উৎসবের মরশুমে সুস্থতা বজায় থাক

বাড়ির ছোট থেকে বড়, সকলের স্বাস্থ্য রুটিন যেন এলোমেলো না হয়ে যায়। পরামর্শে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অম্লান সেন ও জেরিয়াট্রিশিয়ান ডাঃ ধীরেশ কুমার চৌধুরী। লিখেছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।

- মনীষা মুখোপাধ্যায়।

উ ৎসবের আলো ছলকে এসে পড়েছে ঘরদুয়ারে। ধনী থেকে দরিদ্র, একান্নবর্তী থেকে নিউক্লিয়ার, একা থেকে দশে মিলে সৰাই হাজারো মনখারাপ, দুঃখ, শোক কয়েকদিনের জন্য সরিয়ে হয়তো একটু অন্যরকম জীবন কাটাতে চান কয়েকটা দিন। এই যাপনে সুস্থ থাকাও এক বড় সহায়। সারা দেশ যেখানে উৎসবে মাতোয়ারা, দীর্ঘ রোগভোগের মানুষজনও এই মরশুমে একটু মেতে থাকতে চান উৎসবের আবহে। তার উপর পুজোর সময় কেউ কেউ আবার বেড়াতে যাবেন। সেখানেও সুস্থ থাকা জরুরি। পুজোর পরেই ঋতু পরিবর্তনের দিনকাল। সব মিলিয়ে সুস্থ থাকার উপরেই দাঁড়িয়ে থাকবে পারিবারিক শান্তির কাঠামো। বাড়ির সার্বিক সুস্থতায় প্রথমেই আসে বাড়ির বয়স্ক সদস্য ও শিশুদের কথা। প্রথমেই শিশুদের সমস্যাগুলির দিকে নজর দেওয়া যাক। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অম্লান সেনের মতে, ‘উৎসবের মরশুম কাটলেই ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু। অন্যান্য মাধ্যমেও ইউনিট টেস্ট চলবে। তাই পুজো ও তার পরবর্তী সময়ে স্কুলে পড়ে এমন শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুস্থতার দিকে অভিভাবকদের কড়া নজর রাখতে হবে। তাই মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। মাথায় রাখতে হবে কিছু অসুখ ও তার ট্রিগার ফ্যাক্টরদের।' পুজোর সময় ও পুজো পরবর্তী আবহাওয়ায় ছোটদের সবচেয়ে বেশি ভোগায় যেসব অসুখ, তাদের কথা ভাবা যাক। • ঠান্ডা লাগা - শ্বাসকষ্ট: খামখেয়ালি আবহাওয়া, দূষণ সবকিছুই সর্দি-কাশির নেপথ্যে দায়ী। শিশুদের এটা প্রায় সারা বছরই লেগে থাকে। তাই পুজোর পর থেকেই শিশুদের কান-গলা ঢাকার হালকা ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুর প্রায়ই অ্যালার্জিঘটিত ঠান্ডা লাগা ও সাইনুসাইটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ন্যাজাল ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। অ্যাজমার সমস্যা থাকলে এখন থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও ইনহেলার নিতে হবে। ঠান্ডা লাগতে পারে এমন কারণ থেকে দূরে থাকতে হবে। যেসব কারণ অসুখকে ট্রিগার করে, সেগুলোও এড়িয়ে চলতে হবে। পুজোর সময় অনেকেই মাস্ক পরতে চান না, কিন্তু কালীপুজো কাটলেই বাতাসে দূষণের ভাগ বাড়বে। ফলে পুজোর পর থেকেই সন্তানকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে ফের অভ্যস্ত করে তুলুন। পুজোর পর বেড়াতে গেলে শিশুদের জন্য গরম জামা সঙ্গে নিন। বিশেষ করে শিশুদের গলা কান ঢাকা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে৷