দূরে থাক ‘বেবি ব্লুজ়’!

মা হওয়া মানেই নিজের শখ-আহ্লাদ বিসর্জন দেওয়া নয়। নতুন মায়েদের ভাল থাকার উপায় বাতলে দিলেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ। জেনে নিলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।

- 

সদ্য সন্তানের জন্ম দিয়েছেন? বাড়ির লোকের বাড়তি স্নেহ, আত্মীয়-স্বজনের তরফ থেকে অভিনন্দন বার্তা, নতুন ভূমিকায় পা রাখতে যাওয়ার আগের চিন্তা-মেশানো আবেগ— বেশ আনন্দময় পরিবেশ। সদ্যোজাতটি বড় হয়ে কেমন মানুষ হবে, কোন পেশা বেছে নেবে, কী পছন্দ করবে আর কী করবে না, এ সব নিয়েও জল্পনার শেষ নেই। এই সময়ে শিশুর জন্মদাত্রী মায়েরই সবচেয়ে খুশি আর চনমনে থাকার কথা। কিন্তু হচ্ছে উল্টো! আশপাশের লোকজন হয়তো তেমন বুঝতেও পারছেন না, অথচ কারণে-অকারণে থেকে থেকেই আপনার মন খারাপ হচ্ছে। নিজেকে মা হিসেবে ব্যর্থ মনে হচ্ছে, কান্না পাচ্ছে, উদ্বেগ হচ্ছে। আপনি হয়তো এমনটা মনে হওয়ার কারণও বুঝে উঠতে পারছেন না। বাচ্চার জন্মের পর প্রথম কয়েক দিন নতুন মায়েদের এই মানসিক অবস্থাকে বলা হয় পোস্টপার্টাম মেন্টাল ইলনেস। লক্ষণ তত জটিল না হলে একে 'বেবি ব্লুজ়’-ও বলে। পরিসংখ্যান বলে, প্রথম বার মা হওয়ার পরে প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলা এই সমস্যায় ভোগেন। মূলত সন্তান প্রসবের পরে শরীরে হরমোনের ওঠানামাতে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। মনোযোগে সমস্যা, সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা, মুড সুইং, অকারণে খারাপ লাগা, এই সবই বেবি ব্লুজের লক্ষণ কিন্তু সমস্যা থেকে বেরোতে তো হবেই! মায়ের নিজের জীবন, সঙ্গে সন্তানের জীবন, দুই-ই সুস্থ রাখতে তাই দরকার নিজের যত্ন নেওয়া। দিনের যত ভাগ সময়ই বাচ্চার দেখভালের জন্য ধরা থাক না কেন, যেন 'সেলফ কেয়ার'-এর পর্যাপ্ত সময় থাকে। এখন মেয়েরা মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পরে কর্মক্ষেত্রে ফিরেও এক ঝলক টাটকা বাতাসের সন্ধান পান। অনেকে ছুটি ফুরোনোর আগে ভেকেশনও কাটিয়ে আসেন। সমাজের ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে তাঁরা শিখে নিচ্ছেন ভাল থাকার পাঠ। কিন্তু এখনও অনেকেই মা হওয়ার পরে নিজেকে সময় দিতে ভুলে যান। তাঁদের পরামর্শ দিতে এই প্রতিবেদন...