সোভিয়েট কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারির পদে আঠারো বছর কাটিয়ে ১৯৮২ সালের নভেম্বরে লিওনিদ ব্রেজনেভ যখন বিদায় নেন, তখন তাঁর বয়স ৭৬। তাঁর শূন্য আসন পূর্ণ করেন ইউরি আন্দ্রোপভ, বয়স ৬৮, কিন্তু অচিরেই অসুস্থ হন এবং ১৯৮৪-র ফেব্রুয়ারিতে তাঁর সওয়া এক বছরের ইনিংস শেষ হয়। অতঃপর কনস্তান্তিন চেরনেঙ্কো, ৭৩, শরীর নিতান্ত অশক্ত, ১১ মাস পরে তিনিও ভূতপূর্ব। এই পরম্পরা সেই আমলে অনেক নিষ্ঠুর রসিকতার জন্ম দিয়েছিল। যেমন, আন্দ্রোপভের অন্ত্যেষ্টির পরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার নাকি মস্কো থেকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনকে ফোন করে বলেছিলেন, “রন, তুমি আসতে পারতে। এরা আয়োজনটা ভাল করেছিল। আমি সামনের বছর অবশ্যই আবার আসব।” অবশ্যই নিচু মানের গল্পকথা, তবে পরের বছর ম্যাগি থ্যাচার সত্যিই মস্কো গিয়েছিলেন, চেরনেঙ্কোর শেষকৃত্যে। বলে রাখা দরকার, এই গল্পটি পেয়েছি ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আর্চি ব্রাউন লিখিত দ্য রাইজ় অ্যান্ড ফল অব কমিউনিজম গ্রন্থে। এই লেখার উপকরণগুলি প্রধানত এই বইটি থেকেই সংগৃহীত।
১১ মার্চ ১৯৮৫– চেরনেঙ্কোর মৃত্যুর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পার্টির নেতাদের সর্বসম্মতিতে সোভিয়েট ইউনিয়নের চালকের আসনে অধিষ্ঠিত হলেন মিখাইল গর্বাচভ, বয়স ৫৪। মস্কো থেকে ওয়াশিংটন ডিসি অবধি গোটা দুনিয়া সে দিন স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নিয়েছিল, ক্রেমলিনে আর একটা লম্বা ইনিংস শুরু হল। সোভিয়েট ইউনিয়নের যে নিজেকে নিয়ে বিস্তর সমস্যা, সেটা তত দিনে পরিষ্কার হয়ে গেছে, কিন্তু থ্যাচার বা রেগন থেকে শুরু করে দুনিয়ার তাবড় ‘বিশেষজ্ঞ’রাও ভাবতে পারেননি, অদূর ভবিষ্যতে দেশটাই নেই হয়ে যাবে। অথচ পাঁচ বছরও কাটল না। মহা ধুমধাম মহা হট্টগোল সহকারে বলশেভিক বিপ্লবের সত্তর বছর পূর্তি উৎসব সম্পন্ন হওয়ার বছর দুয়েকের মধ্যে দেওয়ালের লিখন স্পষ্ট হয়ে উঠল। আরও দু’বছর পরে, ১৯৯১ সালের অন্তিম লগ্নে যখন সোভিয়েট ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটল, গর্বাচভের বয়স তখন একষট্টিও হয়নি। তিনি আরও অনেক দিন খেলতে পারতেন, কিন্তু খেলাটাই শেষ হয়ে গেল।
この記事は Desh の September 17, 2022 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、8,500 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です ? サインイン
この記事は Desh の September 17, 2022 版に掲載されています。
7 日間の Magzter GOLD 無料トライアルを開始して、何千もの厳選されたプレミアム ストーリー、8,500 以上の雑誌や新聞にアクセスしてください。
すでに購読者です? サインイン
আত্মবিশ্বাসের অভিযাত্রা
দু'টি সাম্প্রতিক হিন্দি ছবির আলোচনা।
প্রদোষকালের স্মৃতিকথন
এই বই একজন অ্যাকাডেমিকের বিশ্বপরিক্রমার আখ্যান, যেখানে বঙ্গভাষী শিক্ষাজীবীর চলিষ্ণু ভুবনায়ন স্পষ্ট করে বোঝা যায়।
ক্ষমতার রাজনীতির বাইরের চিত্র
নববর্ষে স্বতন্ত্র ভাবনার দশটি গল্প নিয়ে দেশ-এর গত সংখ্যাটি মুগ্ধ করল। বাংলা সাহিত্যে ছোটগল্পের ধারাটিকে সতেজ, সজীব রাখার লক্ষ্যে এই পত্রিকা অতন্দ্র। নবীন লেখকদের ভাবনাকে দেশ-এর মতো আর কে আপন করে নিতে পেরেছে। দেবকীমোহন মুখোপাধ্যায়, কলকাতা-৭০০০
নাম মাএ
দ্য কিপলিং ফাইল সহ একাধিক উপন্যাসের প্রণেতাও ছিলেন কক্কর। কার্ডিনার অ্যাওয়ার্ড (কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়),
দায় এড়ানো যায় না
সজ্ঞানে সমস্যা তৈরি করেছে সরকার। এখন তারা দুর্নীতি থেকে নিজেদের দূরত্ব তৈরি করতে তৎপর!
অন্তর্নিহিত আন্তর্জাতিকতা থেকে বিচ্যুত
বাংলা ভাষার মতো আধুনিক ভাষার অসাধারণত্বে টিকে থাকতে গেলে একটা মন, মেজাজ এবং পরিকাঠামো দরকার। কিন্তু বাজার তো সেই পরিকাঠামো দিতে পারছে না।
বাঙালির বাংলাভাষা
কোনও জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিতে বলপ্রয়োগের অধিকার রাষ্ট্রের নেই। কোনও ভাষা বা সমাজেরও নেই। কিন্তু প্রতিদিন ভাষার মৃত্যু ঘটে। ভাষাভাষীর সংখ্যা যত হ্রাস পায়, ভাষা ততই মৃত্যুর পথে চলে।
হ্যামলেট
প্রযোজনাটির স্থানিক আর সাময়িক পরিবর্তন দর্শককে নিয়ে যায় দ্বিধা ও উন্মাদনার এক কারারুদ্ধ পৃথিবীতে।
ক্রীড়া রাজনীতি, প্রান্তিক ক্রীড়া
ক্রীড়াবিদের অপমানও অবজ্ঞার সম্মুখীন। হয়তো সে-ক্রীড়া প্রান্তিক বলে, হয়তো নারীর বলেও।
জীবিত ও মৃত
চমকের লোভে মানুষ নিজের মৃত্যু নিয়েও রসিকতা করতে শুরু করেছে। এই উল্লাস এক ব্যাধি। চমকের লোভে মানুষ নিজের মৃত্যু নিয়েও রসিকতা করতে শুরু করেছে। এই উল্লাস এক ব্যাধি।