‘যা বলতে চাই”

কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগামন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন চান্দ্রেয়ী ঘোষ।

- 

অভিনয় করছি ২৫ বছর হয়ে গেল। এখনও যে রোজ কাজ করতে পারছি, এটা আমার কাছে সবথেকে বড় উদযাপন। এই পেশায় টিকে যাওয়াতে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আসলে যত দিন যাচ্ছে নতুন প্রতিভারা আসছে, প্রতিযোগিতা প্রচুর। তার মধ্যেও নিয়ত কাজ করা বিরাট পাওনা। আমি শুরু করেছিলাম মডেলিং দিয়ে। সেখান থেকে টেলিভিশনে সরাসরি অভিনয়ের অফার পাই। প্রথমেই কেন্দ্রীয় চরিত্র পেয়েছিলাম। তখন আলফা বাংলায় ‘হিয়ার মাঝে' নামের একটা প্রজেক্ট হতো। সেখানে এক একদিনে এক একটা প্রেমের গল্প দেখাত। ১৯৯৯-এ সেখানেই আমার প্রথম কাজ। পর পর টেলিফিল্মে ইতিবাচক মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করি। ধারাবাহিকেও তাই। টানা কাজ করেছি। টেলিভিশনে। তবে ‘কিরণমালা’র ‘কটকটি’ চরিত্রর জনপ্রিয়তা একটা উন্মাদনা তৈরি করেছিল। আমার কেরিয়ারের মাইলস্টোন। ১০ বছর হয়ে গিয়েছে। কষ্টের ফল এখনও পাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত সংখ্যার বিচারে টেলিভিশনে সবথেকে বেশি কাজ করেছি। যে'কটা ছবি করেছি, পুরস্কার পেয়েছে, আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মান পেয়েছে। ওয়েব সিরিজেও অন্য ধরনের চরিত্র পেয়েছি। মঞ্চেও অভিনয় করেছি। নাচ আমার পারিবারিক ঐতিহ্য। ৮০ পেরিয়ে যাওয়া বয়সেও আমার মা পূর্ণিমা ঘোষ যেভাবে পারফর্ম করেন, তা শেখার কিন্তু সত্যি বলতে, নাচে আমার আগ্রহ নেই। এটা শুনলে আজও অনেকে অবাক হয়ে যান। আমার বাবা, মায়ের প্রেমের সূত্রপাতও ছিল নাচ। কিন্তু ছোট