Denemek ALTIN - Özgür
ঠোঙ্গা
ANANDAMELA
|5 Sep, 2024
প্রায় জমে যাওয়া ঠান্ডায়, ভিজে যাওয়া জামার তলায় হাপরের মতো ওঠা-নামা করছিল বুক। অনেকের জীবন এখানেই শেষ হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম।
বাচ্চুকাকু সার্বজনীন কাকু। এখনকার স্কুলের পড়ুয়ারা তাকে কাকা বলে। তাদের বাবারাও কাকা বলে। কোনও কোনও ঠাকুরদা, যাঁরা এখনও জীবিত, তাঁরাও তাকে কাকা বলেন। বাচ্চুকাকুর বয়স কত প্রশ্ন করলে উত্তর আসে, “ঠিক জানা নেই। চুয়ান্ন হতে পারে, আবার চুরানব্বই হতে পারে।
বাচ্চুকাকুর ভাষায় বললে উত্তর হবে এ রকম, “তোদের সময়ের মতো আমাদের আঁধারে রাখত না। আমরা থাকতাম আঁধারে।”
তখনই গল্পের ইশারায় বাচ্চারা ঘিরে বসে বাচ্চুকাকুকে। শুধু একটা বড় কাপে কালো কফি। তাতেই তিনি খুশি। কুহু এক বার চেখে দেখেছিল। পরিণামে তার রাতের খাওয়া বরবাদ হয়ে গিয়েছিল। আজ বান্টি তার মামার আনা হায়দরাবাদের বিখ্যাত বিস্কুট নিয়ে এসেছিল। বাচ্চুকাকু বেশ খুশি হয়েছিলেন। অন্তত মুখ দেখে তা-ই মনে হয়েছিল। এর পর গল্প আসার কথা। বদলে কাকার পাক ধরা ভ্রু কুঁচকে গেল ঠোঙায় নজর দিয়ে।
সামু মজার ছলে বলেছিল, “কাকা, আপনি ঠোঙার খবর পড়েন? ”
কাকা হঠাৎ রেগে উঠে বললেন, “তিন দিনের ছোকরা, ঠোঙার মর্ম তুই বুঝবি কী করে?”
সামু থমকে গিয়েছিল। কুহু ছাড়ার পাত্রী নয়। সে বলে উঠল, “ঠোঙায় কী এমন পেলেন যে রেগে গেলেন?”
“আমার জীবনে ঠোঙার ভূমিকা, কতটুকু তোরা জানিস?” আবার গল্পের গন্ধে ওরা কোরাসে বলে উঠল, “জানি না। বলন না।”
এক টিপ নস্যি নিয়ে বাচ্চুকাকু শুরু করলেন ঠোঙাকাহিনি।
“তখন আমি গ্র্যাজুয়েট হয়ে চাকরির সন্ধানে। এমন সময় এক দিন ঝালমুড়ি খেতে খেতে চোখে পড়ল একটা বিজ্ঞাপন। দেখলাম চাকরিটা হলে রথ দেখা আর কলা বেচা দুটোই হবে। সঙ্গে সঙ্গে টাইপ করে একটা দরখাস্ত আর আমার গুণাবলি ডাকে পাঠিয়ে দিলাম। সে সময় কম্পিউটার স্বপ্নতেও দেখা যেত না।”
“মানে আপনার সিভি পাঠালেন?” “ওই রকম। তবে তোদের মতো রোবোটিক লেখা নয়। সাহেবদের কাছে শেখা ইংরেজি।” বান্টির বোধ হয় গায়ে লাগল। ইংলিশে ও ক্লাসে ফার্স্ট হয়। বলল, “ও সব ইংরেজি এখন চলে না।”
“তোরা জানিস না, তাই।” “পরখ করুন না।”
চ্যালেঞ্জ পেয়ে কাকা নড়েচড়ে বসলেন। তার মাথার কয়েক গাছা অবশিষ্ট চুল খাড়া হয়ে গেল।
“বল তো, “টারি আ লিটল, মিলর্ড,' এর মানে কী?” বান্টি চুপ “পারবি না, জানতাম। তোরা তো শেক্সপিয়র পড়িসনি। বোধ হয় পড়বি ও না।”
“মানেটা কী?” “একটু অপেক্ষা করুন, হে মহামান্য বিচারক।” “কাকা আপনি তো বাংলাও ভাল জানেন।”
Bu hikaye ANANDAMELA dergisinin 5 Sep, 2024 baskısından alınmıştır.
