ত্বক পরিচর্যায় এক্সোজ়োম

ভবিষ্যতে ডার্মাটোলজির ক্ষেত্রে এক্সোজোম ট্রিটমেন্ট নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এখনও গবেষণা চলছে এই নিয়ে। আলোচনায় ডার্মাটোলজিস্ট ডা. অভিষেক দে।

- 

ক্রমবর্ধমান পরিবেশ দুষণ, জীবনযাত্রা, যথাযথ পুষ্টির অভাব ইত্যাদি নানা কারণ বা জিনগত কারণে ত্বকে বলিরেখা, পিগমেন্টেশন এবং বিভিন্ন চর্মঘটিত রোগ দেখা যায়। তাই এই সমস্যা প্রতিরোধে নিত্যনতুন চিকিৎসার উদ্ভাবনও হয়ে পড়ছে সমান জরুরি। সেই সূত্রেই ইদানীং ত্বকের যত্ন ও পরিচর্যায় এক্সোজ়োম ট্রিটমেন্ট খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোটবেলায় বিজ্ঞান বইয়ে এক্সোজ়োমের কথা পড়া হয়েছে নিশ্চয়ই, তাও একবার ঝালিয়ে নেওয়া যাক—

এক্সোজ়োম কী? এটি হল ছোট (ন্যানোসাইড, ব্যাস ৪০-১৬০ ন্যানোমিটার) বহিঃকোষীয় একটি ভেসিকল (vesicle), যা কোষ থেকে কোষে প্রোটিন, লিপিড, নিউক্লিক অ্যাসিড সহ বেশ কিছু জৈবিক সক্রিয় পদার্থ পরিবহণ করে, যা রোগ নির্ণয়, রোগের পূর্বাভাস এবং তা প্রতিরোধে সাহায্য করে। গবেষণায় উঠে এসেছে, নানা উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীজ উভয় উৎস থেকে প্রাপ্ত এক্সোজ়োম যদি ত্বকে প্রয়োগ করা হয়, তবে তা অবাঞ্ছিত দাগ ও বলিরেখা কমাতে এবং ক্ষত নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা নেয়। ত্বকে ইনজেক্টও করা যেতে পারে, অথবা ক্রিম, লোশন বা সেরামের মাধ্যমেও ত্বকে প্রয়োগ করা যায় এটি। উপরিভাগে নয়, ত্বক ভিতর থেকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে এক্সোজ়োম ট্রিটমেন্ট। এই নিয়ে এখনও পরীক্ষানিরীক্ষা চলেছে। তবে এ যাবৎ গবেষণা অনুযায়ী, অ্যান্টি-এজিং প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত ভাল ফল করে চলেছে এটি।