ফোটো: অনির্বাণ সাহা নবীন ও প্রবীনের মেলবন্ধন

মুক্তি পেয়েছে নতুন বাংলা ছবি ‘ওহ লভলি’। বাইপাসের ধারে একটা ক্লাবে বসে আড্ডা দিলেন এই ছবির পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। সঙ্গে নবাগত নায়ক, অভিনেত্রী দেবযানী চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে ঋক ও নায়িকা, অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী দত্তের মেয়ে রাজনন্দিনী। আড্ডার সূত্রধর আসিফ সালাম

- 

আড্ডা শুরু হোক ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপকে দিয়ে। একটা সময় হরনাথ চক্রবর্তীর ছবির টাইটেল অভিনবত্বের জন্য জনপ্রিয় ছিল। সে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ হোক বা ‘নবাব নন্দিনী'। সেখানে 'ওহ লভলি' টাইটেলটা শুনলেই তো মদন মিত্রের কথা মাথায় আসে। আপনার নিজস্বতা হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কাজ করেনি? হরনাথ: না, করেনি। একটু ব্যাকস্টোরিটা বলা দরকার। আসলে এই ছবির কাজ যখন শুরু করেছিলাম তখন কোনও নাম ঠিক ছিল না। ছবির মিক্সিং করার সময় টাইটেল ফিক্সড হয়। অনেক ভাবনাচিন্তা করেও এই ছবির কোনও ক্যাচি টাইটেল পাচ্ছিলাম না। পরে মদনদাকে নিয়ে শুট করার সময় দেখতাম ওঁকে দেখলেই আশেপাশের লোকেরা চিৎকার করে ‘ওহ লভলি’ বলছেন। তখনই মাথায় আসে এটা টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করলে কেমন হয়। ছবিতে মদনদা অভিনয় করছেন, এবং ওঁর এত ভক্ত চারিদিকে। তাই সেটা এনক্যাশ করার চেষ্টা করলাম। মদনদাকে কাস্ট করার কারণও তাই। আমরা যখন এই ছবির বিষয়টি নিয়ে এগোচ্ছিলাম, আমি আর প্রযোজক সন্দীপ একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। মদনদাও সেখানে এসেছিলেন। সন্দীপ আমাকে বলে, ‘মদনদা যা জনপ্রিয়, ওঁকে একটা চরিত্র দিলে আমাদের ছবিটা অনেকটা মাইলেজ পাবে।’ ওর কথা শুনে আমি প্রথমে আমার টিমের সঙ্গে আলোচনা করি। তারপর মদনদাকে অ্যাপ্রোচ করি। আর একটা কথা এক্সক্লুসিভলি আনন্দলোক-কে বলি। ‘সাথী’র সময়েও একই জিনিস হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে গিয়ে ছবির টাইটেল ঠিক হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এও তাই। শুটিং হয়ে যাওয়ার পরে গানের লাইন থেকে ছবির নাম দেওয়া হয়। ‘শ্বশুরবাড়ি..’র বিকল্প হিসেবে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার' টাইটেলটা ভেবেছিলাম, ছবির গানের মধ্যেই ছিল ওই লাইন। পরে তো রাজ চক্রবর্তী ওই নামে ছবি বানাল।