আমি এখনও অপেক্ষায় আছি বলিউডে ও দক্ষিণে যেন আমার প্রতিভার সদ্ব্যবহার হয় :প্রিয়মণি

তিনি শাড়ি পরতে ভীষণ পছন্দ করেন। তাই আনন্দলোক-এর তরফ থেকে তাঁকে যখন শাড়ির শুটের প্রস্তাব দেওয়া হয়, এককথায় রাজি হয়ে যান। শুটের পাশাপাশি মন খুলে সাক্ষাৎকারও দিলেন প্রিয়মণি। সাক্ষী রইলেন আসিফ সালাম

- 

ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে এটা আপনার ২১-তম বছর। এরকম একটি লম্বা সফর কেমন উপভোগ করলেন? খুব-খুব উপভোগ করেছি। অনেকেই বলেন যে সময়ের তুলনায় আমি অনেক কম সংখ্যক ছবিতে কাজ করেছি। হয়তো সেটা ঠিক, কিন্তু তাই নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। যা-যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নিজের মনের কথা শুনে নিয়েছি। হতে পারে তাতে কিছু ভুলও ছিল, কিন্তু ভুল থেকেই তো মানুষ শিক্ষা নেয়।

আপনার কেরিয়ারগ্রাফ কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। একদিকে যেরকম ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর'এর মতো আইটেম নম্বর আছে, আবার 'পারুতিভীরন'-এর মতো সিরিয়াস কনটেন্টও রয়েছে, ওদিকে ‘ময়দান’এর মতো স্পোর্টস বায়োপিক আছে, আবার 'জওয়ান'-এর মতো অ্যাকশন এন্টারটেনারও আছে। এটাও মাথায় রাখতেই হবে যে আপনি একইসঙ্গে একাধিক ভাষাতে কাজ করছেন। আমি নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে করি যে আমি বিভিন্ন ভাষাতে, একাধিক জঁরের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি। একজন শিল্পীর কাছে এটাই তো সবচেয়ে বড় পাওয়া। আলাদা করে ‘পারুতিভীরন' ছবিটির কথা বলব। এই তামিল ছবিটির জন্য আমি ২০০৬ সালে জাতীয় পুরস্কার পাই, তাই আমার কাছে ছবিটি বরাবর খুব স্পেশ্যাল হয়ে থাকবে। এই ছবিটির মেকিং শুধু আমাকে নয়, পুরো শুটিং ইউনিটকে শারীরিক, মানসিক এবং ইমোশনালি নিংড়ে নিয়েছিল। ছবির পরিচালক আমির সুলতান একজন পারফেকশনিস্ট এবং প্রচণ্ড খুঁতখুঁতে। ওঁর প্রতিটা শট পারফেক্ট চাই। লাইটিং হোক বা সেট ডিজ়াইন, কোথাও একটু অন্যথা হলেই উনি প্রথম থেকে আবার শুটিং শুরু করেন! তবে ‘পারুতিভীরন’-এর জন্য পরবর্তীকালে যেরকম সম্মান আর ভালবাসা পেয়েছি, তাতে এখন মনে হয় ওই পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। তবে এর মানে এটা ভাববেন না যে ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর'-এর নাচ করাটা খুব সহজ বা ‘জওয়ান'-এ অ্যাকশন করাটা দুধভাত! সব জঁরেই একটা চ্যালেঞ্জ থাকে।