স্টার সে-ই হয়, যার নামে লোকে পকেটের পয়সা খরচ করে টিকিট কাটে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

তিনি অভিনেতা হতেই মুম্বই গিয়েছিলেন। তবে ভাগ্যচক্রে হয়ে গেলেন কাস্টিং ডিরেক্টর। তারপর আবার অভিনেতা হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ “স্ত্রী ২'-এর সাফল্যের পর তাঁর মুখোমুখি অংশুমিত্ৰা দত্ত

- অংশুমিত্ৰা দত্ত

আপনি নাকি 'জনা'র ('স্ত্রী' ছবির) চরিত্রটা প্রথমে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন? যে ‘জনা' আপনাকে বড় পর্দায় এতটা জনপ্রিয়তা দিল! হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। 'জনা'র চরিত্রটা তো একটু ভিতু, ক্যাবলা গোছের। আর আমি দিল্লির ছেলে। আমার মধ্যে একটা মস্তানি আছে, মেল ইগো আছে। তাই আমি ঠিক করেছিলাম যে, এই চরিত্রটা করব না। তারপর বুঝতে পারলাম, 'স্ত্রী' আসলে এই মেল ইগোর বিরুদ্ধেই একটা বক্তব্য রাখছে, রূপকে মুড়ে। এখন মনে হয়, ভাগ্যিস হ্যাঁ বলেছিলাম!

আপনার জন্ম খড়গপুরে, ছোটবেলার অনেকটা সময় কলকাতায় কেটেছে, তারপর দিল্লিতে... আপনার মধ্যে কতটা কলকাতা রয়েছে, আর কতটা দিল্লি? কঠিন প্রশ্ন। আসলে পশ্চিমবঙ্গে আমি খুব ছোটবেলায় থেকেছি। বাবা সেনাবাহিনীতে ছিলেন, ফলে ট্রান্সফার হত অনেক জায়গায়। আমি একটা সময় চেন্নাইতে থেকেছি, তারপর দিল্লিতে। অনেক বড় বয়স অবধি আমি বুঝতেই পারতাম না, আমি আসলে কে? আমি বাঙালি, নাকি তামিল, নাকি টিপিক্যাল দিল্লির ছেলে! আমার সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার দারুণ লাগত, তারপর দিল্লি গিয়ে মনে হল, সেখানকার স্ট্রিট ফুড সেরা। তারপর মুম্বই আসার পর মনে হয়, বাঙালি খাবারের চেয়ে বেশি ভাল কিছুই নেই। আবার আমার স্ত্রী ম্যাঙ্গালোরিয়ান। ফলে ওখানকার খাবারও দারুণ লাগে....

ফলে বুঝতে পারি না আমার মধ্যে কোন প্রদেশের প্রভাব বেশি।

এই যে আপনি অভিনেতা হতে মুম্বই এসে কাস্টিং ডিরেক্টর হয়ে গেলেন, সেক্ষেত্রে তো বাঙালিয়ানার একটা ভূমিকা আছে, নাকি? হ্যাঁ, সাধারণত অভিনয়ে কিছু না করতে পারলে মানুষ অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হয়। আমিও কিন্তু সেই প্রস্তাব পেয়েছিলাম। মিলন লুথরিয়া যখন 'ওয়ান্স আপন আ