সিবলিং ডিভোর্স

সম্পর্কে কতটা ক্ষয় হলে সিবলিংদের মধ্যে হতে পারে ইমোশনাল সেপারেশন? আলোচনায় মেন্টাল হেলথ ও বিহেভিয়রল সায়েন্স কনসালট্যান্ট ডা. সঞ্জয় গর্গ লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।

- মধুরিমা সিংহ রায়।

প্রিলের মাঝামাঝি সঙ্গীতশিল্পী সোনু কক্কর সমাজমাধ্যমে হঠাৎই ঘোষণা করলেন, 'আমি এখন থেকে নেহা ও টোনির বোন নই। ওঁদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম।' তিন ভাই-বোনের মধ্যে এর আগে অবধি মধুর সম্পর্কের কথাই জানতেন সকলে। তা হলে হঠাৎ কী এমন ঘটল যে সম্পর্কে ইতি টানলেন সোনু? এর কিছু দিন আগেই সঙ্গীতশিল্পী অমাল মালিকও খানিকটা একই সুরে তাঁর বাবামায়ের কাছ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলেন। অমাল ও আরমান মালিকের পারস্পরিক সম্পর্কের সমীকরণও প্রশ্নের মুখে দাঁড়ায়। পরপর দু'টি ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি কাছের সম্পর্কগুলোতেও ঢুকে পড়ছে প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়? ভাইবোনদের মধ্যে কেউ একজন খ্যাতি বেশি পেলে অপর পক্ষ ‘লেফ্‌ট আউট' বোধ করছেন? ইমোশনাল সেপারেশন-এর নেপথ্যে কাজ করছে কোন মনস্তত্ত্ব? বিশ্লেষণের আগে দু'টি ঘটনা ভাগ করে নেওয়া যাক। একটি পরিবারে ভাই ও দিদির মধ্যে দিদি পড়াশোনায় ভাল, শান্তশিষ্ট। বাবা-মা ছেলেকে প্রায়ই দিদির উদাহরণ দিয়ে বলেন, 'দ্যাখ, দিদি কত ভাল

পড়াশোনায়, আর তুই কী করছিস!' ক্রমাগত এমন শুনতে শুনতে ভাইয়ের মনে দিদির প্রতি ঘৃণা জন্মায়। সে দিদির ঘরে ঢোকে না, পাশে বসতে চায় না। দিদি বাথরুম ব্যবহার করলে সেখানে যায় না। আর এক পরিবারের দুই প্রাপ্তবয়স্ক ভাইয়ের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ এমন জায়গায় পৌঁছোয় যে ভাই দাদার গাড়ি ভাঙচুর করেন। দাদার বাড়ির সামনে সাবান জল ঢেলে রাখেন, যাতে দাদা দুর্ঘটনায় পড়েন। এই দু'টি ঘটনার একটিও কাল্পনিক নয়, সরাসরি মনোবিদের কাছ থেকে শোনা। ফলে বুঝতেই পারছেন, সিবলিংদের দ্বন্দ্ব কতটা ক্ষতির জায়গায় পৌঁছোতে পারে.....