পুরুষ পরিচালকদের ভাবতে হয় না চোখে কাজল লাগিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা: পায়েল কাপাডিয়া

কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গ্রাঁ প্রি’ বিজয়ী প্রথম ভারতীয় ছবি ‘অল উই ইম্যাজিন অ্যাজ় লাইট' মুক্তি পেয়েছে থিয়েটারে। তাই বেশ উচ্ছ্বসিত পরিচালক কলকাতায় তার বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের আগে পরিচালক পায়েল কপাডিয়া-র মুখোমুখি অংশুমিত্ৰা দত্ত

- 

২০১৭-তে শর্ট ফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস' একমাত্র ভারতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রবেশাধিকার পায়। ২০২১-এ “আ নাইট অফ নোয়িং নাথিং' তথ্যচিত্র কান চলচ্চিত্র উৎসবে 'গোল্ডেন আই' জিতে নেয়। এবং ২০২৪-এ ‘অল উই ইম্যাজিন অ্যাজ় লাইট' প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র, যা গ্রাঁ প্রি পুরস্কারে সম্মানিত হয়। তিনটি ছবির পরিচালকের নাম এক, পায়েল কাপাডিয়া। ফেস্টিভ্যালে সফল দৌড়ের পর এবার তাঁর স্বপ্ন সত্যি করে ৫০টি দেশে থিয়েটারে মুক্তি পাচ্ছে ‘অল উই ইম্যাজিন অ্যাজ় লাইট', পায়েলের প্রথম ফিচার ফিল্ম। সেই ছবির একটি বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে তিনি কলকাতায় এলে তাঁর মুখোমুখি হয় আনন্দলোক। দরজা খুলে যাঁর সঙ্গে দেখা হল, তাঁর পোশাক অতি-সাধারণ ইক্কতের কুর্তা, কোঁচকানো। চুল অগোছালভাবে তুলে খোঁপা করা, মুখে প্রসাধনের লেশমাত্র নেই। কিন্তু চোখে আশাপ্রদীপ জ্বলছে। কতজন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকারের ছবি সিনেমা হলে মুক্তি পায়? তা নিয়েই শুরু হল কথা।

ছোটবেলায় সিনেমার সঙ্গে আপনার কেমন সম্পর্ক ছিল? আমি অন্ধপ্রদেশের একটা বোর্ডিং স্কুলে পড়তাম। এবং সেখানে কমন রুমে কোনও টিভি ছিল না। সেটা খুবই ভাল বলে আমার মনে হয়। সেই কারণেই স্কুলের ফিল্ম ক্লাবের প্রতি আমি আকৃষ্ট হয়েছিলাম। ফিল্ম ক্লাবে সপ্তাহে একদিন করে ভাল-ভাল ছবি দেখানো হত। দেশের, বিদেশের... তার মধ্যে বাণিজ্যিক, আর্ট হাউজ় সবধরনের সিনেমাই ছিল। নিচু ক্লাসে ছোটদের জন্য তৈরি ছবি, তারপর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের ছবি দেখানো হত।

এদেশের মিডিয়ার কাছ থেকে এত মনোযোগ পেয়ে কেমন লাগছে? (হেসে) খুব বেশি মনোযোগ।

" মূলস্রোতের চলচ্চিত্রকার, অভিনেতারা সবসময় বলেন, প্রমোশন তাঁদের অপছন্দের কাজ। এখন কি আপনিও তা-ই বলবেন? দেখুন, আমার ছবির পোস্টার পড়ে না। হোর্ডিংয়ে দেখা যায় না। বিজ্ঞাপন বেরোয় না। আমার কাছে ছবিটাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র রাস্তা এই আপনাদের নেওয়া সাক্ষাৎকারগুলো। ফলে তার জন্য যা করার আমি করছি, করব।