আপাদমস্তক শান্তিনিকেতনের ছাপ ছিল মোহরদির মধ্যে

কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শিখেছেন দীর্ঘদিন, ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য পেয়েছেন। সঙ্গীতশিল্পী বুলবুল বসু ভাগ করে নিলেন তাঁর প্রিয় ‘মোহরদি’র সঙ্গে তাঁর স্মৃতি।

- 

বীরেনদা (কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী) বাবার (সমরেশ বসু) বন্ধুস্থানীয় ছিলেন। | বাবার সঙ্গে পারিবারিক বন্ধুত্বের সূত্রেই বীরেনদা-মোহরদির যোগাযোগ। আমাদের নৈহাটির বাড়িতে ওঁরা অনেকবার গিয়েছেন, আমার বিয়েতেও গিয়েছিলেন। ১৯৬২-তে প্রথমবার শান্তিনিকেতনের সঙ্গীতভবনে পড়তে আসি, ডিপ্লোমা কোর্সে। তখন মোহরদিবীরেনদা আমার স্থানীয় অভিভাবক ছিলেন। আমার জীবনে ও গানে ওঁর প্রভাব সুবিশাল। নৈহাটির মেয়ে ছিলাম। শান্তিনিকেতনে এসে শুধু গানই নয়, আচার-ব্যবহার, সংস্কৃতি সবই শিখেছি। সঙ্গীতভবনের পাশাপাশি ওঁর বাড়িতেও গান শিখেছি। ১৯৬২ থেকে আজ অবধি আমি শান্তিনিকেতনে আছি, তবে মাঝের বারো বছর ওখানে ছিলাম না। শান্তিনিকেতনে না থাকলেও মোহরদির সঙ্গে বরাবরের যোগাযোগ ছিল। ১৯৭৮ নাগাদ পুনরায় সঙ্গীতভবনে যোগ দিই, বি মিউজ়ে। ওই বছরেই সঙ্গীতভবনে প্রথমে এম মিউজ় খোলা হয়। মোহরদি বলেন, ওঁর প্রতিটা ক্লাসে যেন আমি শিখি। ১৯৭৮-এর পৌষমেলার ঘটনা বলি। সাধারণত মোহরদি, নীলিমা সেন, শান্তিদেব ঘোষ সেখানে একক গান গাইতেন। উপাচার্য ঠিক করে দিতেন গানের তালিকা। সে বছর ‘এ কী লাবণ্যে প