ইউটার রাজধানী সল্ট লেক সিটি থেকে ভাড়াগাড়িতে রওনা দিয়েছি আমরা, ব্রাইস ক্যানিয়নের উদ্দেশ্য। আড়াইশো মাইলেরও বেশি পথ। ধারে ধারে রংবেরঙের টিলা, অনুচ্চ পাহাড়, মাইলের পর মাইল বিস্তৃত অনুর্বর পাহাড়ি পাথুরে পথ, খুকির মাথার ঝুঁটির মতো ইতস্তত বিক্ষিপ্ত বুনো ঝোপ, কখনও বা ঢালু তরঙ্গায়িত সবুজ তৃণভূমিতে বুনো বাফেলোর দল নিশ্চিন্তে চরে বেড়াচ্ছে। দিগন্তে মিশে যাওয়া ধূ ধূ পথ। না একটা মানুষ, না কোনও ঘরবাড়ি। মাঝে মাঝে তো ভয় হচ্ছিল, পাছে জিপিএস ভুল করে বসে আর আমরা দিশাহীন পথে অন্তহীন ঘুরতেই থাকি! অবশেষে ব্রাইস ক্যানিয়নের ভিজিটর সেন্টারে এসে যখন পৌঁছলাম, দুপুরের গনগনে রোদ্দুর আমাদের মাথার উপর আগুন ঝরাতে শুরু করেছে। মেঘহীন আকাশে এই এত ক্ষণে এক টুকরো মেঘের দেখা মিলেছে। আর সঙ্গে সঙ্গেই মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি মাইলের পর-মাইল জুড়ে নিরুত্তরে থমকে থাকা, সুউচ্চ হুডুদের পাথুরে, ভূতুড়ে শরীরে আলোছায়ার অতীন্দ্রিয় উপস্থিতি! জিয়োলজির সংজ্ঞা অনুযায়ী, হুডু হল ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত বিশেষ ধরনের মোচাকৃতি চূড়া বিশিষ্ট শিলা। আমাদের সামনেই সুবিশাল ক্যানিয়নের এক দিকে এক ফালি ছায়া, অন্য দিকে ঝকমকে রোদ্দুরময় মোহময়ী ল্যান্ডস্কেপ। মেঘ-রোদের এই অপার্থিব আলো-আঁধারি খেলায় আরও যেন রহস্যময় হয়ে উঠেছে হুডুদের নিশ্চল, রক্তাভ শরীর। প্রকৃতি যেন অসীম যত্নে একটু একটু করে গড়ে তুলেছে প্রতিটি মূর্তি। বিচিত্র রঙের তুলির টানে এ যেন এক অভিনব ভাস্কর্যের সংগ্রহশালা! যে দিকে তাকাই, পাথরে খোদাই করা মূর্তি... কোথাও বা ধ্যানমগ্ন গম্ভীর সন্ন্যাসী, লক্ষ্মীর কৌটো, কোথাও বা কলসি মাথায় রমণী! ‘সানরাইজ় পয়েন্ট’-এ দাঁড়িয়ে দূরে ‘পিঙ্ক ক্লিফ’-এর ব্যাকগ্রাউন্ডে চার দিকে ডুবন্ত হুডুদের ভিড়ে চোখে পড়ল এক ডুবে যাওয়া উল্টোনো জাহাজের কাঠামো— ‘সিংকিং শিপ’!
শুধু হুডুই নয়, অদ্ভুত আকৃতির ক্লিফ, প্যাঁচানো কলাম, প্রাকৃতিক খিলান, পাথরের দেওয়ালে ‘উইন্ডো’... প্রকৃতির অনন্য শিল্পকুশলতা ও স্থাপত্য শৈলীর নমুনা ছড়ানো-ছিটানো চার দিকে।
Bu hikaye SANANDA dergisinin December 30, 2022 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye SANANDA dergisinin December 30, 2022 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 8,500+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ভ্যাকসিনে ভয়?
প্রায় বছর খানেক বাদে আবারও খবরের শিরোনামে কোভিড ভ্যাকসিন। সৌজন্যে কোভিশিল্ড ও কো-ভ্যাকসিনের সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। আতঙ্ক সরিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরলেন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার। লিখছেন অনিকেতগুহ।
কিচেন হ্যাকস
বারবার ফ্রিজ থেকে রান্না করা খাবার বার করে গরম করে খাওয়া কি স্বাস্থ্যসম্মত?
স্বাদ-এ শেফ
স্বাদ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট রসনাবিলাসীদের চিরকালই প্রিয়। তাই চিংড়ি, চিকেন বা মাটনের চেনাশোনা রেসিপিতেও থাকে শেফ স্পেশ্যাল টুইস্ট! তেমনই চারটি সুস্বাদু পদের সন্ধান দিলেন মাঙ্কি বার কলকাতার কর্পোরেট শেফ ইরফান পাবানে।
বাচ্চা কথা বলছে না!
কী ভাবে নজর করবেন বিষয়টি? এ ক্ষেত্রে কী করণীয়? কনসালট্যান্ট স্পিচ ল্যাঙ্গোয়েজ প্যাথোলজিস্ট মৈনাক সাঁতরার মতামত নিলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
মাতৃত্বের প্রথম ধাপে...
মাতৃত্বের প্রথম ধাপে...
পোস্ট-নেটাল সুস্থতীর সন্ধানে..
পোস্ট-নেটাল পিরিয়ডে অর্থাৎ সন্তানের জন্মের পর নব্য-অভিভাবকদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং সুস্থ দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
দত্তক আইন ও মনস্তত্ব
বিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে সন্তান দত্তক নেওয়ার আইনি প্রক্রিয়া কী রকম? হবু বাবা-মায়েরা কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে...
....তবে একলা চলো রে। একলা চলার এই পথ সহজ নয়। পরিবারের ‘আদর্শ' বিন্যাসের বাইরে এই মাবাবারা একা হাতেই সামলান সন্তানদের। চ্যালেঞ্জ প্রতি পদে। হাসিমুখে বরণ করে নেন তা-ও। ‘সিঙ্গল পেরেন্টিং'-এর নানা আঙ্গিক অনিকেত গুহ-র কলমে।
কর্মরত বাবামায়েদের জন্য...
বাবা-মা দু'জনেই কর্মরত। কাজের সূত্রে বৃহত্তর পরিবার থেকেও বেশ দূরে। সন্তানকে সুস্থ আলো-হাওয়ায় বড় করে তুলতে কী কী মাথায় রাখবেন ওয়ার্কিং পেরেন্টরা? লিখছেন পৃথা বসু।
আমার সন্ততি স্বপ্নে থাক
ভাষা বদলালেও অপরিবর্তিত রয়ে গিয়েছে সন্তানকে ভাল রাখার এই আকুতি। রোজকার রুটিনে বা ছুটির ভ্রমণে সন্তানের যত্ন নিয়ে কথা বললেন বিশেষজ্ঞরা। শুনলেন দেবলীনা অধিকারী।