‘বগলামামা’র ওরা ছ'জন

নাটকের মঞ্চ এই তরুণদলকে একত্রিত করে। কিন্তু স্বভাবে, মেজাজে বগলামামার ছয় তুরুপের তাস স্বতন্ত্র। ছবি এবং তাঁদের বন্ধুত্বের সমীকরণ নিয়ে আড্ডায় ঋদ্ধি সেন, দিতিপ্রিয়া রায়, উজান চট্টোপাধ্যায়, জিৎ সুন্দর, সুদীপ ধারা ও মিঠুন গুপ্ত। শামিল হলেন অংশুমিত্রা দত্ত

- 

প্রথমেই জিজ্ঞেস করি, এই যে ‘বগলামামা যুগ যুগ জিও’র তরুণ ব্রিগেড তৈরি হল আপনাদের নিয়ে, এখানে কার কীভাবে সংযোজন? ঋদ্ধি: আমি শেষে যুক্ত হয়েছি, তাই শেষে বলব। দিতিপ্রিয়া আগে বলুক। দিতিপ্রিয়া: ধ্রুবদার (ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে আমার আগেও কাজের কথা হয়েছিল, কিন্তু সেটা হয়নি। এবার যখন এই ছবির অফারটা আসে, আমি দেখলাম চরিত্রটার সঙ্গে আমার অনেক মিল আছে। এবং অবশ্যই একটা ইনক্রেডিবল কাস্টের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাব। আর যেহেতু বগলামামা একটা ফ্র্যাঞ্চাইজ়, তাই কোনও কারণ ছিল না অফারটা ফিরিয়ে দেওয়ার।

উজান: আমাদের অডিশনের প্রসেসটা খুব লম্বা ছিল। এই পাঁচজন ছেলের চরিত্রের জন্য প্রায় ৮০-৯০টি ছেলে অডিশন দিয়েছিল। তবে এরকম মজার শুটিং আগেও হয়নি, আর কোনওদিন হবে বলে মনেও হয় না।

সুদীপ: আমি অডিশন দিয়ে কলকাতার বাইরে চলে গিয়েছিলাম...

ঋদ্ধি: আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কায়িক শ্রম কিন্তু সুদীপ দিয়েছে। ওর সবচেয়ে কাছের কো-অ্যাক্টর ছিল একটা মুরগি। সারাক্ষণ ওর পিছনেই দৌড়েছে। জিৎ ঘুমোতেও যেত মুরগি নিয়ে... আসলে এই শুটিংয়ে কখনও মনে হয়নি যে এমনি সময় সকলে গম্ভীর, শটে কমেডি করতে হবে। বরং এমন হয়েছে যে এত বেশি মজা করছি যে শটে মনে হচ্ছে, এবার একটু সিরিয়াস হতে হবে।

মিঠুন: ছবি শুরু হওয়ার দু'দিন আগেও আমি ফাইনাল হইনি। ওয়র্কশপে ছিলাম, কিন্তু তখন অন্য কেউ ‘নাড়ু’ হচ্ছে। পরে গিয়ে আমি যুক্ত হই। আমার চরিত্রটা ক্রিকেটার এবং আমি ও সুদীপ একই সঙ্গে ছোটবেলা থেকে ক্রিকেট খেলতে যেতাম। আমার বাড়ি শোভাবাজারে, সুদীপের বিডন স্ট্রিট।

ঋদ্ধি: ধ্রুবদা যখন আমার কথা ভেবেছিল, সকলে সেটা উড়িয়েই দিয়েছিল। কারণ আমাকে সকলে খুব সিরিয়াস অভিনেতা বলে মনে করে। ফলে ‘ঋদ্ধি কমেডি করতে পারবে না’ ছিল কমন একটা ধারণা। তাই ধ্রুবদার মনে হয়েছিল দর্শকের কাছেও এটা আনপ্রেডিক্টেবল ব্যাপার হবে।