বলিউডে জন্ম হল নতুন তারার

এখনকারদিনে কাজের মান, একজন সহকর্মীর সঙ্গে আর একজনের সম্পর্কের রসায়ন, সবই কেমন বদলে গিয়েছে। পুরনো দিনের ম্যাজিকটা এখন খুঁজে পান না। আনন্দলোক-এর জন্য লেখা আত্মজীবনীতে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় তুলে ধরলেন তাঁর মুম্বই কেরিয়ারের গল্প। এবার পঞ্চম পর্ব

- 

গত সংখ্যা শেষ করেছিলাম এই বলে যে, অর্পিতা আর বুম্বার মধ্যে সাংসারিক ঝামেলার কথা আমার কানেও এসেছে। কিন্তু এটা নিয়ে আমার কিছু বলা সাজে না, কারণ আমি নিজের চোখে এগুলো কখনও দেখিনি। আগেই বলেছি অর্পিতার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এখনও কলকাতায় গেলে ও শহরে না থাকলেও, আমার জন্য এয়ারপোর্টে গাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মুম্বইতে এলে ও আমার মেয়ে সম্ভাবীকে নিয়ে বাইরে খেতে যায়, শপিং করে। অর্পিতা এমন একটি মেয়ে, যে ঘরে-বাইরে উভয়দিকেই যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে সামলাচ্ছে। হ্যাঁ, হতে পারে অর্পিতা কলকাতার বাড়িতে থাকতে পারে না। দিল্লিতেই বেশি সময় কাটে, কারণ সেখানকার এক প্রাইভেট নিউজ নেটওয়র্কে ও বড় চাকরি করে। যা উপার্জন করছে, পুরোটাই ওর পরিবারের জন্য। তাই ওকে নিয়ে এসব কেচ্ছা না রটানোই ভাল। বুম্বার কী আছে, তা অবশ্য আমি জানি না! ও খুব চাপা স্বভাবের ছেলে, কিছু শেয়ার করে না। তবে বুম্বার সঙ্গে আমার সম্পর্ক যে এখন অনেকটা মসৃণ হয়েছে, তার পুরো কৃতিত্ব অর্পিতা ও ইরার। অর্পিতা বলে, ‘সকলের পরিবারেই তো সমস্যা হয়। তা হলে আমাদের পরিবার নিয়ে বাইরে এত কথা কেন? আমরা বোধহয় বেশি কিছু করে ফেলেছি!' অর্পিতার আর একটা গুণ, ও ছেলে মিশুকের সব খবর রাখে। মাঝেমধ্যেই আমাকে মিশুকের ইংরেজি ড্রামার ভিডিয়ো পাঠায়। এই তো সেদিন অর্পিতা আমাকে বলল, মিশুককে একটু গাইড করতে। আমি বললাম, আমি কী গাইড করব? এর জন্য ওর বাবা-ই সেরা মানুষ। যেভাবে গাইড করছে, একদম সঠিক পথে আছে। দেখুন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটু-আধটু ঝামেলা তো হবেই। তার উপর একসঙ্গে না থাকলে তো আরও কথা হবে। কিন্তু অর্পিতা-বুম্বার প্রতি আমার আশীর্বাদ রয়েছে, ওরা সুখে থাকুক।