয়েছে একস্ট্রা ম্যারিট্যাল ডেটিং নিয়ে? ভারতে অ্যাপটির সাবস্ক্রাইবার প্রায় তিন মিলিয়ন! ২০২০-র একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫৫ শতাংশ বিবাহিত ভারতীয় অন্তত একবার তাঁর স্বামী বা স্ত্রীর বিশ্বাস ভেঙেছেন। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ মহিলা। ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, একই সঙ্গে দু'জনের প্রেমে পড়া যায়। ৪৬ শতাংশ মনে করেন, কারও সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করা গর্হিত বিষয় নয়। আর এমন মানসিকতা আছে বলেই ‘প্রতারণা'র পরেও সঙ্গীকে ক্ষমা করে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। ৪৯ শতাংশ বিবাহিত ব্যক্তি পরকীয়ায় শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন, তা ক্যাজুয়াল সেক্স বা ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড—দু'টিই হতে পারে। ৪১ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, স্বামী ছাড়া অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তাঁরা নিয়মিত ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। এই অবধি পড়ে প্রশ্ন জাগে, কোন অমোঘ টানে দাম্পত্য সম্পর্কের বাইরে তৃতীয় ব্যক্তিকে মন দেন কেউ? নাকি টক্সিক সম্পর্ক দায়ী এর জন্য?