কুৎসা যখন রাজনীতি

রাজনৈতিক কুৎসা সংস্কৃতির চরমতম বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখেই চলেছি। এ এক অধোগামিতা।

- সুপ্রিয় চৌধুরী

সালটা ছিল সম্ভবত দু'হাজার নয়। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগে শেষ লোকসভা নির্বাচন। দক্ষিণ কলকাতার একটি কেন্দ্রে বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন স্বনামধন্য এক গায়ক। আজও মনে আছে যাদবপুরের একটি কাগজের স্টল থেকে কেনা জনপ্রিয় এক সংবাদপত্রের ভিতরের পাতায় ইস্তাহার ধরনের এক টুকরো কাগজে চোখে পড়েছিল কয়েক লাইন বয়ান। যার মূল সারমর্ম হল, ওই গায়কের এইচআইভি আছে, যা এডস-এর পূর্ব লক্ষণ। আর এই কারণেই তাকে যেন ভোট না দেওয়া হয়। আজ এ তথ্য আমাদের প্রায় সকলেরই জানা এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম দু'টি কারণ কনডোম বিহীন অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা অথবা বহুগামিতা। সেটাও অবশ্যই অ-সুরক্ষিত। এখানে রোগের বিশ্লেষণ করাটা আমার কাজ নয়। তবে এহেন বয়ান সমৃদ্ধ ইস্তাহারটি কারা এভাবে ছড়িয়েছিলেন, বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় এবং বয়ানের উদ্দেশ্যটাও অত্যন্ত পরিষ্কার। একজন মানুষ যে কিনা বহুগামী আর বহুগামী মানেই অবশ্যই ‘চরিত্রহীন' আর কেউ ‘চরিত্রহীন' মানেই তাকে ভোট দেওয়া চলে না। ইস্তাহারটা পড়ে বেজায় হাসি পেয়েছিল। একজন চরিত্রহীন বা এডস রোগগ্রস্ত হলেই তাকে কেন ভোট দেওয়া যাবে না অথবা এ ব্যাপারে কোনও আইনি বলা ভাল সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে কি না, এসব ভেবেই আর কি। তবে আসল উদ্দেশ্য তো আর সেটা ছিল না, যেটা ছিল সেটা হল রাজনৈতিক বিতর্কের পথে না হেঁটে, স্রেফ ব্যক্তিগত কুৎসাকে হাতিয়ার করে যেনতেনপ্রকারেণ বিরোধী প্রার্থীকে পরাজিত করা। যাই হোক এই কুৎসা নামক টোটকায় কাজ হয়নি সে-বার। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন সেই বিরোধী প্