গানের ফেরিওয়ালা অমিত

‘বুল্লেয়া’,‘মনওয়া ইমোশন’,‘গলতি সে মিসটেক’, ‘সজন রেডিও'...তাঁর কেরিয়ারে একাধিক হিট গান রয়েছে। যদিও নিজেকে এখনও গানের ছাত্র মনে করেন অমিত মিশ্র। শুনলেন আসিফ সালাম

- 

'বুল্লেয়া' আপনার কেরিয়ারের সিগনেচার গান। এই গানের সাফল্যের পর আপনার জীবন কতটা বদলেছে? ‘বুল্লেয়া' আমাকে গ্লোবাল রেকগনিশন দিয়েছিল আসলে। তারপর থেকে গানের প্রস্তাবও অনেক বেশি আসতে থাকে।

লখনউতে একটি ব্যান্ড ছিল আপনার। সেখান থেকে বলিউডের জার্নিটা কেমন? আমার পরিবারের কেউ গানের সঙ্গে প্রফেশনালি যুক্ত না থাকলেও, সকলেই গান শুনতে খুব ভালবাসেন। আমার বোন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রশিক্ষণও নিয়েছে। সেই থেকে আমার মধ্যেও গানের প্রতি একটা প্রেম জন্মায়। লখনউতে আমার একটা মেটাল ব্যান্ড ছিল, যার নাম ছিল 'তৃষ্ণা'।

সেখান থেকে বলিউডে আসার চ্যালেঞ্জ কেমন ছিল? আমার মনে হয়, সব পেশারই শুরুতে একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। আমাকে খুব যে স্ট্রাগল করতে হয়েছে, তা নয়। আমি মিউজিককে বেছে নিইনি, মিউজিক আমাকে বেছে নিয়েছিল। কৈলাশ খের আমার ব্যান্ডের নাম দিয়েছিলেন। একটি সর্বভারতীয় চ্যানেলে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। সেখানেই কৈলাশস্যারের সঙ্গে আলাপ তারপর মুম্বই আসা প্লেব্যাক সিঙ্গার হতে। একাধিক সঙ্গীত পরিচালককে অ্যাসিস্ট করেছি। এভাবেই শুরু, এখনও শিখছি।

আপনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজ়িকে আছেন, বলিউডে প্লেব্যাকও করেছেন। কোনও পার্থক্য খুঁজে পান? আমি ইন্ডি মিউজ়িক বা ফিল্ম মিউজিক, এভাবে আলাদা করে দেখি না। আমার কাছে সঙ্গীত সঙ্গীতই। সম্প্রতি বি প্রাকের জন্য একটি গান গাইলাম, ওটি ইনডিপেন্ডেন্ট মিউজিক। মানুষের পছন্দ হয়েছে। বাংলা, তেলুগু, মরাঠি ছবিতেও গেয়েছি। ‘টিউবলাইট', ‘রেস থ্রি', 'ভোলা'র মতো বড় ছবিতে গেয়েছি।

আমরা আজকাল মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এত কথা বলছি। শিল্পীদের ক্ষেত্রে পেশাগত চাপ নিয়ে কী বলবেন?