Versuchen GOLD - Frei
পুরস্কার
ANANDAMELA
|August 05, 2025
উজানের রোল নম্বর ১ না হওয়ায় তার মনে আক্ষেপ, আর আবিরের ছিল একটাই স্বপ্ন—একবার মঞ্চে উঠে পুরস্কার নেওয়া। বাবার অনুপ্রেরণায় আবির আবৃত্তিতে নিজের জায়গা করে নিল সবার হৃদয়ে।

আবির বোস, ক্লাস এইট, সেকশন-এ, রোল নম্বর, ১। না, আবির কোনও দিন ক্লাসে প্রথম হয়নি। ক্লাসে প্রথম হয় উজান সাহা। তার রোল নম্বর ১৭৫, সেকশনসি। এই নিয়ে উজানের মনে খুব দুঃখ। সে তার সহপাঠীদের বলে যে, তার বাবার ইশকুলের রোল নম্বর কখনও এক ছাড়া দুই হয়নি। অর্থাৎ তিনি কখনও প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হননি। উজান এখনও পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসে প্রথম হয়েই উঠেছে। কিন্তু বাবার মতো রোল নম্বর ১ হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারেনি।
এই নিয়ে উজানের বাবা হেডস্যরের সঙ্গে দেখা করেছেন। মেরিট লিস্টকে মান্যতা দিয়ে ছাত্রদের রোল নম্বর ঠিক করার আর্জিও জানিয়েছেন। স্যর হেসে বলেছিলেন, “বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা বা বোর্ড পরীক্ষায় যারা প্রথম হয়, তাদের রোল নম্বর নিয়ে কি কেউ মাথা ঘামায়? রোল নম্বর একটা ছাত্রকে চিহ্নিতকরণের নম্বর মাত্র। আর কিচ্ছু নয়। উজানের রোল নম্বরটা ওর প্রথম হওয়ার স্বীকৃতিকে বিন্দুমাত্র ব্যাহত করবে না। আসলে এটা আমাদের একটা পুরনো ধারণা। ওটা থেকে আমাদের বেরোতে হবে। আর এখন স্কুল শিক্ষা দফতরে ছাত্রদের সম্পর্কে এত এত তথ্য পোর্টালে তুলতে হয় বা বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করতে হয় যে, এ, বি, সি, ডি করে নাম না সাজালে ভারী অসুবিধে হয়।” এর পরে আর উজানের বাবা কিছু বলেননি। কিন্তু মনে মনে একটা অসন্তুষ্টি থেকেই গিয়েছিল। উজানেরও এই নিয়ে আবিরের উপর একটা চাপা ক্ষোভ আছে।
ইশকুলের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী উৎসব হবে। এই সময় সাজো সাজো রব! সমস্ত পুরস্কারপ্রাপক ছাত্রদের নামের তালিকা বাইরে বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ক্লাসের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় যেমন থাকে, তেমনই বিভিন্ন বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপকরাও থাকে। না, আবিরের নাম এ সব তালিকায় কোনও দিন স্থান পায়নি। শিক্ষাগত ছাড়াও বছরের প্রথমে ওদের ইশকুলে আবৃত্তি, বিতর্ক, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, বসে আঁকো — এ সব প্রতিযোগিতাও হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বড় বড় অতিথিরা আসেন। ছাত্ররা মঞ্চে উঠে তাঁদের হাত থেকে পুরস্কার নেয়। বাবামায়েরা দর্শকাসন থেকে ছেলেদের দিকে গর্ব-ভরে তাকান। উজানের বাবা, মা-ও। বন্ধুরা, অভিভাবকরা, মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা, স্যরেরা, ম্যামরাও হাততালি দেন। আবির হল হাততালি দেওয়ার দলে। কোনও দিন হাততালি পায়নি।
Diese Geschichte stammt aus der August 05, 2025-Ausgabe von ANANDAMELA.
Abonnieren Sie Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierter Premium-Geschichten und über 9.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Sie sind bereits Abonnent? Anmelden
WEITERE GESCHICHTEN VON ANANDAMELA

ANANDAMELA
নদীর নামের গল্প
বাংলা জুড়ে নদীর নাম নিয়ে রয়েছে নানা গল্প, নানা উপকথা। লিখেছেন সুপ্রতিম কর্মকার
7 mins
August 05, 2025

ANANDAMELA
নদীদের রূপকথা
নীল, সিন্ধু নদ আর রাইন নদীর স্রোতে ভাসতে থাকা অপরূপ গল্পগুলো শুনিয়েছেন চঞ্চলকুমার ঘোষ
8 mins
August 05, 2025

ANANDAMELA
আলড্যাবরার নিরীহ দৈত্য
কলকাতার বুকেই আড়াইশো বছর ধরে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বেঁচে ছিল অদ্বৈত নামের বিশালাকৃতি কিন্তু নিরীহ এই কচ্ছপ। তার বর্ণময় জীবনের কথা লিখেছেন শ্রেয়সী বসু
4 mins
August 05, 2025

ANANDAMELA
মা সারদা শিক্ষা নিকেতন
প্রাথমিক পর্যায়ের সার্বিক শিক্ষা দানে এই স্কুলটি ছাত্রছাত্রীদের বুনিয়াদ তৈরি করতে খুবই সাহায্য করে ।
3 mins
August 05, 2025

ANANDAMELA
অন্য স্বাধীনতা
অন্যায়, অসহায়তা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশ্ব জুড়ে গর্জে উঠেছেন যে সব মহীয়সীরা, স্বাধীনতা দিয়েছেন উত্তর-প্রজন্মকে, তাঁদের নিয়ে লিখেছেন সেবন্তী ঘোষ
5 mins
August 20, 2025

ANANDAMELA
ছোট ছোট খেলা
আমাদের রাজ্য থেকে শুরু করে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটছে খেলাধুলোর নানা ঘটনা। তার ঝলক থাকল এখানে।
4 mins
August 05, 2025

ANANDAMELA
দাবায় দিব্যার বিশ্ব জয়
প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে দাবা বিশ্বকাপ জিতলেন মরাঠি কন্যা দিব্যা দেশমুখ। লিখেছেন পৌলমী ঘোষ
1 mins
August 05, 2025

ANANDAMELA
স্বাধীনতার আর ভালবাসার জয়
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্বৈরাচারী অপশাসনের অবসান করেছেন যে-সব রণনায়করা, গড়েছেন স্মরণীয় ইতিহাস, তাঁদের নিয়ে লিখেছেন আশিস পাঠক
7 mins
August 20, 2025

ANANDAMELA
তুক্কার মা
স্নিগ্ধা এই সেন্টারের খবরটা প্রথম যে দিন দিতে এসেছিল, সে দিনই অর্পিতার চুল নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। প্রীতমের মাথায় অবশ্য বাজ পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিল, “কোথায় পাব চুল, এ কি কোনও জমানোর জিনিস নাকি?”
7 mins
August 05, 2025

ANANDAMELA
চিরস্মরণীয় শিক্ষক যাঁরা
প্রকৃত গুরুই পারেন যোগ্য ছাত্র তৈরি করতে। মহান কয়েক জন শিক্ষক, যাঁরা ছাত্রদের মধ্যে অনির্বাণ আলো জ্বেলেছিলেন, তাঁদের নিয়ে লিখেছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়
4 mins
September 05, 2025
Listen
Translate
Change font size