ইন্ডাস্ট্রির যারা আমাকে কটাক্ষ করছে, তারা আসলে আমাকে হিংসে করে: বনি সেনগুপ্ত

ইডি-র দফতর থেকে সাময়িক ছাড়া পেলেও সাধারণ মানুষ ও মিডিয়া তাঁকে দাঁড় করিয়েছে কাঠগড়ায়। সব অপবাদের জবাব দিলেন বনি সেনগুপ্ত৷ সামনে আসিফ সালাম

- 

প্রথমেই জিজ্ঞেস করি, গোটা ঘটনায় আপনি কি নিজেকে আংশিক হলেও দোষী মনে করেন? আমি অন্যায় করিনি, কিন্তু ভুল করেছি।

কী ভুল? আমার তরফ থেকে এটাই ভুল হয়েছিল যে, আমি খাতায়-কলমে কাজটা করিনি। একটা এগ্রিমেন্ট করা উচিত ছিল আমার। আসলে একটা মানুষকে বিশ্বাস করে টাকাটা নিয়েছিলাম। আমি তার ট্যাক্সও দিয়েছি এবং সেই ডকুমেন্টসও আছে আমার কাছে। এবার সেই মানুষটি মানে যাঁর থেকে টাকা নিলাম, তিনি কী করেন, কোত্থেকে টাকা আনছেন, তা তো আমি জানি না। জানা সম্ভবও নয়। এই যে আমাদের গ্রামবাংলায় এত মাচা শো হয়, তার টাকা কোত্থেকে আসে কেউ জানে? শ্রাবন্তী, রচনাদি (বন্দ্যোপাধ্যায়), কৌশানী সহ বিভিন্ন নায়িকারা তো পরপর শো করে থাকে, তারা তো জানেই না কোত্থেকে শোয়ের বাজেটের টাকা আসছে। আসলে এক্ষেত্রে যারা ব্ল্যাকে টাকা নিয়েছে তারা বেঁচে গিয়েছে! আর আমি হোয়াইটে নিয়ে ফেঁসে গিয়েছি (হাসি)!

আচ্ছা প্রথম থেকে একটু গল্পটা জানা যাক। কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আপনার পরিচয় কীভাবে হল? আমি ইভেন্ট করতে হুগলির জিরাটে গিয়েছিলাম। ওখানেই ওঁর (কুন্তল) বাড়ি। ওখানকার স্থানীয় ক্লাবও উনি দেখাশোনা করেন। মনে হয়, পুজোর কোনওকিছুর ওপেনিংয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় একজন অর্গানাইজ়ারের মাধ্যমেই গিয়েছিলাম সেখানে। আমি একাই সেলেব্রিটি ছিলাম। সম্ভবত ২০১৬ সালের শেষের দিকের ঘটনা এটা। স্টেজেই প্রথমবার আলাপ হয় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে। উনি বলেন ওঁর এরকম প্রচুর ইভেন্ট হতেই থাকে। ওঁর থেকে জানতে পারি যে ওঁর একাধিক কলেজ ও হাসপাতাল আছে। এছাড়া উনি একটি এনজিও চালান।

তারপর? সেই আলাপ ঘণিভূত হল কীভাবে? প্রথমদিনই উনি বলেন যে ওঁর ওই অঞ্চলে আরও নানাধরনের ইভেন্টের পরিকল্পনা আছে। তাই আমার নম্বরটা পেলে উনি আমাকে ডিরেক্টলি ডেকে নেবেন। আমি নম্বর দিয়ে দিই। এরপরে নানা ইভেন্টে, কলেজ ফাংশনে ডাক পেতাম। ওঁর অঞ্চলেই এগুলো হত। ওঁর পরিবার, স্ত্রী, বাচ্চাদের সঙ্গেও আলাপ হয়। একবার ওঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওই শোয়ের আগে যেমন শিল্পীরা বিশ্রামের জন্য যায়, সেভাবেই। ওখানেই ওঁর বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা হয়। এরপর চেনাশোনা বাড়ায় উনি আমাকে ওঁর পারিবারিক অনুষ্ঠানেও ডাকতেন। ওঁর মেয়ে এবং স্ত্রী-র জন্মদিনেও গিয়েছি। কলকাতায় সিটি সেন্টার ২-এর পাশে একটি