কোন রঙে মন ভালো?

মন ভালো রাখতে বিভিন্ন রং নানাভাবে কাজ করে। কালার থেরাপিস্ট ডঃ অবিনাশ রায় জানালেন এই প্রক্রিয়ার নাম কালার থেরাপি। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।

- 

মন ভালো রাখতে আবার রঙের কী ভূমিকা? কোনও একটা রং দেখলেই অমনি তার প্রভাব মনের উপর পড়ে নাকি? অবশ্যই পড়ে, জানালেন কালার থেরাপিস্ট ডঃ অবিনাশ রায়। তাঁর কথায়, রঙের সঙ্গে মনের যোগ প্রগাঢ়। কিছু রং রয়েছে যা আমাদের মনে ভয়ের উদ্রেক করে। কিছু রং আবার নিমেষে মন ভালো করে দেয়। আবার কিছু রং রয়েছে যা দেখে মন শান্ত হয়। ফলে এক একটা রঙের এক একরকম প্রভাব পড়ে আমাদের মনের উপর। মনের উপর রঙের এই যে প্রভাব, এটা একটা গবেষণার বিষয়। এবং সেই রিসার্চের নাম কালার থেরাপি। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ক্রোমাথেরাপিও বলা হয়। চিকিৎসা শাস্ত্র যতই আধুনিক হয়েছে, ততই তার মধ্যে নানা দিক জুড়ে গিয়েছে। অনেক দিক এমনও আছে যা হয়তো সরাসরি চিকিৎসার অঙ্গ নয়, কিন্তু পরোক্ষভাবে তাতে সাহায্য করে। এই কালার থেরাপি বা ক্রোমাথেরাপিও তেমনই একটি দিক, জানালেন অবিনাশ রায়। তাঁর কথায়, ‘আমাদের মন অতি জটিল জায়গা। একইসঙ্গে অনেকগুলো অনুভূতি নিয়ে নাড়াচাড়া চলে মানুষের মনের ভেতর। সেই কারণেই একইসঙ্গে বিভিন্ন আচরণ করি আমরা। এই আচরণগুলো যতক্ষণ আমাদের মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণের ভিতর থাকে ততক্ষণ কোনও সমস্যাই নেই। কিন্তু যখন তা নিয়ন্ত্রণের সীমা ছাড়িয়ে যায় তখনই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। আর এই ক্ষেত্রে অনেক সময়ই মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসার পাশাপাশি একটু ভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন পড়ে। আর সেই কাজটাই করা হয় রঙের মাধ্যমে। মন ভালো করতে রঙের এই যে ব্যবহার তা হঠাৎ গজিয়ে ওঠা নতুন কোনও চিকিৎসা তা ভাববেন না, বললেন ডঃ অবিনাশ রায়। এই প্রথা নাকি বহু প্রাচীনকাল থেকেই মিশরে চালু ছিল। মানসিক চিকিৎসায় সূর্যালোকিত ঘর, রঙিন কাচের স্লাইড ইত্যাদির ব্যবহার করা হতো সেখানে। তবে এই কালার থেরাপির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই বলে পরবর্তীতে ডাক্তারি শাস্ত্রে চিকিৎসার এই ধরনটা সেভাবে পাত্তা পায়নি। কিন্তু আবারও এই নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে।