Versuchen GOLD - Frei
নীল পাখি ও শিউলি ফুল
ANANDAMELA
|20 Aug, 2024
আনন্দে লাফিয়ে ওঠে রতন। রাঙাদিদা আসছে! আগের বার রাঙাদিদা এসে কত গল্প বলেছিল। গ্রামের বাড়ির গল্প, বাগানের গল্প, গাছের গল্প, পক্ষীরাজের গল্প, পরিদের গল্প।
চোখ খুলতেই আশ্চর্য পাখিটাকে দেখতে পেল রতন। এ রকম সে আগে কখনও দেখেনি। ভোরের প্রথম আলো পড়ছে পাখির ছোট্ট শরীরের উপর। কেমন নীলচে আভায় ভরে যাচ্ছে ওর সাদা পালক।
খানিক ক্ষণ তাকিয়ে আবার চোখ বন্ধ করল রতন। এখনও বেশ ক্লান্ত লাগছে। মাথা বেশ ভার। তবে কাল রাতের অসহ্য যন্ত্রণাটা নেই।
আবার চোখ খুলল রতন। জানলায় পাখিটা আর নেই। হয়তো উড়ে চলে গেছে। এই আশ্বিনের গোড়ায় অল্প অল্প শীত পড়তে শুরু করেছে। গায়ের চাদরটা ভাল করে জড়িয়ে নিল সে। তার পর চোখ বন্ধ করল।
॥২॥ “এখন কেমন লাগছে, রতন? মাথা ব্যথা কমেছে?” কপালে হাত ছোঁয়াল মা। চোখ খুলল রতন। মাকে বিছানার পাশে দেখে ভারী ভাল লাগল । সে আস্তে আস্তে বলল, “হ্যাঁ, অনেকটা।”
মা শুনে হাসল। বলল, “কাল ডাক্তারবাবু এসেছিলেন। বললেন, খুব শিগগির তুই ভাল হয়ে যাবি।”
রতন মায়ের কাছে সরে এসে বলল, “আমি স্কুল কবে যাব, মা?” “এই তো আর ক'দিন পরেই পুজোর ছুটি। তার পর স্কুল খুললেই যেতে পারবি।”
“বাবা কি অফিসে চলে গেছে মা?” “হ্যাঁ, তুই ঘুমোচ্ছিলি। তাই আর ডাকেনি।”
খোলা জানলা দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া ঢুকছে। বড় করে একটা নিঃশ্বাস নিল রতন। তার পর মাকে জিজ্ঞেস করল, “কাল রাতে বৃষ্টি হয়েছে, মা?”
“হ্যাঁ। রাতে নয়, ভোরের দিকে। ভিজে মাটির গন্ধ পাচ্ছিস?” জিজ্ঞেস করল মা।
রতন একটু হেসে মাথা নাড়ল । ক্লান্ত লাগছিল রতনের। সে মায়ের হাতটা কপালে চেপে ধরল। মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, “তুই শুয়ে থাক। আমি দুধ গরম করে আনছি। খেলে শক্তি পাবি।”
মায়ের দিকে তাকাল রতন। তার পর আবার চোখ বন্ধ করল।
আবার বৃষ্টি হয়েছিল! কিন্তু কই, বৃষ্টির শব্দ শোনেনি তো! তা হলে হয়তো মনের ভুল। এ রকম ভুল তো কতই হয়। তবে এখন হইচইয়ের শব্দ স্পষ্ট। বিছানা থেকে ওঠার শক্তি নেই রতনের। সে ভাল করে শোনার জন্য কান পাতে।
ওই তো ইন্দ্রজিৎকাকুর গলা শোনা যাচ্ছে। বেশ জোরে জোরে কথা বলছেন কাক তার বাবাকে লক্ষ্য করে।
“আচ্ছা সত্যদা, আপনাকে কবে থেকে বলছি বাগানের গাছগুলো কেটে ফেলুন। আর তা যদি না পারেন, তা হলে পরিষ্কার করুন। এ ভাবে তো গাছ রাখা যাবে না।”
রতনের বাবা বলল, “কী বলছ ইন্দ্ৰ! এগুলো কবেকার গাছ। রীতিমতো ফলন্ত। তুমি এগুলো কেটে ফেলতে বলছ! পরিষ্কার করতে বলছ, নিশ্চয়ই করব। কিন্তু একট সময় তো দেবে।”
Diese Geschichte stammt aus der 20 Aug, 2024-Ausgabe von ANANDAMELA.
