প্ৰশংসা নিন্দা কিছুতেই ভেসে যাই না

টালিগঞ্জে এই মুহূর্তে সিনেমা, ওয়েব সিরিজে যাঁকে অনিবার্য বলে মনে করছেন নির্মাতারা, তিনি অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী। কেরিয়ার কেমন চলছে? কথা বললেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

- স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

আপনার কি বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে? (হা হা হা) পরপর প্রচুর ছবি রিলিজ করছে। গত এক দেড় বছর একনাগাড়ে কাজ করেছি। এটা তার প্রমাণ। বেশ কিছু কাজ এখনও একসঙ্গে চলছে। ‘বৃহস্পতি’র কথা বলতে পারব না। এটুকু বলি, আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী নই। ভাগ্য একেবারে অবিশ্বাস করি, তা নয়। কাজ করায় বেশি বিশ্বাসী। যে ফল পাব, তা পরিশ্রম করে অর্জন করতে হবে, এই ভাবনায় বিশ্বাসী।

ছয় পেরিয়ে সাতে পা? হ্যাঁ, ছ'বছর হয়ে গেল ইন্ডাস্ট্রিতে। আমি ভাগ্যবান। সত্যিই এই ক'বছরে অনেক ধরনের চরিত্র পেয়েছি।

এই অনিশ্চয়তার পেশায় ঝুঁকি নিয়ে আপনি খুশি? আমার তো ভালোই লাগছে। যখন শিক্ষকতা করতাম, তখনও সফল শিক্ষক বলতে যা বোঝায়, শুরুর দিক থেকে তাই ছিলাম। নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পারছি, সেটা বুঝতে পারতাম। ছাত্রছাত্রীরা আমাকে শিক্ষক হিসেবে পছন্দ করত। আমারও পড়াতে ভালো লাগত। শিক্ষকতার উপর বিরক্ত হয়ে পেশা পরিবর্তন করেছি, তা নয়। চাকরি ছেড়ে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার মধ্যে ঝুঁকি রয়েছে। বাড়িতেও চারপাশে সকলকে চাকরি করতেই দেখেছি। ফলে আমার জন্য বিষয়টা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমি ঝুঁকি নিতেই চেয়েছিলাম।

অনেক কাজ করছেন, এটা মনে হয়েছে কখনও ? প্রচুর কাজ করছি, সেটা ঠিকই। কিন্তু যা কাজ আসছে, তা-ই করছি, তাও নয়। বাছবিচার করি। সময়ের জন্য অনেক কাজ করা হয়ও না। পরিণত বয়সে অভিনয় করতে এসেছি আমি। আগে কখনও করা হয়নি, এমন চরিত্রের অফার এলে করছি। পরে আবার এমন চরিত্র আসবেই, তেমন কোনও নিশ্চয়তা তো নেই। সত্যি বলতে, আমাদের একটু বেশি কাজ করতে হয়। সোজাভাবে বললে যে পারিশ্রমিক আমরা পাই, তাতে বছরে একটা, দুটো ছবি করলে চলবে না। সেটা খুবই বিলাসিতা। অভিনয় তাহলে জীবিকা হিসেবে নেওয়া যাবে না। কিন্তু বেশি কাজ করলেও বেছে করি।

কোনও লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে? না না। আমার কোনও তাড়া নেই। কেরিয়ারে এতগুলো ছবি করতেই হবে অথবা যতদিন কাজ করব, অন্তত এত সংখ্যক ছবি করব, এমন কোনও লক্ষ্য নেই। কোনও লক্ষ্য স্থির করিনি। তবে এখনও পর্যন্ত একঘেয়েমি আসেনি। অফারগুলো উৎসাহিত করছে। বোরডম চলে এলে কী করব জানি না। তবে তাড়া যেমন নেই, তেমনই আমি রিল্যাক্সডও নই।