এক নতুন জুটির গল্প সোহম ও সায়নী ঘোষ

দু'জনেরই রাজনৈতিক রং সবুজ হলেও, তাঁদের নতুন ছবির নাম ‘লাল সুটকেসটা দেখেছেন'? সোহমএবং সায়নী ঘোষ-এর সঙ্গে আড্ডায় আসিফ সালাম

- 

এ কী কাণ্ড! আপনারা দু'জনেই তো শাসক গোষ্ঠীর অংশ। সেখানে আপনাদের নতুন ছবির নাম 'এলএসডিলাল সুটকেসটা দেখেছেন'? টকটকে লাল রংয়ের সুটকেস হাতে শুটও করছেন! সোহম: দেখুন, রং তো কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আমি জানি কেউ-কেউ আছেন, যাঁরা মনে করেন রং তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তি। সেই লোকেরাই এসব নিয়ে মাতামাতি করেন। নিজেদের ব্যাপারে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি না। তাই রং কখনওই এত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।

‘পাঠান’ ছবির একটি গানে দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া বিকিনি পরা নিয়ে একদল লোক যা শুরু করলেন...

সোহম: ওই যে বললাম, যাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাঁরাই এসব করেন। তবুও সুটকেসের রং সবুজ করার কথা ভাবেননি? সোহম: চারিদিকে তো সবই সবুজ। সবুজ আর নতুন করে

কী করব! ‘এলএসডি’ নামটা রাখতে চেয়েছিলাম বলে লাল রং। সবুজ করলে টাইটেলটা জমত না। সোহম আর সায়নী জুটিতে এই প্রথম একসঙ্গে কাজ করলেন। একে অপরের কাছ থেকে কী শিখলেন? সায়নী: এই ছবির শুটিংয়ের আগে অবধি আমি ভাবতাম, আমি একাই বোধহয় এত কাজ করি। রাজনীতি, অভিনয় সবকিছু... কিন্তু সোহমকে দেখে আমার ভুল ভেঙে গেল। সত্যি, ও যা চাপ নিয়ে কাজ করে, হ্যাটস অফ। সকালে নিজের কনস্টিটিউয়েন্সিতে গিয়ে কাজ করছে। আবার তিন-চার ঘণ্টা ট্র্যাভেল করে এসে সারা রাত শুট করছে। শুধু অভিনেতা না, ও আবার প্রযোজকও। মানে মাথায় কতটা চাপ রয়েছে ভাবুন। ওকে দেখে মনে হল, আমি সত্যি কোনও কাজই করছি না। আর টলিউডে যে ক’জন সু-অভিনেতার মাস অ্যাপিল রয়েছে, সোহম তাঁদের মধ্যে অন্যতম। আই গট আ ভেরি গুড অ্যাক্টর টু অ্যাক্ট

উইথ। প্রযোজক হিসেবেও সোহম প্যাশনেট। সোহম: সায়নীর কাছে ভাল অভিনয় শেখার চেষ্টা করেছি। আমরা সবাই জানি, সায়নী খুব ভাল অভিনেত্রী। ওর সামনে বলে নয়, পিছনেও একই কথা বলি। এই ছবিতে ওর চরিত্রটি ভিশুয়ালাইজ় করার সময়ই সায়নীকে দেখতে পাচ্ছিলাম। ডেট নিয়ে একটু চাপ হচ্ছিল, তবু ও সময় দিয়েছে।

সোহম, আপনার বিপরীতে তো বাণিজ্যিক ছবির নায়িকাদেরই বেশি দেখা যায়। অনেকদিন পরে সায়নীর মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করলেন, যিনি তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবির নায়িকা নন। সোহম: এই ভাগগুলো আমাদেরই তৈরি করা। বাণিজ্যিক ছবি আমরা কাকে বলি? নাচ-গান-অ্যাকশনের ছবিকে? নাকি যে ছবির