দীপিকা...ঝুকেগি নহী

সন্দীপ রেড্ডি ওয়াঙ্গার পুরুষতান্ত্রিক ঔদ্ধত্যের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থেকেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। লিখছেন অংশুমিত্রা দত্ত

- অংশুমিত্রা দত্ত

মেয়েরা ঝুঁকতে না চাইলে সমাজের খুব সমস্যা হয়। প্রায়শই খবরে প্রকাশিত হয়, পুরুষ অভিনেতারা লাফে-লাফে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ, ‘ভুলভুলইয়া ২’-এর পর এক লাফে ১৫ কোটি টাকা থেকে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ৫০ কোটি টাকা চেয়ে বসেন কার্তিক আরিয়ান। এর আগে বারবার তিন খান, অক্ষয়কুমার এমন করে পারিশ্রমিক বাড়িয়েছেন, 'কবীর সিংহ'-এর পর শাহিদ কপূরও বাড়িয়েছেন, ‘অ্যানিম্যাল’-এর পর রণবীর কপূর .....

তালিকাটা দীর্ঘ। কখনও যোগ্য পারিশ্রমিকমে না পেলে কাজ ফিরিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু মহিলারা এমন করবেন, এটা এখনও ভাবা যায় না। শ্রদ্ধা কপূর ‘স্ত্রী ২'-এর সাফল্যের পর ৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৭ কোটি টাকা চাইলে অনেক প্রশ্ন ওঠে। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে শর্মিলা ঠাকুর বলেছেন, তাঁর সময়ে অমিতাভ বচ্চন এবং শশী কপূর বাদে কোনও পুরুষ অভিনেতা সময়ে সেটে আসতেন না। অভিনেত্রীরা মেকআপ করে রেডি হয়ে বসে থাকতেন সকাল আটটা থেকে। কিন্তু পুরুষ তারকা ঢুকতেন ১২টায়, কখনও দুটোয়। সেটা মেনে নেওয়াই চল ছিল। সেখানে মহিলারা শর্ত চাপাবেন কাজের সময়, দৃশ্য, ডাবিং নিয়ে, এটা পুরুষতান্ত্রিক ইন্ডাস্ট্রি ঠিক মেনে নিতে পারে না।