Binlerce özenle seçilmiş premium hikayeye ve 9.000'den fazla dergi ve gazeteye erişmek için Magzter GOLD'a abone olun.
Zaten abone misiniz? Oturum aç
ANANDAMELA'den DAHA FAZLA HİKAYE
ANANDAMELA
বকুলতলার বেদি
অন্য ঘরগুলোয় তুলনায় এই তুলনায় এই ঘরের দরজাটা বেশ বড়, শক্তপোক্ত। ধীরে ধীরে দরজা খুলছে। খুলছে ভিতর দিকে। কেমন একটা ভ্যাপসা, ভিজে ভিজে গন্ধ৷ দেওয়ালে কোনও জানলা নেই। তার পরেই আঁতকে ওঠার মতো একটা দৃশ্য । ঘরটার কোনও মেঝে নেই। বিরাট এক গহ্বর। অন্ধকার।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
অপয়া
প্রলয় ওরফে পলুকে নিয়ে এক মানুষের জীবনের রহস্যময় মুহূর্তগুলোর গল্প—যার প্রতিটি দেখা যেন নতুন ঘটনার ইঙ্গিত। ভাগ্য, কাকতাল, আর মানুষের মনে জন্মানো অদ্ভুত বিশ্বাস—সব মিলিয়ে এক টানটান আবহের কাহিনি।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
আশ্চর্য ইঙ্গিত
রাতের অমাবস্যায় দেবুর দুঃসাহসিক যাত্রা তাকে নিয়ে যায় জমিদারবাড়ির রহস্যের সামনে। ভূতের ইঙ্গিতেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার হয় হারানো রাধা–কৃষ্ণের মূর্তি, ফিরতে থাকে গ্রামের মেলা।
6 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তারা এসেছিল
সে দিন রাতে আবার আওয়াজ শোনা গেল কাঠের বারান্দায়। কোনও ডাক নয়। বুক ঘষটে থপ থপ শব্দে কিছু উঠে আসার শব্দ যেন। কেন জানি না, টমির মনে হল, দরজা খোলাটা বোধ হয় ঠিক হবে না। জানলার পর্দাটা সরিয়ে উঁকি দিল বারান্দায়
8 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
চন্দনস্যর
১. বৃষ্টিভেজা সকালে বাসুদেববাবুর চোখে হঠাৎ ভেসে ওঠে পুরনো অঙ্কস্যর চন্দনস্যরের অবিকল চেহারা। ২. চল্লিশ বছর আগের মানুষটি যেন আজও অপরিবর্তিত—এ কোন রহস্য, নাকি তাঁর মনের ভুল?
12 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
তাতারের বন্ধু
অলৌকিক বলে কিছু হয় না। অন্তত তাতার তো মানে না। ওর বাবা কলেজে ফিজিক্স পড়ান ৷ মা-ও কলেজে পড়ান। তবে সাইকোলজি। ঠাকুরদা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বড় পদে চাকরি করতেন। সকলের আশা তাতারও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবে।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
ভবানীবাবুর ভূত
হারু একটু ভীরু প্রকৃতির ছেলে। রীতিমতো ভয় পেয়ে সে বলল, “তা হলে কী হবে দাদা?” হরিদাস বলল, “হবে আর কী, কোনও দিন সকালে তোর দোকানে চা খেতে এসে দেখব, তুই ঘাড় লটকে মরে পড়ে আছিস।”
9 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
যেখানে ভূতের ভয়,
বিজ্ঞান নাকি বিশ্বাস? অতিপ্রাকৃত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললেন পৃথা বসু
3 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
পাহাড়ের সেই রাত
চিরকুট খুলতেই অতীতের লুকোনো সত্য চোখের সামনে ভেসে উঠল। অভয়জির অলৌকিক ক্ষমতার আড়ালে যে ভয়াবহ অন্ধকার লুকিয়ে আছে, তা বুঝতে দেরি হল না।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
বশীকান্ত
নন্দুর উপস্থিতি টের পেয়ে বশীকান্ত একশো আশি ডিগ্রি মাথাটা ঘুরিয়ে বলল, “আরে নন্দুদা যে! আজ তোমার ছুটি, আমিই বাবুর পছন্দের রান্না করছি।” ভূতে তার নাম নিচ্ছে, নন্দু আর দাঁড়াল না। পাঁই পাঁই করে ছুটে পালিয়ে এল সেখান থেকে।
10 mins
October 05, 2025
Listen
Translate
Change font size