Abonnieren Sie Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierter Premium-Geschichten und über 9.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Sie sind bereits Abonnent? Anmelden
WEITERE GESCHICHTEN VON ANANDAMELA
ANANDAMELA
ভবানীবাবুর ভূত
হারু একটু ভীরু প্রকৃতির ছেলে। রীতিমতো ভয় পেয়ে সে বলল, “তা হলে কী হবে দাদা?” হরিদাস বলল, “হবে আর কী, কোনও দিন সকালে তোর দোকানে চা খেতে এসে দেখব, তুই ঘাড় লটকে মরে পড়ে আছিস।”
9 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
যেখানে ভূতের ভয়,
বিজ্ঞান নাকি বিশ্বাস? অতিপ্রাকৃত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বললেন পৃথা বসু
3 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
পাহাড়ের সেই রাত
চিরকুট খুলতেই অতীতের লুকোনো সত্য চোখের সামনে ভেসে উঠল। অভয়জির অলৌকিক ক্ষমতার আড়ালে যে ভয়াবহ অন্ধকার লুকিয়ে আছে, তা বুঝতে দেরি হল না।
7 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
বশীকান্ত
নন্দুর উপস্থিতি টের পেয়ে বশীকান্ত একশো আশি ডিগ্রি মাথাটা ঘুরিয়ে বলল, “আরে নন্দুদা যে! আজ তোমার ছুটি, আমিই বাবুর পছন্দের রান্না করছি।” ভূতে তার নাম নিচ্ছে, নন্দু আর দাঁড়াল না। পাঁই পাঁই করে ছুটে পালিয়ে এল সেখান থেকে।
10 mins
October 05, 2025
ANANDAMELA
ছোট ছোট খেলা
আমাদের রাজ্য থেকে শুরু করে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটছে খেলাধুলোর নানা ঘটনা। তার ঝলক থাকল এখানে।
2 mins
October 05, 2025
ANANDAMELA
ছোট ছোট খেলা
আমাদের রাজ্য থেকে শুরু করে বিশ্বের নানা প্রান্তে ঘটছে খেলাধুলোর নানা ঘটনা। তার ঝলক থাকল এখানে।
2 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
সেই সব আশ্চর্য শরৎ
চা-বাগানের রেডিয়োহীন ছোটবেলায় কেমন ছিল পুজোর আমেজ? বাঘ আসার ভয়, কলাবৌ আসলে কে, সেই সময়ের খুনসুটি-ঝগড়া-আনন্দের স্মৃতিচারণ করেছেন তিলোত্তমা মজুমদার
8 mins
October 05, 2025
ANANDAMELA
পায়ের কাছে বসে আছে
খসখস খসখস শব্দটা জাগিয়ে রাখল। এক সময় থেমে গেল। তার পরই খুব হালকা পায়ের শব্দ পেলাম। টের পেলাম, যেন কেউ অতি সাবধানে আমার পায়ের কাছে এসে বসল।
8 mins
October 20, 2025
ANANDAMELA
উৎসব শুরুর ঘোষণা
ছোটবেলায় কেমন ছিল মহালয়ার দিনগুলো? স্মৃতিতর্পণে ডুব দিয়েছেন প্রচেত গুপ্ত
6 mins
September 20, 2025
ANANDAMELA
মহালয়ার মহত্ত্ব
এই বিশেষ দিনটির নেপথ্যে থাকা মানবিকতা উদযাপনের গল্প লিখেছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী
4 mins
September 20, 2025
Listen
Translate
Change font size

