হরর-কমেডিতে সিদ্ধিলাভ : শ্রদ্ধা কপূর ও রাজকুমার রাও

একজন ফিল্ম স্কুলের শিক্ষা নিয়ে, অন্যজন ইন্ডাস্ট্রির পরিমণ্ডলে বসবাস করে অভিনেতা হয়েছেন। রাজকুমার রাও এবং শ্রদ্ধা কপূর চেষ্টা করছেন কাজ নিয়ে সন্তুষ্টিতে না থাকতে। কমেডি, নিজের উন্নতি, বক্সঅফিস সাফল্য নিয়ে অংশুমিত্রা দত্তর মুখোমুখি এই দুই অভিনেতা।

- 

‘স্ত্রী'-র ছ'বছর পর মুক্তি পেল ‘স্ত্রী ২’। মাঝারি বাজেটের হিন্দি ছবির বাজার শেষ, ফিরে এসেছে বিগ বাজেট হিন্দি ছবি, এই ধারণাকে পাল্টে দিয়ে ‘স্ত্রী ২' ২০২৪-এর সবচেয়ে বড় ওপেনিং উপহার দিল। 'কল্কি'র চেয়েও বেশি। এক্ষেত্রে ম্যাডক ফিল্মসের দীনেশ ভিজনের ব্যবসায়িক বুদ্ধিরও প্রশংসা করতে হয়। ১৫ অগস্ট ছবি মুক্তি পেয়েছে ৪৬ কোটি টাকার ওপেনিং দিয়ে। তবে ১৪ অগস্ট রাত সাড়ে ন'টাতে কিছু হলে বিশেষ শো রাখা হয়েছিল ছবির, যা থেকে আট কোটি টাকা উঠে এসেছে। এই লেখা প্রেসে যাওয়া অবধি ৫০ কোটির 'স্ত্রী ২' ছবির বক্সঅফিস কালেকশন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফলে রাজকুমার রাও এবং শ্রদ্ধা কপূর যে আলাদা উত্তেজনায় ফুটছেন, বলাই বাহুল্য। সেই উত্তেজনা নিয়েই শুরু হল আড্ডা।

একটি ছবি, যা এতটা প্রশংসিত এবং জনপ্রিয়, তার সিকোয়েল বানানোর চ্যালেঞ্জগুলো কী কী? রাজকুমার: সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল প্রথম ছবির ব্যাগেজ ঝেড়ে ফেলে দেওয়া। সেই কারণেই কিন্তু ছ'বছর সময় লেগেছে ‘স্ত্রী ২’ নিয়ে আসতে। কেউ যদি আগে থেকেই ঠিক করে নেয় আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজ় তৈরি করব, এতগুলো সিকোয়েল বা প্রিকোয়েল হবে, তা হলে কিন্তু সেটা দর্শকের প্রতি অবিচার করা হবে।

শ্রদ্ধা: আমার মনে হয় এই ছবিটি সেই জায়গা থেকেই শুরু হয়, যেখানে প্রথম ছবিটি শেষ হয়েছিল। অবশ্যই সফল ছবির সিকোয়েল তৈরির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা উচিত যে এবার যেন দর্শক আরও বেশি বিনোদন নিয়ে ঘরে ফিরতে পারে। হতাশ যেন না হয়।

রাজকুমার: হ্যাঁ, আমরা কোনও ‘প্রজেক্ট’ বানাতে যাইনি, ফিল্ম বানাতে গিয়েছি। “স্ত্রী” দিয়ে যে হরর কমেডি জঁরের ছবি এদেশে শুরু হয়েছিল, তা এখন একটি ইউনিভার্সে পরিণত হয়েছে। ‘ভেড়িয়া’, ‘মুঞ্জ্যা’, ‘স্ত্রী ২’... এদের আবার ক্রসওভার হচ্ছে।

আপনাদের প্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজ বা সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স কোনগুলো?