মহম্মদ রফি এক সাধকের শতবর্ষ

পেশা হিসেবে বাছতে হয়েছিল ক্ষৌরকর্মকে। কিন্তু গান যাঁকে বেছে নিয়েছে, তিনি অন্য কোনও কিছু করবেন কী করে? মহম্মদ রফি সারাজীবন নিজের গানের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছেন। শেষে সেই ঈশ্বরের জন্যই ছাড়তে গিয়েছিলেন গান! কেন? জন্মশতবর্ষে পা দেওয়া এই সঙ্গীত সাধকের জীবনকে ফিরে দেখলেন সায়ক বসু

- সায়ক বসু

প্লেব্যাক তিনি করতে নাও পারেন শুনে সুরকার মদনমোহন বলেছিলেন, ওই নির্দিষ্ট ছবিতে সুরের কাজ ছেড়ে দেবেন! শংকর জয়কিষেণের মতো সুরকার প্রায় ২০০টি গান গাইয়েছিলেন তাঁকে দিয়ে। লতা মঙ্গেশকর একটা সময় তাঁর উপরে এত রেগে গিয়েছিলেন যে একসঙ্গে গান করবেন না বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষে তাঁর অমোঘ আকর্ষণ উপেক্ষা করার সেই পণ আর ধরে রাখতে পারেননি। কিশোরকুমার অবধি ছবিতে তাঁর গাওয়া গানে লিপ দিয়েছেন! দেশের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু তাঁকে বাড়িতে ডেকে এনে সংবর্ধনা দিয়েছিলেন শুধু একটি গান শুনে। সঞ্জয় গান্ধী এই শিল্পীকে এত পছন্দ করতেন যে, শুধু তাঁর একটি অনুরোধে কিশোরকুমারের উপর যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন.....

আজ সত্যিই মনে হয়, মহম্মদ রফি নামক শিল্পীটি যদি আমাদের দেশে না থাকতেন, তাহলে হয়তো ‘অজাতশত্রু' শব্দটার সঠিক মানে আমাদের বোঝা হয়ে উঠত না। কিছুদিন আগেই জন্মশতবর্ষ পূরণ করেছেন (২৪ ডিসেম্বর) দেশের এই অন্যতম জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ গায়ক। গুরুত্বপূর্ণ শুধু তাঁর গানের জন্য নয়, এমন এক সাধারণ জীবনচর্যের জন্য, যা এখনও সমান শিক্ষণীয় এবং অনুকরণযোগ্য।