বাংলা ছবির রিপোর্ট কার্ড

বছরের প্রায় মাঝামাঝি পর্বে এসে দাঁড়িয়েছি। এখনও অবধি মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবিগুলো কেমন পারফর্ম করল? ছবির মুক্তি ঘিরে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। রিপোর্ট করছেন আসিফ সালাম

- 

দৃশ্য ১: শহরের এক মাল্টিপ্লেক্সে একটি বাংলা ছবি চলছে। বাংলার প্রথম সারির তারকা জুটি ও এক কিংবদন্তি অভিনেত্রী ছবির মুখ্য চরিত্রে। কিন্তু খটকা লাগল, হলের ভিতর ঢুকে। প্রথমত, ওই শো-টি ছাড়া শহরের বাকি সব মাল্টিপ্লেক্স এবং সিঙ্গল স্ক্রিনে ওই ছবির শো প্রায় জনবিহীন! তাহলে হঠাৎ একটি শো-তে এত ভিড় কেন? অবশ্য, খটকা লাগার বোধহয় আরও কিছুটা বাকি ছিল। হলের ভিতরে গিয়ে বোঝা গেল, যাঁরা হল ভরিয়েছেন, তাঁরা মোটেও মাল্টিপ্লেক্স ক্রাউড নয়। যদিও ‘মাস' ও ‘ক্লাস' দর্শকের বিভাজন ক্রমেই ঘুচছে, তবুও খরচের নিরিখে মাল্টিপ্লেক্স এখনও অনেক মধ্যবিত্তেরও ধরাছোঁয়ার বাইরে! ছবির হাফ টাইমে ওয়াশরুমে গিয়ে দু'-তিনজন দর্শকের কথাবার্তা কানে আসতেই আশঙ্কা সত্যি হল। তাঁরা বলাবলি করছেন, রাজ্য সরকারের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর অফিস থেকে নাকি বিনামূল্যে টিকিট বিলি করা হয়েছে! যাঁরা এসেছেন, তাঁরা বিনামূল্যেই ছবি দেখতে এসেছেন। জনৈক দর্শক নাকি একাধিক দিন সিনেমাটি দেখতে আসছেন। কোনওদিন মা-কে নিয়ে, কোনওদিন বান্ধবীকে নিয়ে। কাঠফাটা গরমে মাল্টিপ্লেক্সে বসে খানিক আরাম, সঙ্গে ছবি দেখা... দুই-ই হচ্ছে।

দৃশ্য ২: দক্ষিণ কলকাতার এক অভিজাত সিঙ্গল স্ক্রিনের পাশেই ঝুপড়ি অঞ্চল। খেয়াল করলে দেখা গেল, একটি বাংলা ছবি চলাকালীন প্রায় প্রতিদিনই নির্দিষ্ট সময়ের পর সেই অঞ্চলটি খালি হয়ে যেত। এবং সেখানকার বাসিন্দারা ভিড় জমাতেন ওই হলে। জানা গেল, সেই অঞ্চলেও নাকি বিনামূল্যে টিকিট বিলি করা হয়েছে, যাতে দেখানো যায় ছবিটি হাউজ়ফুল। এমনকি তাঁদের হাতে টিকিটের সঙ্গে চিপস-সফট ড্রিঙ্কস খাওয়ার জন্য হাতখরচাও দেওয়া হয়