ইধিকা আমার আবিষ্কার, চুক্তিবদ্ধও। দেবের অনুরোধে ‘খাদান’-এর জন্য ছেড়েছিলাম : সোহম

তিনি নাকি ফুরিয়ে গিয়েছেন। পরপর ফ্লপের ধাক্কায় জেরবার। তবে কি অভিনয়ের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাবেন তিনি? সব সমালোচনার জবাব দিলেন সোহম। সঙ্গে ফাঁস করলেন ইন্ডাস্ট্রির সিক্রেট। সামনে আসিফ সালাম

- 

‘বহুরূপ’-এ আপনার সাতটি লুক। বাস্তবে যদি কোনও ব্যক্তির লুকে নিজেকে দেখতে চাইতেন, কার লুক বেছে নিতেন? আমি নিজের লুক নিয়ে খুব তৃপ্ত। ভগবান যখন আমাকে আমার মতো লুক দিয়ে পাঠিয়েছেন, তখন নিশ্চয়ই তিনি কোনও উদ্দেশ্য ও দায়িত্ব নিয়েই পাঠিয়েছেন। এই লুক নিয়েই আমি আমার কাজ করে যেতে চাই। সকলের ভাল যেন করতে পারি, কারও ক্ষতি যেন না হয় জ্ঞানত। তাই অন্য কারও লুক নিতেই চাই না!

আপনার নিন্দুকরা বলছেন, সোহম নাকি অভিনয়ে ফুরিয়ে গিয়েছেন! এবার সিনেমা ছেড়ে পুরোপুরিভাবে রাজনীতিতেই মন দেওয়া উচিত। এঁরা নিন্দুক, নিন্দে ছাড়া এঁদের কোনও কাজ নেই। শুধু নিন্দুক নন, অসভ্য, বর্বর। এঁরা বাংলা ছবির ও শিল্পীর সম্মান করতে জানেন না। কেউ কাউকে পছন্দ না-ই করতে পারেন, কিন্তু যখন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়, পরিবার নিয়ে কথা বলা হয়, বন্ধুদের নিয়ে বলা হয়.....

সেটাকে অসভ্যতা বলে। আর যাই হোক আজ ভারতবর্যের যে কোনও প্রান্তে গেলে আমার একটা পরিচিতি রয়েছে। যাঁরা এই ট্রোল করেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠা কোথায় সমাজে? হয়তো তাঁদের বাবা-মাও ভাবছেন, কেন এই কুলাঙ্গারের জন্ম দিলাম! ফলে, আমি এই মুষ্টিমেয় অসভ্য মানুষদের পাত্তা দিই না। আমাকে শালীনতা শেখানোর জন্য এঁরা নিজেরা শালীনতার সব মাত্রা ছাড়িয়ে যান। এঁদের নিয়ে কথা বলা মানে সময় নষ্ট। সব সময় টক অফ দ্য টাউন থাকব, বা সব ছবিই দারুণ হবে, তেমন নয়। আমি তো ক্ষুদ্র সদস্য ইন্ডাস্ট্রির। যাঁরা তাবড় তাবড় তারকা, তাঁদের জীবনেও কঠিন পরিস্থিতি এসেছে। আমি তাঁদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হই। শিল্পী হিসেবে খিদে বরাবরই ছিল, আছে, থাকবে। মাঝে যে ছবিগুলি করেছি, সেখানে অভিনেতা হিসেবে বুঝেছি, দর্শকের সেইসব ছবি থেকে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ছবি ফ্লপ হলে সিনেমাপ্রেমী দর্শকের প্রত্যাশায় খোঁচা লাগে। কিন্তু আমার কাছে সিনেমা একমাত্র আয়ের উৎস। আমার সংসার চালানো ও আমার কর্মীদের সংসার চালানো আমার প্রায়োরিটি।