ভীনেশ ফোগট কুস্তিগীর

‘মা মনোবল হারাতে দেননি। মা-ই আমার সবচেয়ে বড়ো প্রেরণা' জীবনের আঙিনায় সবচেয়ে বড়ো সংঘর্ষগুলো করতে গিয়ে যে জেতে, সেই আসল বিজয়ী। এমনটাই মনে করেন কুস্তিগীর ভীনেশ ফোগট।

- 

সা লটা ছিল ২০১৬। কুস্তির রিং-এ তখন ভারতের ভীনেশ ফোগট আর চিনের সুন ইয়ানান মুখোমুখি। কোয়ার্টার ফাইনাল ইভেন্ট চলছে। ভীনেশ পিছিয়ে আছেন সুনের থেকে এক পয়েন্ট-এ। ডিফেন্স খেলছেন ভীনেশ। সুনের শরীরের বজ্রআঁটুনি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে গিয়ে, ভীনেশের ডান হাঁটুতে প্রবল চোট লাগল। S

এই মুহূর্তটাই ভীনেশের জীবনে সবচেয়ে দুঃখজনক ছিল। কারণ এর পর আর রিও অলিম্পিকের একটি ইভেন্ট-এও অংশ নিতে পারেননি ভীনেশ। কাঁদতে কাঁদতে ভীনেশ বলেছিলেন, ‘ঠিক কী হয়েছে আমার সেই মুহূর্তে আমিও বুঝিনি। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে আমি কেবল উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পায়ে জোর পাচ্ছিলাম না। আমি চাইছিলাম কেউ আমার যন্ত্রণা লাঘব করার একটা ওষুধ দিক। আমি আবার রিং-এ গিয়ে লড়তে পারব। কারণ হার মানতে শিখিনি আমি। হারার জন্য অংশগ্রহণ করিনি। কিন্তু কিছুতেই উঠতে পারলাম না। অসহায়ের মতো পড়ে রইলাম রিং-এ।'