ছয় বন্ধুর গল্প...

বলিউডে সত্যিকারের বন্ধুত্ব হয় না। অধিকাংশই নিজেদের মধ্যে একটা ‘ফেক’ সম্পর্ক বজায় রাখেন। তবে এসবের মাঝেও ব্যতিক্রম মিঠুন চক্রবর্তী, জ্যাকি শ্রফ, গোবিন্দ, সুনীল শেট্টি, শক্তি কপূর, গুলশন গ্রোভার ও তাঁদের বন্ধুত্ব। মুম্বই থেকে জানাচ্ছেন আসিফ সালাম

- 

ইয়ে দোস্তি হম নহী তোড়েঙ্গে'...

বন্ধুত্বের উদযাপনের কথা বললেই 'শোলে' ছবির এই গানটির দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে। বাইকে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র। ছবির শেষ দৃশ্যও বন্ধুত্বের আবেগে মাখামাখি। কিন্তু অমন বন্ধুত্ব তো শুধু সিনেমাতেই হয়, এমনটাই মনে করি আমরা। বাস্তবে যে হয় না তা নয়, কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আবার অমন বন্ধুত্ব! আসলে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রেষারেষি, সংঘাত, দুই বড় নায়কের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ, নায়িকাদের মন কষাকষি... এসব নিয়ে এতকিছু শোনা

যায় যে ‘ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু’ শব্দ দুটো শুনলে মোটেও বিশ্বাস হয় না। হ্যাঁ, কিছু বন্ধুত্ব আছে বটে! তবে তা মূলত লোক দেখানো, বেশিটাই ‘ফেক’। এই যেমন ধরুন, শাহরুখ খান ও সলমন খান। একটা সময়ে দু’জনের রেষারেষির কথা ছিল ওপেন সিক্রেট। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দু’জনেই নিজেদের স্বার্থে রেষারেষি খানিকটা মিটিয়ে নিয়েছেন। দু’জনেরই মনে হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিতে স্টারডম ধরে রাখতে গেলে একে-অপরের সঙ্গে হাত মেলানো জরুরি। তাই পুরনো ঝামেলাকে পাশে রেখে শাহরুখের ছবিতে সলমন ক্যামিও করছেন, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন। এই বন্ধুত্ব কতটা প্রয়োজনের তাগিদে, আর কতটা মন থেকে, তা আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। আবার প্রয়োজনের তাগিদেই করণ জোহর ও কার্তিক আরিয়ানও বর্তমানে ‘বন্ধু’ কিন্তু বলিউডে শুধুই কি প্রয়োজনের তাগিদে বন্ধুত্ব হয়? শুধুই কি পার্টিতে লোকদেখানো ঘনিষ্ঠতা আর সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধুত্ব হয়? হয়তো বেশিটাই তাই। কিন্তু সবটা নয়। এর বাইরেও নিখাদ কিছু বন্ধু আছেন, যাঁরা একে অপরের পাশে নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়িয়েছেন।