গাড়ায় গণহত্যা

ইজরায়েলের আক্রমণ এই মূহূর্তে পরিকল্পিত গণহত্যার রূপ নিয়েছে। অথচ বিশ্বের বড় দেশগুলি এখনও নিষ্ক্রিয়।

- যুধাজিৎ দাশগুপ্ত

হালফিলের বিশ্বে অন্তত পঞ্চাশটি সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। মধ্য প্রাচ্যেই চলছে অন্তত ছ'টি। উদাহরণলিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, কুর্দিস্তান, ইরাক, প্যালেস্টাইন। তবে সংবাদের শিরোনামে আছে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষ। ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হামাস – যাকে পৃথিবীর বহু দেশই একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন

বলে মনে করে— গত বছর ৭ অক্টোবর অতর্কিতে ইজরায়েলে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। প্রাথমিক ধাক্কা ও প্রস্তুতিহীনতা কাটিয়ে ইজরায়েল যে-পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, তা এখন গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচার গণহত্যার রূপ নিয়েছে। যেটা উল্লেখযোগ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪০ থেকে ১৯৪২-এর মধ্যে হিটলারের নাৎসি সেনাবাহিনী ইউরোপে অন্তত ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করে। ইতিহাসে এটাই ‘হলোকস্ট' নামে কুখ্যাত। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে পৃথিবীর প্রথম ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের জন্মের পিছনে ইহুদি গণহত্যা এক গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। আর এখন পশ্চিমি, বিশেষত আমেরিকান অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত অতি শক্তিশালী ইজরায়েল গাজা ভূখণ্ড জুড়ে যে-ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা সেগুলিকে গণহত্যা বা 'genocide' বলেই মনে করছেন। তাঁদের মতে, ইজরায়েলের ‘নদী থেকে সমুদ্র' নির্ঘোষটিও আদতে গণহত্যামুখী একটি বাচন।