গরিব বলে ফাঁসির দড়ি পরবে
Desh
|September 17, 2024
বিভিন্ন আইন সত্ত্বেও অপরাধ কমেনি, তা হলে কি বিচার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে? বরং আমাদের দেশ যেহেতু প্রাণদণ্ড বজায় রেখেছে, প্রাণদণ্ডে দণ্ডিতরা ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না সেটা দেখা যাক।
দণ্ডিতের সঙ্গে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে, সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার। এটা আমাদের পাঠ্যপুস্তকে ভাবসম্প্রসারণেই সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা বিশ্বাস করি অপরাধ যত বড়, শাস্তিও হবে ততটাই কঠিন। অপরাধী আর বিচারক, ধরেই নেওয়া হয় তারা এক শ্রেণির মানুষ নয়, অতএব শাস্তি দিয়ে ‘শিক্ষা দেওয়ার' অধিকার তার আছে। প্রশ্ন হল যে, সব অপরাধী কি একই স্তরে থাকে? আমাদের যে-বিচারব্যবস্থা, তাতে কেন কারাগারে থাকা, অপরাধী প্রমাণিত না-হওয়া বিচারাধীন বন্দিদের মধ্যে একই ধরনের অপরাধ করে কেউ সরকারি ‘লিগাল এড'-এর উকিল পেয়ে ফাঁসিতে ঝুলবে, আর অন্য কেউ পঁচিশ-লাখি উকিল নিয়োগ করে জামিন নিয়ে মালা পরে জেল থেকে বেরিয়ে আসবে, তাদের আমরা কি এক স্তরে রেখে সবার জন্য সমান আইন বলব?
‘বিরলতম’
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৫ সালে দেশের ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি থেকে ৩৬৭(৫) ধারা বাদ দেওয়া হল, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রাণদণ্ড থাকলেও প্রাণদণ্ড না-দেওয়া হলে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হত। ১৯৭৩ সালে আবার কার্যবিধি সংশোধন করে ৩৫৪(৩) ধারায় বাধ্যতামূলক করা হল কী কী 'বিশেষ' কারণে প্রাণদণ্ড দেওয়া যাবে, সেই ব্যাখ্যা। আবার ১৯৮০ সালে বচ্চন সিংহ বনাম পঞ্জাব সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়, এ সি গুপ্ত, এন এল উত্তালিয়া, পি এন ভগবতী এবং আর এস সারকারিয়ার পাঁচজন বেঞ্চের চারজন বললেন, প্রাণদণ্ড সংবিধান সম্মত, কিন্তু সেখানে অপরাধটি হতে হবে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম'। বিচারপতি পি এন ভগবতী অবশ্য বিরোধিতা করে বলেন যে, প্রাণদণ্ড সংবিধানের ১৪ আর ২০ ধারার বিরোধী, কারণ সেগুলিতে বলা হয়েছে আইনের চোখে সবাই সমান আর সবাই সমান আইনি সুরক্ষা পাবে। তাঁর মতে প্রাণদণ্ড আদৌ সংবিধান সম্মত নয়, কারণ তা সকলকে দেওয়া হয় না। যাই হোক, তিনটি হত্যার অপরাধে অপরাধী বচ্চন সিংহের প্রাণদণ্ডের আদেশ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। তবে কোন অপরাধটি ‘বিরলতম’, তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।
Diese Geschichte stammt aus der September 17, 2024-Ausgabe von Desh.
Abonnieren Sie Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierter Premium-Geschichten und über 9.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Sie sind bereits Abonnent? Anmelden
WEITERE GESCHICHTEN VON Desh
Desh
পুজোর গান পুজোর জলসা
বাংলার পুজো শুধুই দেবী আরাধনা নয়, এটি বাঙালির সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও আনন্দের চিরন্তন উৎসব। আগমনী থেকে বিজয়া পর্যন্ত গানেই ধরা পড়ে উৎসবের রঙ, আবেগ আর ইতিহাস।
19 mins
October 02, 2025
Desh
শারদীয়ার ছবি
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরের পাঁচ দশকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে পাড়া সংস্কৃতি বিশেষভাবে বর্তমান ছিল। পাড়ার পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যার মধ্যে বিশেষ অগ্রণী। বাংলা চলচ্চিত্রের তারকা, গায়ক অনেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতেন, পাড়ায় পাড়ায় রেষারেষি চলত এই সব অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই।
8 mins
October 02, 2025
Desh
হোমাগ্নি
হরু ঘোষাল, এক সময়ের পুরুতের ছেলে, আজ জীবনের দোরগোড়ায় টিকে থাকার লড়াইয়ে ক্লান্ত। বন্ধুর ছায়ায় আশ্রয় খুঁজতে গিয়ে সে বুঝল—খিদে, লোভ আর নিয়তি—সবই মানুষকে বদলে দেয়।
14 mins
October 02, 2025
Desh
আড়কাঠি
উদারীকৃত, বিশ্বায়িত ভুবনে শোষণের নব-ছদ্মবেশ ধারণ করা মুখোশের কদর্য মুখব্যাদান দেখিয়েছেন নাট্যকার।
3 mins
October 02, 2025
Desh
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আস্থা
নেপালে তরুণদের বিদ্রোহ রাজতন্ত্র বা ধর্মীয় মৌলবাদীদের ক্ষমতা দখলের অজুহাত হতে পারে না।
4 mins
October 02, 2025
Desh
অতীতচারণের অনন্য আলো
জলরঙের নিজস্ব প্রায়োগিক ইতিহাস আছে। তার প্রকরণ লক্ষ করার সুযোগ এই প্রদর্শনী।
4 mins
October 02, 2025
Desh
অন্ধকারের পেরিয়ে দুয়ার...
আলো-আঁধারির মায়ায় রেমব্রান্ট ও ভ্যান গখকে নতুন করে আবিষ্কারের গল্প— শিল্পীর যন্ত্রণা, সৃষ্টির আলো আর অমরতার স্পর্শের এক অনন্য যাত্রা।
1 min
October 02, 2025
Desh
বাংলার কলম, বাংলার পুজো
আমরা বাঙালি, আমাদের হৃদয় পূর্ণ কল্পনা আর ভক্তিতে। মা দুর্গা আসছেন—সকলের প্রাণে উৎসবের আলো জ্বালাতে।
9 mins
October 02, 2025
Desh
অবনত অনুসন্ধান
বইটি পড়লে স্পষ্ট হয় উত্তরের জনজাতিদের সম্পর্কে লেখকের অভিজ্ঞতা বেশি, তথ্যও তিনি যথেষ্ট আহরণ করেছেন।
5 mins
October 02, 2025
Desh
শিবাঙ্গের নরক
রাতের কলকাতার আলোআঁধারিতে বেলার এক অচেনা মেয়ের সঙ্গে দেখা, আর সেই সাক্ষাৎ তাকে টেনে নেয় রহস্যময় এক “বুক ক্লাব”-এর ভেতরে— যেখানে বইয়ের আড়ালে লুকিয়ে আছে নরকের দরজা।
21 mins
October 02, 2025
Listen
Translate
Change font size

