বেসিক্যালি আমি একটা অপদার্থ লোক : অম্বরীশ ভট্টাচার্য ভালই লাগবে। আমারে

তিনি নিজেকে অ্যাভারেজ অভিনেতা বলেই ভাবেন। সুযোগ পেয়েছেন বলেই অভিনয় করতে পারেন। জানালেন, তাঁকে দেখতে যেমন লাগে, মানুষটি তেমন মোটেও নন। অম্বরীশ ভট্টাচার্য-র কথা শুনলেন ঋষিতা মুখোপাধ্যায়

- 

২০২২ তো আপনার দারুণ কাটলো। ছোট পরদা, বড় পরদায় কাজ, অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের শুট...

খুব ভাল কেটেছে। আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল একসঙ্গে দু’টি মাধ্যমেই কাজ করব, সেটা ২০২২-এ হয়েছে। এবছরও সেটা চলবে... সাধারণত যাঁরা সিরিয়াল করেন, বড় পরদার জন্য তাঁদের ছাড়তে চায় না প্রোডাকশন হাউজ় বা চ্যানেল। অনেক অভিনেতা অভিযোগ বা অভিমান করে বলেন তাঁদের সিনেমায় নেওয়া হয় না। সৌভাগ্যবশত আমার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি, লীনাদি (গঙ্গোপাধ্যায়) বরাবরই আমাকে ছেড়েছেন। ইন ফ্যাক্ট, আমি তিনটি মাধ্যমেই কাজ করলাম। সিনেমা, সিরিয়াল এবং থিয়েটারের গান...

অসুবিধে হয়নি।

অনেকে সময় নিয়েও অভিযোগ করেন। আপনি তো একদিকে সিনেমার শুটিং করেছেন, অন্যদিকে ‘খড়কুটো’, ‘গুড্ডি', ‘ধুলোকণা’তেও অভিনয় করেছেন। ম্যানেজ করলেন কী করে? দুই মাধ্যমের পরিচালক-প্রযোজক সংস্থা যদি সাহায্য করে, তাহলে অসুবিধে হয় না। সিনেমায় আমার শেডিউল এমনভাবেই রাখা হয়েছিল যে আমি সিরিয়ালের শুটিং করতে পেরেছিলাম। আবার লীনাদি আমাকে দীর্ঘদিনের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন আমি টানা সিনেমার শুটিং করেছি। আসলে টেলিভিশনে যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁরা প্রচুর পরিশ্রম করতে পারেন। টানা ১৫-১৬ ঘণ্টা তো শুটিংই করেন। আমার মনে হয় সিরিয়ালের অভিনেতারা সব পারেন। ওর চেয়ে বড় প্র্যাকটিস, চ্যালেঞ্জ কোথাও নেই।

২০২২ কিন্তু অন্য এক অভিনেতা অম্বরীশকে চিনিয়েছে। আগে অম্বরীশ কৌতুক অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু ‘লক্ষ্মীছেলে’, ‘কাবেরী অন্তর্ধান' চিনিয়েছে সিরিয়াস অম্বরীশকে...