কেন হয় কোষ্ঠকাঠিন্য, প্রতিকার কীভাবে?

পরামর্শে সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (লখনউ)-এর গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ উদয় ঘোষাল

- 

আ “মাদের চারপাশে একটু তাকালে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেননি এরকম মানুষ পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ এই সমস্যাটা বছরের বিভিন্ন সময়ে কমবেশি সকলেরই হতে পারে। কিন্তু সময় মতো সাবধান না হলে কোষ্ঠকাঠিন্য কিন্তু খুব বড় আকারের সমস্যার রূপ ধারণ করতে পারে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য কী সহজ ভাষায় মল যদি শক্ত হয় বা মল ত্যাগের সময় যদি ব্যক্তির কষ্ট হয় তখন বলা হয় যে ওই ব্যক্তি কোষ্ঠকাঠিন্যের শিকার। আবার কোনও ব্যক্তির যদি মল ত্যাগ করতে অনেকক্ষণ সময় লাগে বা চাপ প্রয়োগ করতে হয় তখনও বলা যেতে পারে যে তিনি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন। অনেক সময়ে মনে হতে পারে যে মল যতটা বেরনোর কথা ছিল ততটা হল না!

সাধারণত ভারতীয়রা দিনে এক (৬৫ শতাংশ) থেকে দু’বার (৩৫ শতাংশ) মল ত্যাগ করেন। বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায় কিন্তু সপ্তাহে একজন ব্যক্তি তিনবার পায়খানা করলেও সেটাকে স্বাভাবিক বলেই ধরা হয়। সপ্তাহে তিন বারের কম হলে তখন তাঁরা সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলেন।

● কেন কোষ্ঠকাঠিন্য • আধুনিক যুগে আমাদের জীবন খুবই গতিময়। অনেকেই শরীরচর্চা করেন না। কায়িক পরিশ্রম না হলে কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। কারণ দৈহিক পরিশ্রম হলে আমাদের অস্ত্রের ব্যায়াম হয়।

• আজকাল অধিকাংশ মানুষ ফ্ল্যাটে থাকেন। ফ্ল্যাটে ইন্ডিয়ানের পরিবর্তে এখন সিংহভাগ ক্ষেত্রেই কোমোড ব্যবহার করা হয়। আমরা ভারতীয়রা কিন্তু স্কোয়াটিং পজিশনেই মলত্যাগ করতে স্বচ্ছন্দ। কারণ এই অবস্থায় পেটের উপর একটা স্বাভাবিক চাপ পড়ে। জাপানেও ভারতীয় কায়দার প্যান বাথরুমে ব্যবহার করা হয়। সেখানকার বিজ্ঞানীরাও গবেষণায় দেখিয়েছেন। কোমোডের তুলনায় ভারতীয় কায়দায় মলত্যাগ করা বেশি ভালো।