‘যা বলতে চাই

কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগামন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন তনুকা চট্টোপাধ্যায়।

- 

• ৩৫ বছর! হ্যাঁ, তা হবে। অভিনয় জীবন কত বছরের তা এখন আর হিসেব হয় না। ছোটবেলায় একটা সময় পর্যন্ত বরানগরে থাকতাম। বাগবাজার সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী আমি। যখন নাইনে উঠব, বাবা মারা যান। তখন গড়িয়াহাটে মাসির বাড়ি চলে আসি। মেসোমশাই ছিলেন আমার বাবারই মতো। উনি পাশে না থাকলে আমার অভিনয় জগতে আসা হতোই না। কারণ বাড়ির সকলের মত ছিল না। তাঁরা চাইতেন পড়াশোনা করি।

অর্থনীতিতে স্নাতক হয়েছি। অভিনয় পেশা হিসেবে নেব, সে ইচ্ছে ছিল না। আমাকে বলা হতো, ভালো চাকরি করো। তারপর শনি, রবি গ্রুপ থিয়েটার করো। এটা পেশা হিসেবে নিও না। কিন্তু মেসোমশাই সমর্থন করেছিলেন।

আমার মাসিমণি, যাঁর কাছে আমি মানুষ তিনি হিমানি বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় খুব নামকরা মঞ্চ অভিনেত্রী। আর এক মাসি অলকা গঙ্গোপাধ্যায়। মেসোমশাই অনুপকুমার। ওঁরা অভিনয়ে ছিলেন বলেই এই পেশার স্থায়িত্বের অভাবটা জানতেন। সেকারণেই আপত্তি। কিন্তু আমার ভিতরের প্যাশনটা বুঝতে পারতেন।

হঠাৎই অভিনেত্রী মীনাক্ষী গোস্বামী একদিন আমাকে গড়িয়াহাটে দেখেছিলেন। সেসময় সিরিয়াল কনসেপ্টটা সবে শুরু হচ্ছে। তখন আমার অনেক চুল। সেটা ওঁর খুব ভালো লেগেছিল। জিজ্ঞেস করেছিলেন, সিরিয়াল করব কি না। আমি ওঁকে মেসোমশাইয়ের কাছে নিয়ে যাই। উনি এককথায় রাজি। সেই শুরু। মীনাক্ষীদির ‘কলকাতার কাছে’তে আমি নায়িকা ছিলাম।