সুনীতার ব্ৰহ্মাণ্ড দর্শন

মহাকাশচারণা রূপকথার মতোই সুন্দর। কিন্তু পাশাপাশি তা কঠিন এবং ‘অসম্ভব’ও! অনিশ্চিত সেই দুর্গম পথে তিন-তিনবার পাড়ি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস। সম্প্রতি মহাকাশে ন'মাস কাটিয়ে পৃথিবীতে ফেরার পর সুনীতা এখন তারকা। তাঁর দীর্ঘ মহাকাশবাস অবাক করছে বিশ্ববাসীকে। সুনীতার আকাশজয়ের কাহিনি তুলে ধরলেন সাগরিকা চক্রবর্ত্তী।

- 

ঘড়িতে তখন ভোর ৩টে ২৭ মিনিট (ভারতীয় ঘ সময়)। ফ্লরিডার সমুদ্রে এসে পৌঁছল স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুল। গুজরাতের প্রত্যন্ত গ্রাম ঝুলাসনে তখন খুশির আমেজ। ঘরের মেয়ে আকাশ-জয় করেছেন। ২০০৭ সালে গ্রামবাসীদের সঙ্গে শেষবার দেখা করেছিলেন নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস। ২০১৩ সালে আরও একবার গিয়েছিলেন গুজরাতে। তবে সেই বার আগের মতো দেখা হয়নি কারও সঙ্গে। ১৮ বছর আগের স্মৃতি আজও টাটকা। কীভাবে গ্রামে এসে সুনীতা গুজরাতি ভাষায় কথা বলতেন, ভালবাসতেন থেপলা, রোতলো, শিরোর মতো গুজরাতি খাবার... এত বছরেও কেউ ভোলেনি। বিগত ন'মাস ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেছে গ্রামবাসীরা। শেষ কিছু দিনে ঘরের মেয়ের জন্য নাওয়া-খাওয়া ভুলতে বসেছিল গ্রামের ছোট থেকে বড় সকলে। সুনীতা ফেরার কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত চোখ শুধুই টিভিতে। মন্দিরে-মন্দিরে পুজো, ভেসে আসছিল শুধুই নামকীর্তনের আওয়াজ। বিশ্বাস, মেয়েটা ফিরবেই! তারপরই শুরু আতশবাজির ফোয়ারা, ঘরে ঘরে চকলেট-মিষ্টি বিতরণ। ধরা ছুঁলো ঘরের মেয়ে!